সারাদেশ ডেস্ক :
হজরত মুহাম্মদ সা: ছিলেন শুদ্ধ সংস্কৃতির নির্মাতা এবং পরিচ্ছন্নতা ও মানসিক ঔজ্জ্বল্যে তিনি ছিলেন এক মহিমান্বিত মানুষ। তাঁর প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা,ঔদার্য,বিবেচনাবোধ তাঁর সময় ও পরিবেশ থেকে তাঁকে স্বাতন্ত্র দিয়েছে। অথচ তাঁর সমাজ ও সময়, তাঁর যুগ ও পরিবেশ ছিল পঙ্কিলতায় নিমজ্জিত।
হযরত আনাস(রা.) বলেন, মদিনায় নবী সা: হিজরত করে আসার পর দেখলেন, মদীনাবাসী দু’দিন খুব আনন্দ উৎসব করছে, তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, এ দুদিনে তোমরা কী কর?
তারা বললেন, আমরা জাহিলিয়্যাতের যুগে এ দুটো দিন খেলাধুলা, আমোদ ফুর্তি করতাম। নবী সা: বললেন, আল্লাহতায়ালা তোমাদের এ দুটি দিনের পরিবর্তে অন্য দুটি দিন প্রদান করেছেন। তার একটি হলো ঈদুল আযহার দিন ও অপরটি হলো ঈদুল ফিতরের দিন (সুনানু আবু দাউদ: ১১৩৬)।
আরবি ঈদ শব্দটি ‘আওদ’ শব্দমূল থেকে উদ্ভূত এর আভিধানিক অর্থ ফিরে আসা৷ ইবনে জারির রা. দ্বিতীয় হিজরিতে সংঘটিত ঘটনাবলির মাঝে ঈদের নামাজের কথা উল্লেখ করেছেন, তিনি বলেন- নবী করীম সা: এ বছরই মানুষদেরকে নিয়ে ঈদগাহে গমন করেন এবং ঈদের নামাজ আদায় করেন আর এটিই ছিলো ইসলামে প্রথম ঈদের নামাজ। আর এভাবেই মুসলিম উম্মাহ পরিপূর্ণ নেয়ামত কামেল শরীয়ত নিয়ে স্বয়ংসম্পন্ন হয়েছে।
আল্লাহ বলেন, “তোমার নিকট যে হক এসেছে তা বাদ দিয়ে তুমি তাদের অনুসরণ করো না, কেননা আমি তোমাদের সকলকে শরীয়ত ও বিধান দান করেছি”। (সূরা মায়েদা : ৪৮)।
মুসলিম বিশ্বে ঈদ আসে আনন্দের ভিন্ন সংজ্ঞা নিয়ে, সারা বিশ্বে যখন ‘ভোগেই প্রকৃত সুখ’ তত্ত্বের চর্চা হচ্ছে ঠিক তখনি মুসলিমরা ‘ত্যাগেই প্রকৃত সুখ’ এর দীক্ষা নিচ্ছে। রবের প্রিয়দের জন্য এ শিক্ষা সাময়িক নয় বরং মুসলিমদের পুরো জীবন হবে রমাদানের আদর্শকে ধারণ করে। এক মাস রমাদানের পর ঈদুল ফিতর আসে সিয়াম পালনকারীদের জন্য ক্ষমার বার্তা নিয়ে, ত্যাগের সাথে আনন্দের সমন্বয়ে মু’মিন বান্দার জন্য ঈদ একটি আনন্দোপহার।
এমএম//
Leave a Reply