নিজস্ব প্রতিবেদক:
চালক শাহ আলম মাদকাসক্ত হওয়ার কারণে পদ্মা নদীতে স্পিডবোট দুর্ঘটনা ঘটে এবং এতে ২৬ জন প্রাণ হারায় বলে জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
গত ৩ মে মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মায় স্পিডবোট দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করতে কমিটি গঠন করে মাদারীপুর জেলা প্রশাসন। সেই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে নৌপুলিশের দায়িত্বে অবহেলাসহ ৮টি কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। দুর্ঘটনারোধে ২৩টি সুপারিশও করেছে তদন্ত কমিটি।
রোববার ৯ মে দুপুরে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুনের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কমিটির প্রধান আজাহারুল ইসলাম। মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন গণমাধ্যমকে জানান, মাদকাসক্ত হয়ে চালক শাহ আলম স্পিডবোট চালানোতেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
গত ৩ মে ভোরে শিমুলিয়ার্ ঘাট থেকে বাংলাবাজার ঘাটে আসার পথে কাঁঠালবাড়িতে নোঙর করা বাল্কহেডকে সজোরে ধাক্কা দেয় দ্রুতগতির স্পিডবোট। এতে প্রাণ হারায় ২৬ জন যাত্রী। আহত হয় স্পিডবোটের চালকসহ ৫ জন।
দুর্ঘটনার পরে চালক মো. শাহ আলমকে গুরুতর অবস্থায় শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। প্রশাসনের নির্দেশে ওই চালক মাদকাসক্ত কি না তা জানার জন্য ডোপ টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে তার ডোপ টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আছে। অর্থাৎ তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন।
মর্মান্তিক এই ঘটনায় কাঁঠালবাড়ি ঘাটের নৌপুলিশের এসআই লোকমান হোসেন বাদী হয়ে শিবচর থানায় ঘাটের ইজারাদার শাহ আলম খান, স্পিডবোটের দুই মালিক চান্দু মিয়া, রেজাউল ও চালক শাহ আলমের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
এই ঘটনায় মাদারীপুরের জেলা প্রশাসন থেকে স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের উপপরিচালক আজহারুল ইসলামকে প্রধান করে ছয় সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
একটি দূর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। এ দূর্ঘটনায় ২৬ জন প্রাণ হারান। পিতা-মাতা ভাই বোনকে হারিয়ে বেঁচে আছেন ৯ বছরের শিশু মিম। তার কান্না ও আহাজারিতে কেঁদেছে বহু মানুষ। এভাবে আর কতো মূল্য দিতে?
ডিএএম//
Leave a Reply