সারাদেশ ডেস্ক :
আগামীকাল রোববার ৩০ মে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এ এফ এম নুরুল হক হাওলাদারের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী।
শরীয়তপুর নড়িয়া আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য জোবায়দা হক অজন্তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল হক ১৯৭৩ সালের ৩০ মে রাত ৮টায় আঁততায়ীর গুলিতে শহীদ হন। শরীয়তপুর জেলাধীন নড়িয়া উপজেলার সালধ গ্রামে তার নিজ বাড়ির বেঠকখানায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠকরত অবস্থায় আঁততায়ীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে।
নুরুল হক বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসস’র সিনিয়র রিপোর্টার ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন-এর শ্বশুর।
১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অত্যন্ত তরুণ বয়সে নূরুল হক আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নড়িয়া থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় তথা বাজেট অধিবেশন ছিল ২ জুন। বাজেট অধিবেশনে যোগ দিতে ১ জুন ঢাকা আসার কথা থাকলেও তার আর অধিবেশনে যোগ দেয়া সম্ভব হয়নি।
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে স্থানীয়ভাবে তিনি একজন সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন এবং দেশমাতৃকাকে স্বাধীন করতে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বীরত্বের সাথে লড়াই করেন।
জীবদ্দশায় তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন জাতির পিতার অত্যন্ত স্নেহভাজন ও ঘনিষ্ট সহচর।
‘৫২-এর ভাষা আন্দোলন ও ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ পাকিস্তানী জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলনে তিনি ঢাকার রাজপথে সক্রীয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নূরুল হক ফাউন্ডেশন তার গ্রামের বাড়িতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্ব কোরআনখানি, মিলাদ মাহফিল ও কাঙ্গালি ভোজের আয়োজন করেছে।
এসএম//
Leave a Reply