নিজস্ব প্রতিবেদক :
জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার সাধুপুরে বাবুল শেখ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেফতার ও মামলার দ্রুত চার্জশিট দাখিলের দাবী জানিয়েছেন নিহতের স্বজনেরা।
স্থানীয় তুচ্ছ বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ৩ মে বাবুল শেখকে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতের বাড়ি জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নের সাধুপুর গ্রামে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ৩০ এপ্রিল বিকালে বোরো ধান ক্ষেতে পানি দেয়া নিয়ে স্থানীয় ইদ্রিসের সাথে এ মামলার বাদী পক্ষের কথা কাটাকাটি হলে পরে তা স্থানীয় ভাবে মীমাংসা করা হয়। গত ৩ মে সকালে মীমাংসা হওয়া পূর্বের ঘটনার জেরে মামলার ১৬ আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০ হতে ১২ জন পূর্বপরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এ মামলার বাদীর ভাই বাবুল শেখের ওপর তার বাড়ির আঙ্গিনায় এসে হামলা চালায়। ওই হামলায় বাবুল শেখ মারাত্মক জখম হয়। এছাড়াও মামলার বাদীর ভাই শাহীন, ভাতিজা মোঃ হৃদয় জখম হন।
মারাত্মক জখম বাবুল শেখকে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। অপর দুই আহতকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনার পরদিন নিহত বাবুল শেখের ভাই মোঃ মুক্তি শেখ মেলান্দহ থানায় ১৬ জনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১৬ আসামি হচ্ছেন- মোঃ লাল মিয়া, মোঃ আনিছ, মোঃ শরাফত আলী ফেকু, মোঃ শরাফত, মোঃ বাদশা, ছবুরা খাতুন, মোঃ সোলায়মান, মোঃ চাঁন মিয়া, মোঃ ইদ্রিস, মোঃ মোশারফ, মোঃ নজরুল, মোঃ আশরাফ, মোঃ সজি, তালেব আলী, মোঃ রবিউল ও শেফালী বেগম।
মামলার বাদী ও স্বজনরা নির্মম বর্বরোচিত হামলা করে বাবুল শেখকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিদের অনেকে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন। তারা এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেফতার এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে দ্রুত এই মামলার চার্জশিট দাখিলে দাবী জানান।
অপরদিকে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) এসআই সুমন চন্দ্র সরকার সারাদেশ.নেট এর প্রতিবেদককে বলেন, এ মামলার এজাহারভুক্ত ৪ আসামি ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন। অন্যদেরও গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। তিনি মামলার চার্জশিট দাখিল বিষয়ে বলেন, এখনো মরদেহের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট তিনি পাননি। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পেলে চার্জশিট দাখিল হবে।
ডিএএম //
Leave a Reply