নিজস্ব প্রতিবেদক :
আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে আইন ও বিচার বিভাগের জন্য ১ হাজার ৮১৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে।
এছাড়া সুপ্রিমকোর্টের জন্য ২২৫ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে সুপ্রিমকোর্টের জন্য বরাদ্দ ছিল ১৮৭ কোটি টাকা।
আজ (৩ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট বক্তৃতায় এই প্রস্তাব পেশ করেন।
আইন ও বিচার বিভাগের জন্য পরিচালন ও উন্নয়ন খাত মিলিয়ে আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ হাজার ৮১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে পরিচালন খাতে ১ হাজার ৪৬৪ কোটি এবং উন্নয়ন খাতে ৩৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে আইন ও বিচার বিভাগের জন্য পরিচালন ও উন্নয়ন খাত মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়।
এর মধ্যে পরিচালন খাতে ছিল ১ হাজার ৩১৩ কোটি এবং উন্নয়ন খাতে ৪০৩ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন হয়। এটি দেশের ৫০ তম এবং বর্তমান সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের তৃতীয়, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২১ তম বাজেট। দেশের ৫০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট এটি। নতুন অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট বিদায়ী অর্থবছরের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশী।
মহামারি করোনা ভাইরাস সংকটময় পরি¯ি’তি এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে মানুষের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা করে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের শিরোনাম ছিল ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ: ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’।
আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটের শিরোনাম ‘জীবন-জীবিকার প্রাধান্য দিয়ে সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ’।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ বিকালে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার তৃতীয় বাজেট। চলতি মাসেই প্রস্তাবিত এ বাজেট পাস হবে। আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হবে নতুন অর্থবছর ২০২১-২০২২।
মহামারীর বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে অর্থনীতির ক্ষত সারানোর পাশাপাশি মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষার চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে নতুন অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদের সামনে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেন, বিচার কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য তথ্য-প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের বিচার ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে। ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্পের আওতায় এটি ডিজিটালাইজড হবে। দেশের প্রতিটি আদালতকে ই-কোর্টে পরিনত করা হবে। আটককৃত দুধর্ষ আসামীদের আদালতে হাজির না করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচারকার্য পরিচালনা করা হবে। সুপ্রিমকোর্টসহ অধস্তন আদালতের কার্যক্রম অটোমেশন এবং নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। অধস্তন আদালতে বিচারাধীন মামলার তথ্য নিয়মিত ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বিচারপ্রার্থীরা শিগগিরই এর সুফল পাবেন বলে অর্থমন্ত্রী বলেন।
বাজেট/ডিএএম/
Leave a Reply