Dhaka ০২:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল

খালেদা জিয়ার হার্ট ও কিডনির সমস্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা

  • Update Time : ০১:০৮:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মে ২০২১
  • / ১ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তবে খালেদা জিয়ার হার্ট ও কিডনির সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকরা উদ্বিগ্ন বলে জানান ফখরুল।

শুক্রবার ২১ মে দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের এক আলোচনা সভায় দলের চেয়ারপারসনের সবশেষ শারীরিক অবস্থা তুলে ধরতে গিয়ে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তির পর তার মুখে এই প্রথম হাসি দেখেছেন বলেও জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, আমি গতকাল রাতে ম্যাডামকে দেখতে গিয়েছিলাম হাসপাতালে। গতকাল আমার দেখে একটু ভালো লেগেছে, ভালো লেগেছে যে আমি তার মুখে একটু হাসি দেখেছি। যেটা এই কদিন ছিল না, একেবারেই ছিল না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, গতকাল আমি ডাক্তারদের কাছ থেকে তার চিকিৎসার বিষয়ে যেটা জানতে পেরেছি সেটা হচ্ছে, তার অক্সিজেন স্যাচুরেশন এখন বেশ ভালো, তার যে টেম্পারেচার, সেটা এখন নেই এবং তার শ্বাসকষ্ট এখন নেই।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, কিন্তু যেটা একটু উদ্বিগ্ন হওয়ার বিষয় এটা হচ্ছে যে, তার পোস্ট কোভিড যে কমপ্লিকেশন (জটিলতা), সেই কমপ্লিকেশনে তার হার্ট এবং কিডনি একটু অ্যাফেক্টেড। এ নিয়ে চিকিৎসকেরা উদ্বিগ্ন-চিন্তিত। তারা চেষ্টা করছেন, এটাকে কী করে নিরাময় করবেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, চিকিৎসকরা আমাদের যেটা বলেছেন যে, তার উন্নত চিকিৎসা যেখানে সমস্ত ইকুপমেন্টগুলো আছে যেগুলো দিয়ে এই ধরনের চিকিৎসাগুলো করা সম্ভব, যেটা এখানে নেই। এখানেও (এভারকেয়ার হাসপাতাল) ভালো কিন্তু সেগুলো অ্যাভেইলেবেল না। সেকারণে বাইরে চিকিৎসার জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিলো। দুর্ভাগ্য আমাদের এই সরকার সেটা দেয়নি। তারা মনে করে যে, খালেদা জিয়া যদি বাইরে যান গিয়ে হয়তো আবার সুস্থ হয়ে তাদের বিরুদ্ধে কাজ শুরু করবেন।

ভয় কেন এত? প্রশ্ন করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে এত ভয় কেন? একটি মাত্র কারণ যে, তিনি জনগণের সত্যিকারের প্রতিনিধি বা নেতা যদি থাকেন তিনিই একমাত্র নেতা। আমরা আশাবাদী খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।

খালেদা জিয়া জিয়া সম্পর্কে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আপনারা সবাই জানেন যে, তিনি করোনাতে আক্রান্ত হওয়ার পরে তার করোনা সংক্রান্ত অনেকগুলো জটিলতা দেখা দেয় এবং শ্বাসকষ্ট বোধ করলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাতে চাই চিকিৎসকদের, তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও হাসপাতালের চিকিৎসকদের যারা সম্পূর্ণ আন্তরিকতা নিয়ে তার চিকিৎসা করছেন। প্রতিদিন তারা মেডিক্যাল বোর্ড করছেন, প্রতিদিন তারা তার চিকিৎসার মনিটর করে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। একই সঙ্গে তারা আমেরিকা ও ইংল্যান্ড এই দুটি দেশের চিকিৎসদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

তিনি বলেন, দেশনেত্রীর চিকিৎসা সম্পর্কে সবার আগ্রহ, সবাই জানতে চান প্রতিদিন। কারণ তো একটাই যে, দেশনেত্রীকে এ দেশের মানুষ তাদের হৃদয়ের কাছের মানুষ মনে করে। আপন মানুষ মনে করে। তাকে তারা মনে করেন যে, তিনি হচ্ছেন আমাদের সেই আশ্রয়স্থল যার মাধ্যমে আমরা আমাদের স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে পারবো। আমাদের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে পারবো। আমাদের গণতন্ত্রকে আমরা ফিরিয়ে আনতে পারবো। এটা আমাদের মানুষের ধারণা, একেবারে গ্রামের মানুষের। আমি ঠাকুরগাঁও গিয়েছিলাম, গ্রামে গ্রামে ঘুরেছি। প্রত্যেকটি মানুষের একটি প্রশ্ন যে, ম্যাডাম কেমন আছেন, ম্যাডাম সুস্থ হবেন তো, ম্যাডাম আবার আমাদের সামনে আসবেন তো।

গত ১০ এপ্রিল করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার পর গুলশানের বাসা ফিরোজায় ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের অধীনে চিকিৎসাধীন থাকার পর তাদের পরামর্শে ২৭ এপ্রিল থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গত ৩ মে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে চিকিৎসকরা তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করেন। সেদিন থেকে তার সেখানেই চিকিৎসা চলছে।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

খালেদা জিয়ার হার্ট ও কিডনির সমস্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা

Update Time : ০১:০৮:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মে ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তবে খালেদা জিয়ার হার্ট ও কিডনির সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকরা উদ্বিগ্ন বলে জানান ফখরুল।

শুক্রবার ২১ মে দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের এক আলোচনা সভায় দলের চেয়ারপারসনের সবশেষ শারীরিক অবস্থা তুলে ধরতে গিয়ে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তির পর তার মুখে এই প্রথম হাসি দেখেছেন বলেও জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, আমি গতকাল রাতে ম্যাডামকে দেখতে গিয়েছিলাম হাসপাতালে। গতকাল আমার দেখে একটু ভালো লেগেছে, ভালো লেগেছে যে আমি তার মুখে একটু হাসি দেখেছি। যেটা এই কদিন ছিল না, একেবারেই ছিল না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, গতকাল আমি ডাক্তারদের কাছ থেকে তার চিকিৎসার বিষয়ে যেটা জানতে পেরেছি সেটা হচ্ছে, তার অক্সিজেন স্যাচুরেশন এখন বেশ ভালো, তার যে টেম্পারেচার, সেটা এখন নেই এবং তার শ্বাসকষ্ট এখন নেই।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, কিন্তু যেটা একটু উদ্বিগ্ন হওয়ার বিষয় এটা হচ্ছে যে, তার পোস্ট কোভিড যে কমপ্লিকেশন (জটিলতা), সেই কমপ্লিকেশনে তার হার্ট এবং কিডনি একটু অ্যাফেক্টেড। এ নিয়ে চিকিৎসকেরা উদ্বিগ্ন-চিন্তিত। তারা চেষ্টা করছেন, এটাকে কী করে নিরাময় করবেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, চিকিৎসকরা আমাদের যেটা বলেছেন যে, তার উন্নত চিকিৎসা যেখানে সমস্ত ইকুপমেন্টগুলো আছে যেগুলো দিয়ে এই ধরনের চিকিৎসাগুলো করা সম্ভব, যেটা এখানে নেই। এখানেও (এভারকেয়ার হাসপাতাল) ভালো কিন্তু সেগুলো অ্যাভেইলেবেল না। সেকারণে বাইরে চিকিৎসার জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিলো। দুর্ভাগ্য আমাদের এই সরকার সেটা দেয়নি। তারা মনে করে যে, খালেদা জিয়া যদি বাইরে যান গিয়ে হয়তো আবার সুস্থ হয়ে তাদের বিরুদ্ধে কাজ শুরু করবেন।

ভয় কেন এত? প্রশ্ন করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে এত ভয় কেন? একটি মাত্র কারণ যে, তিনি জনগণের সত্যিকারের প্রতিনিধি বা নেতা যদি থাকেন তিনিই একমাত্র নেতা। আমরা আশাবাদী খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।

খালেদা জিয়া জিয়া সম্পর্কে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আপনারা সবাই জানেন যে, তিনি করোনাতে আক্রান্ত হওয়ার পরে তার করোনা সংক্রান্ত অনেকগুলো জটিলতা দেখা দেয় এবং শ্বাসকষ্ট বোধ করলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাতে চাই চিকিৎসকদের, তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও হাসপাতালের চিকিৎসকদের যারা সম্পূর্ণ আন্তরিকতা নিয়ে তার চিকিৎসা করছেন। প্রতিদিন তারা মেডিক্যাল বোর্ড করছেন, প্রতিদিন তারা তার চিকিৎসার মনিটর করে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। একই সঙ্গে তারা আমেরিকা ও ইংল্যান্ড এই দুটি দেশের চিকিৎসদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

তিনি বলেন, দেশনেত্রীর চিকিৎসা সম্পর্কে সবার আগ্রহ, সবাই জানতে চান প্রতিদিন। কারণ তো একটাই যে, দেশনেত্রীকে এ দেশের মানুষ তাদের হৃদয়ের কাছের মানুষ মনে করে। আপন মানুষ মনে করে। তাকে তারা মনে করেন যে, তিনি হচ্ছেন আমাদের সেই আশ্রয়স্থল যার মাধ্যমে আমরা আমাদের স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে পারবো। আমাদের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে পারবো। আমাদের গণতন্ত্রকে আমরা ফিরিয়ে আনতে পারবো। এটা আমাদের মানুষের ধারণা, একেবারে গ্রামের মানুষের। আমি ঠাকুরগাঁও গিয়েছিলাম, গ্রামে গ্রামে ঘুরেছি। প্রত্যেকটি মানুষের একটি প্রশ্ন যে, ম্যাডাম কেমন আছেন, ম্যাডাম সুস্থ হবেন তো, ম্যাডাম আবার আমাদের সামনে আসবেন তো।

গত ১০ এপ্রিল করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার পর গুলশানের বাসা ফিরোজায় ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের অধীনে চিকিৎসাধীন থাকার পর তাদের পরামর্শে ২৭ এপ্রিল থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গত ৩ মে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে চিকিৎসকরা তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করেন। সেদিন থেকে তার সেখানেই চিকিৎসা চলছে।

এসএস//