Dhaka ০৭:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

প্রকাশ্যে হত্যা মামলার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

  • Update Time : ০২:১৪:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মে ২০২১
  • / ০ Time View

অপরাধ ডেস্ক :
জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে সাহিনুদ্দীন নামে এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি মানিক র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুরের ইষ্টার্ন হাউজিং এলাকায় র‍্যাব-৪ এর একটি দল তাকে গ্রেফতার করতে গেলে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হয় মানিক।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শুক্রবার সকালে র‌্যাব-৪ এর সিনিয়র এএসপি সাজেদুল ইসলাম সজল বলেন, গত ১৬ মে রাজধানীর পল্লবীতে নিজ সন্তানের সামনে স্থানীয় বেশ কিছু জমির মালিক সাহিনুদ্দীনকে সন্ত্রাসীরা চাপাতি, রামদাসহ বিভিন্ন ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

ওই ঘটনায় ১৭ মে নিহত সাহিনুদ্দীনের মা আকলিমা রাজধানী পল্লবী থানায় ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

পরে র‍্যাব মামলার তিন আসামি লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান মো. আউয়াল, মো. হাসান ও জহিরুল ইসলাম বাবু।

সজল বলেন, গতরাতে আমাদের কাছে তথ্য আসে সাহিনুদ্দিন হত্যায় জড়িত মানিকসহ কয়েকজন ঢাকা থেকে পালানোর জন্য মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় অবস্থান নেয়। র‍্যাব-৪ এর দল সেখানে অভিযানে যায়। র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে মানিকসহ তার সঙ্গীরা। র‍্যাবও গুলি ছোড়ে। পরে ঘটনাস্থল থেকে মানিকের মরদেহ পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল অস্ত্র-গুলি ছাড়াও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলেও দাবি সিনিয়র এএসপি সজলের।

হত্যাকাণ্ডটি পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যে সংঘটিত হয়। ঘটনা শেষে হত্যাকারী সুমন হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী সাবেক সংসদ সদস্য আউয়ালকে মোবাইলে ফোন করে বলে, ‘স্যার ফিনিশ’।

সাহিনুদ্দিনকে হত্যার নির্মম দৃশ্য ধরা পড়ে পাশের একটি ক্যামেরায়। এতে দেখা যায়- দুই তরুণ দুই পাশ থেকে সাহিনুদ্দিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাচ্ছেন। একপর্যায়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর হামলাকারী একজন চলে যান। অপরজন সাহিনুদ্দিনের ঘাড়ে কোপাতে থাকেন মৃত্যু হওয়া পর্যন্ত।

রাজধানীর পল্লবীর ডি–ব্লকের ৩১ নম্বর রোডে সংঘঠিত ওই রোমহর্ষ ঘটনার ৩১ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজে যে দুজন হামলাকারীকে দেখা গেছে, তারা হলেন বন্দুকযুদ্ধে নিহত মানিক ও আরেকজন পলাতক মনির।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

প্রকাশ্যে হত্যা মামলার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

Update Time : ০২:১৪:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মে ২০২১

অপরাধ ডেস্ক :
জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে সাহিনুদ্দীন নামে এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি মানিক র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুরের ইষ্টার্ন হাউজিং এলাকায় র‍্যাব-৪ এর একটি দল তাকে গ্রেফতার করতে গেলে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হয় মানিক।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শুক্রবার সকালে র‌্যাব-৪ এর সিনিয়র এএসপি সাজেদুল ইসলাম সজল বলেন, গত ১৬ মে রাজধানীর পল্লবীতে নিজ সন্তানের সামনে স্থানীয় বেশ কিছু জমির মালিক সাহিনুদ্দীনকে সন্ত্রাসীরা চাপাতি, রামদাসহ বিভিন্ন ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

ওই ঘটনায় ১৭ মে নিহত সাহিনুদ্দীনের মা আকলিমা রাজধানী পল্লবী থানায় ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

পরে র‍্যাব মামলার তিন আসামি লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান মো. আউয়াল, মো. হাসান ও জহিরুল ইসলাম বাবু।

সজল বলেন, গতরাতে আমাদের কাছে তথ্য আসে সাহিনুদ্দিন হত্যায় জড়িত মানিকসহ কয়েকজন ঢাকা থেকে পালানোর জন্য মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় অবস্থান নেয়। র‍্যাব-৪ এর দল সেখানে অভিযানে যায়। র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে মানিকসহ তার সঙ্গীরা। র‍্যাবও গুলি ছোড়ে। পরে ঘটনাস্থল থেকে মানিকের মরদেহ পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল অস্ত্র-গুলি ছাড়াও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলেও দাবি সিনিয়র এএসপি সজলের।

হত্যাকাণ্ডটি পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যে সংঘটিত হয়। ঘটনা শেষে হত্যাকারী সুমন হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী সাবেক সংসদ সদস্য আউয়ালকে মোবাইলে ফোন করে বলে, ‘স্যার ফিনিশ’।

সাহিনুদ্দিনকে হত্যার নির্মম দৃশ্য ধরা পড়ে পাশের একটি ক্যামেরায়। এতে দেখা যায়- দুই তরুণ দুই পাশ থেকে সাহিনুদ্দিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাচ্ছেন। একপর্যায়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর হামলাকারী একজন চলে যান। অপরজন সাহিনুদ্দিনের ঘাড়ে কোপাতে থাকেন মৃত্যু হওয়া পর্যন্ত।

রাজধানীর পল্লবীর ডি–ব্লকের ৩১ নম্বর রোডে সংঘঠিত ওই রোমহর্ষ ঘটনার ৩১ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজে যে দুজন হামলাকারীকে দেখা গেছে, তারা হলেন বন্দুকযুদ্ধে নিহত মানিক ও আরেকজন পলাতক মনির।

এসএস//