1. newsroom@saradesh.net : News Room : News Room
  2. saradesh.net@gmail.com : saradesh :
স্পিডবোট দূর্ঘটনায় নিহত ২৬, পরিবারের সবাইকে হারালো শিশু মিম - সারাদেশ.নেট
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার হাইকোর্টে ২৩ অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ খালাস পেলেন যুবদল নেতা আইনজীবী নুরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ আপিল বিভাগে তালিকাভুক্ত হলেন এডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা

স্পিডবোট দূর্ঘটনায় নিহত ২৬, পরিবারের সবাইকে হারালো শিশু মিম

  • Update Time : মঙ্গলবার, ৪ মে, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সোমবার ৩ মে ভোররাতে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ীর বাংলাবাজার পুরনো ঘাটে পদ্মা নদীতে বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে স্পিডবোট ডুবে তিন শিশু ও দুই নারীসহ ২৬ জন নিহত হয়েছে।

মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় পরিবারের সবাইকে হারিয়েছে শিশু মীম আক্তার। খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার বারখালী গ্রামের মনির মিয়া ও হেনা বেগম দম্পতির সন্তান। বয়স ৯ বছর। মা, বাবা আর তিন বোন মিলে ছিলো তাদের সংসার। শনিবার (১ মে) দিবাগত রাতে খুলনায় মীমের দাদি মারা যায়। সেই খবর পেয়ে পরিবারের সবাই খুলনায় যাচ্ছিলেন ঢাকা থেকে। কিন্তু পদ্মা নদীতে দুর্ঘটনায় দাদির লাশ দাফনের আগে পরিবারের সবাইকে হারালো মীম। এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে মীমের বাবা মনির মিয়া (৩৮), মা হেনা বেগম (৩৬), বোন সুমী আক্তার (৫) ও রুমি আক্তার (৩)। বেঁচে গেছে শুধু মীম।

সোমবার (৩ মে) ভোররাতে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ীর বাংলাবাজার পুরনো ঘাটে পদ্মা নদীতে বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে স্পিডবোট ডুবে তিন শিশু ও দুই নারীসহ ২৬ জন নিহত হয়।

কাঁঠালবাড়ীর হাজী ইয়াসিন মোল্লাকান্দি দোতার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গণে লাশ এনে রাখা হয়। সেখানে স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে ওঠে।

দুর্ঘটনায় স্পিডবোট দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় ছিটকে নদীর তীরে বালুর মধ্যে পড়ে মীম। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। দুপুর ৩টার দিকে তাকে নিয়ে আসা হয় বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গণে। সেখানে রাখা ছিলো দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ। মীম বাবা, মা ও দুই বোনের মরদেহ শনাক্ত করে। তখন কান্নায় ভেঙে পড়ে মীম। মীমের কান্না দেখে অনেকে অশ্রু ধরে রাখতে পারেননি।


মীম বলে, ‘দাদির লাশ দেখতে খুলনা যাচ্ছিলাম বাবা-মার সঙ্গে। দাদির লাশ দাফনের আগে সবাই মারা গেলো। আমি এখন কার কাছে থাকবো?

কোনরূপ বৈধতা না থাকার পরও এখানে স্পিডবোট সার্ভিস চলছে দীর্ঘদিন ধরে। প্রায়শ ঘটছে দূর্ঘটনা ও প্রাণহানি।

দেখার কেউ নেই??
একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। তবুও আমরা সচেতন হই না….

ডিএএম //

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *