জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকঃ
সময় টিভির সিনিয়র রিপোর্টার ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেনের নামে মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার ও দুর্নীতিবাজ নাজির আলমগীরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে আইন,আদালত ও মানবাধিকার বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম(এলআরএফ)।
অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার ও মামলার বাদী দুর্নীতিবাজ নাজিদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে আহবান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, অন্যথার কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
রোববার সুপ্রিমকোর্টের মূল ফটকে সংগঠনটির এক মানববন্ধনে বক্তারা এ দাবি জানান।
এলআরএফ সভাপতি মাশহুদুল হক হুশিয়ারি দিয়ে বলেন,অবিলম্বে এলআরএফের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামল প্রত্যাহার না করলে সাংবাদিকদের নিয়ে নোয়াখালীতে দুর্নীতিবাজ নাজিরের অফিস ঘেরাও করা হবে। প্রয়োজনে নোয়াখালী আদালতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
এসময় তিনি দুর্নীতিবাজ নাজির আলমগীরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রধান বিচারপতি,আইনমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান।
মানববন্ধনে অন্যান্য বক্তারা বলেন,দুর্নীতির মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আফজাল হোসেন তার প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। এখানে তার ব্যক্তিগত কোনো বক্তব্য প্রচারিত হয়নি৷ এমন একটি প্রতিবেদন নিয়ে এভাবে হয়রানিমূলকভাবে একের পর এক মামলা করা উদ্বেগজনক৷ এ ধরনের মামলা স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মুক্তগণমাধ্যমের নীতির চূড়ান্ত অবমাননা।
বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের কন্ঠরোধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে উল্লেখ করে বক্তারা অবিলম্বে এই আইন বাতিলের দাবি জানান।
মানববন্ধনে এলআরএফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার,হাসান জাবেদসহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ডিআরইউ,র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ জামাল হোসাইন, এলআরএফের সাবেক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম পান্নু,নাজমুল আহসান রাজু উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন এলআরএফের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইয়াছিন।
উল্লেখ্য, আদালতের একজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রতিবেদন করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও মানহানির অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। নোয়াখালী আদালতের নাজির আলমগীর হোসেন গত ১১ মে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত ৫ মে নোয়াখালীর প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একই ব্যক্তি ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে আরেকটি মামলা করেন। আফজাল হোসেনসহ সময় টিভির তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়।
এমএইচডি/
Leave a Reply