Dhaka ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল

বদলগাছীর টগর চেয়ারম্যান হত্যা মামলার ১৬ আসামি আপিলে খালাস

  • Update Time : ০৬:১৩:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুন ২০২১
  • / ২ Time View

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক :
১৯৯৪ সালের নওগাঁর বদলগাছী থানার কেশাইল গ্রামে হাশেম রেজা ওরফে টগর চেয়ারম্যান হত্যা মামলায় হাইকোর্টে যাবজ্জীবনদণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামিকে খালাস দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ভার্চ্যুয়াল আপিল বিভাগ বেঞ্চ আজ এ রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আসামীপক্ষে ছিলেন আইনজীবী সারোয়ার আহমেদ।

মামলার নথিতে দেখা যায়, বদলগাছী উপজেলার কেশাইলের শ্যামহার দিঘীতে পোনা ছাড়া ও পাড়ে কলা গাছ লাগানো নিয়ে ১৯৯৪ সালের ৩ জুন নওগার বদলগাছী থানার কেশাইল গ্রামে হাশেম রেজা ওরফে টগর চেয়ারম্যানকে গুলি করে করে হত্যা করা হয়। ঘটনার দিন রাতে টগর চেয়ারম্যানের ভাই আবুল হসনাত চৌধুরী বদলগাছী থানায় মামলা করেন।

বিচার শেষে ২০০৫ সালের ১০ জুলাই মুল আসামি ডা. নুরুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৮ আসামীকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন। একজন বাদে নুরুল ইসলামসহ বাকি আসামিরা আপিল করেন। ওই আপিল শুনানি শেষে ২০১১ সালের ২১ নভেম্বর হাইকোর্ট নুরুলের মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন দেন৷ বহাল রাখেন বাকি ১৭ জনের যাবজ্জীবন দণ্ডও।

আইনজীবী সারোয়ার আহমেদ জানান, এরপর আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ১৮ মার্চ রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পান ডা.নুরুল ইসলাম। ক্ষমা নিয়ে তিনি বেরিয়ে যান। চলতি বছরের ১৪ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মধ্যে সবুজ নামের একজন আসামিবাদে বাকী ১৬ আসামি আপিল বিভাগে আপিল করেন। যেটি বুধবার মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে ১৬ আসামি আজ খালাস পেয়েছেন। ১৬ জনের মধ্যে ইতোমধ্যে কয়েকজন মারাও গেছেন।

মামলার ২৭ বছর পর বিচারিক আদালত, হাইকোর্ট পেরিয়ে আজ আপিল বিভাগে রায় হলো।

বাসস/এএসজি/ডিএ//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বদলগাছীর টগর চেয়ারম্যান হত্যা মামলার ১৬ আসামি আপিলে খালাস

Update Time : ০৬:১৩:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুন ২০২১

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক :
১৯৯৪ সালের নওগাঁর বদলগাছী থানার কেশাইল গ্রামে হাশেম রেজা ওরফে টগর চেয়ারম্যান হত্যা মামলায় হাইকোর্টে যাবজ্জীবনদণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামিকে খালাস দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ভার্চ্যুয়াল আপিল বিভাগ বেঞ্চ আজ এ রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আসামীপক্ষে ছিলেন আইনজীবী সারোয়ার আহমেদ।

মামলার নথিতে দেখা যায়, বদলগাছী উপজেলার কেশাইলের শ্যামহার দিঘীতে পোনা ছাড়া ও পাড়ে কলা গাছ লাগানো নিয়ে ১৯৯৪ সালের ৩ জুন নওগার বদলগাছী থানার কেশাইল গ্রামে হাশেম রেজা ওরফে টগর চেয়ারম্যানকে গুলি করে করে হত্যা করা হয়। ঘটনার দিন রাতে টগর চেয়ারম্যানের ভাই আবুল হসনাত চৌধুরী বদলগাছী থানায় মামলা করেন।

বিচার শেষে ২০০৫ সালের ১০ জুলাই মুল আসামি ডা. নুরুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৮ আসামীকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন। একজন বাদে নুরুল ইসলামসহ বাকি আসামিরা আপিল করেন। ওই আপিল শুনানি শেষে ২০১১ সালের ২১ নভেম্বর হাইকোর্ট নুরুলের মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন দেন৷ বহাল রাখেন বাকি ১৭ জনের যাবজ্জীবন দণ্ডও।

আইনজীবী সারোয়ার আহমেদ জানান, এরপর আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ১৮ মার্চ রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পান ডা.নুরুল ইসলাম। ক্ষমা নিয়ে তিনি বেরিয়ে যান। চলতি বছরের ১৪ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মধ্যে সবুজ নামের একজন আসামিবাদে বাকী ১৬ আসামি আপিল বিভাগে আপিল করেন। যেটি বুধবার মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে ১৬ আসামি আজ খালাস পেয়েছেন। ১৬ জনের মধ্যে ইতোমধ্যে কয়েকজন মারাও গেছেন।

মামলার ২৭ বছর পর বিচারিক আদালত, হাইকোর্ট পেরিয়ে আজ আপিল বিভাগে রায় হলো।

বাসস/এএসজি/ডিএ//