মোশারফ হোসেন ভূইঁয়া :
প্রথম আলোর জেষ্ঠ্য প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে জামিনই নয় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে দাবী জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ছয়ঘন্টা আটকে রেখে নির্যাতন করে কারাগারে প্রেরণ করায় তীব্র নিন্দা জানান নেতৃবৃন্দ। রোজিনা ইসলামকে হেনস্তার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন গাজী, সিনিয়র সাংবাদিক শাহাদাত হোসেনের অবিলম্বে মুক্তি দাবী করেন নেতৃবৃন্দ।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব দাবী করেন।
সাংবাদিক জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে জাতীয় প্রেসক্লাব ও বিএফইউজের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বিএফইউজে’র সভাপতি এম আবদুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান প্রমূখ বক্তৃতা করেন।
সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তৃতা করেন ডাকসু’র সাবেক ভিপি ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর।
সমাবেশ সঞ্চালননা করেন ডিইউজে’র সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার ও সাবেক নির্বাহী পরিষদ সদস্য এইচএম আল আমিন
সমাবেশে ডিইউজে’র বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
মত প্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ থেকে তাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে বলে নেতৃবৃন্দ বলেন।
এদিকে আজ রোববার সকালে অফিসিয়াল সিক্রেটস এ্যাক্টে আনা মামলায় গ্রেফতার সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে জামিন দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। ভার্চুয়ালি শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম বাকী বিল্লা পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকা এবং পাসপোর্ট জমা দেয়ার শর্তে তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
রোজিনার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার। তবে আদালত ওইদিন কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে বিষয়টি আজ রোববার আদেশের জন্য রাখেন।
ভার্চুয়াল শুনানি হওয়ায় রোজিনাকে আদালতে আনা হয়নি। তাকে রাখা হয়েছে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে। আজ সন্ধ্যায় কারামুক্তির পর তাকে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়।
রাষ্ট্রীয় গোপন নথি চুরির চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে গত ১৭ মে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের এক কর্মকর্তার কক্ষে প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে রাতে তাকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করে ব্রিটিশ আমলের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ও দণ্ডিবিধির কয়েকটি ধারায় মামলা করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।
সচিবালয়ে আটকে রাখার সময় রোজিনাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করা হয়। সাংবাদিক রোজিনাকে হেনস্তা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন সকল সাংবাদিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠন। সাংবাদিক রোজিনাকে হেনস্তা ও মামলা এবং গ্রেফতারের ঘটনায় দেশ ও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
এমএইচ//
Leave a Reply