Dhaka ১২:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে বেগম খালেদা জিয়া

  • Update Time : ০২:৪৮:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১
  • / ২ Time View

বিএনপি,খালেদা জিয়া,

বিশেষ প্রতিনিধি :
পোস্ট কোভিড থেকে মুক্ত হলেও পুরনো রোগের জটিলতার কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতেই আছেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

শুক্রবার ১১ জুন গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন। খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানাতে সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের সর্বশেষ বক্তব্য হচ্ছে, মিনিমাম প্যারামিটারগুলো অনুযায়ী পোস্ট কোভিডের অবস্থা থেকে তিনি মোটামুটি ভালো আছেন। ফান্ডামেন্টাল কিছু সমস্যা রয়েছে যেগুলো উদ্বেগজনক। একটি হচ্ছে তার হার্টের সমস্যা, অপরটি কিডনির সমস্যা। এই দুইটি নিয়ে মেডিকেল বোর্ড উদ্বিগ্ন আছেন। চিকিৎসকরা মনে করছেন, বাংলাদেশে যে হাসপাতালগুলো আছে, উন্নত সেন্টারগুলো আছে-খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য সেগুলো যথেষ্ট নয়।

খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা দরকার উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিশেষজ্ঞরা বলেছেন তার উন্নত চিকিৎসা দরকার। তার অসুখগুলো নিয়ে উন্নত সেন্টারে যাওয়া জরুরি। আমরা সেটা বার বার বলছি।

খালেদা জিয়ার এই বিষয়গুলো নিয়ে জামিনের জন্য আদালতে যাবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন- এ রকম প্রশ্নের উত্তর আমরা আগেও দিয়েছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয়েছে আদালতে। রাজনীতি থেকে শুরু করে আইনগতভাবে আদালতে ক্ষতিটা হয়েছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করেছে আদালত এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারপর যাবতীয় যেসব আইন হয়েছে, সেগুলো আদালত করেছেন।

খালেদা জিয়ার প্রতি যদি চরম অন্যায় হয়ে থাকে, তাহলে আদালত করেছেন। কোনো আইনেই তার সাজা হতে পারে না। আদালতের প্রতি আমাদের আস্থাটা এত কম যে ধীরে সুস্থে চিন্তাভাবনা করে আদালতে যাব।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ৩ মে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। দীর্ঘ একমাস পর তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে চলতি মাসের ৩ তারিখে তাকে সিসিইউ থেকে আবার কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছিল। বর্তমানে তিনি কেবিনেই চিকিৎসাধীন আছেন।

সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ফজলুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ব্যারিষ্টার কায়সার কামাল প্রমুখ।

এসএম//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে বেগম খালেদা জিয়া

Update Time : ০২:৪৮:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১

বিশেষ প্রতিনিধি :
পোস্ট কোভিড থেকে মুক্ত হলেও পুরনো রোগের জটিলতার কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতেই আছেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

শুক্রবার ১১ জুন গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন। খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানাতে সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের সর্বশেষ বক্তব্য হচ্ছে, মিনিমাম প্যারামিটারগুলো অনুযায়ী পোস্ট কোভিডের অবস্থা থেকে তিনি মোটামুটি ভালো আছেন। ফান্ডামেন্টাল কিছু সমস্যা রয়েছে যেগুলো উদ্বেগজনক। একটি হচ্ছে তার হার্টের সমস্যা, অপরটি কিডনির সমস্যা। এই দুইটি নিয়ে মেডিকেল বোর্ড উদ্বিগ্ন আছেন। চিকিৎসকরা মনে করছেন, বাংলাদেশে যে হাসপাতালগুলো আছে, উন্নত সেন্টারগুলো আছে-খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য সেগুলো যথেষ্ট নয়।

খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা দরকার উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিশেষজ্ঞরা বলেছেন তার উন্নত চিকিৎসা দরকার। তার অসুখগুলো নিয়ে উন্নত সেন্টারে যাওয়া জরুরি। আমরা সেটা বার বার বলছি।

খালেদা জিয়ার এই বিষয়গুলো নিয়ে জামিনের জন্য আদালতে যাবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন- এ রকম প্রশ্নের উত্তর আমরা আগেও দিয়েছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয়েছে আদালতে। রাজনীতি থেকে শুরু করে আইনগতভাবে আদালতে ক্ষতিটা হয়েছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করেছে আদালত এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারপর যাবতীয় যেসব আইন হয়েছে, সেগুলো আদালত করেছেন।

খালেদা জিয়ার প্রতি যদি চরম অন্যায় হয়ে থাকে, তাহলে আদালত করেছেন। কোনো আইনেই তার সাজা হতে পারে না। আদালতের প্রতি আমাদের আস্থাটা এত কম যে ধীরে সুস্থে চিন্তাভাবনা করে আদালতে যাব।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ৩ মে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। দীর্ঘ একমাস পর তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে চলতি মাসের ৩ তারিখে তাকে সিসিইউ থেকে আবার কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছিল। বর্তমানে তিনি কেবিনেই চিকিৎসাধীন আছেন।

সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ফজলুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ব্যারিষ্টার কায়সার কামাল প্রমুখ।

এসএম//