Dhaka ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল

মহামারির মধ্যেও রিজার্ভের রেকর্ড

  • Update Time : ১১:৫৮:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মে ২০২১
  • / ২ Time View

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক :
ঈদের আগে প্রবাসীদের পাঠানো আয়ে বড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এর ওপর ভর করেই বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশী মুদ্রার মজুত প্রথমবারের মতো ৪৫ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার অতিক্রম করেছে।

সোমবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫১০ কোটি ডলার।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশী মুদ্রার মজুত থাকতে হয়। এই রিজার্ভ দিয়ে প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার হিসেবে ১১ মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিশ্বজুড়ে করোনার প্রকোপের মধ্যে দেশের বাইরে অবস্থানরত বাংলাদেশীরা বেশি বেশি টাকা পাঠানো শুরু করেছেন। বিদায়ী এপ্রিলে প্রবাসীরা সব মিলিয়ে ২০৬ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশী টাকায় যার পরিমাণ ১৭ হাজার ৫১০ কোটি টাকা। গত বছরের এপ্রিলে দেশে এসেছিল ১০৯ কোটি ডলার। আর মে মাসের প্রথম দুই দিনে আয় এসেছে ১৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বেড়ে ৪৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা বলেন, মার্চ-এপ্রিলের এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১৭৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার বিল বাকি রয়েছে, যা কাল মঙ্গলবার পরিশোধ করতে হবে। এর ফলে কালই রিজার্ভের পরিমাণ কমে আসবে।

আকুর সদস্যদেশগুলোর মধ্যে আমদানি-রফতানির অর্থ পরিশোধ হয়ে থাকে আকুর মাধ্যমে। ৯টি দেশের মধ্যকার আমদানি-রফতানিতে কোনো দেনা-পাওনা থাকলে তা দুই মাস পর এসব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মিটিয়ে থাকে। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ-এই ৯টি দেশ বর্তমানে আকুর সদস্য।

এই রিজার্ভ দিয়ে প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার হিসেবে ১১ মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকার ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করার পর থেকেই বৈধ পথে প্রবাসী আয়ে গতি আসতে থাকে। অবৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো কমে যায়। করোনার মধ্যে প্রবাসী আয়ে বড় ধরনের ধাক্কা লাগার আশঙ্কা করা হলেও তেমন প্রভাব পড়েনি।

এখন সরকারের ২ শতাংশের সাথে অগ্রণী, রূপালী, ইসলামী ব্যাংকসহ আরো বেশ কয়েকটি ব্যাংক বাড়তি ১ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে। আবার মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকার বেশি এলেও সরকারি ২ শতাংশের সাথে অতিরিক্ত ১ শতাংশ প্রণোদনা মিলছে। সব মিলিয়ে বৈধ পথে প্রবাসী আয় আসা বেড়েছে।

এসএম//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

মহামারির মধ্যেও রিজার্ভের রেকর্ড

Update Time : ১১:৫৮:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মে ২০২১

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক :
ঈদের আগে প্রবাসীদের পাঠানো আয়ে বড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এর ওপর ভর করেই বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশী মুদ্রার মজুত প্রথমবারের মতো ৪৫ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার অতিক্রম করেছে।

সোমবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫১০ কোটি ডলার।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশী মুদ্রার মজুত থাকতে হয়। এই রিজার্ভ দিয়ে প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার হিসেবে ১১ মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিশ্বজুড়ে করোনার প্রকোপের মধ্যে দেশের বাইরে অবস্থানরত বাংলাদেশীরা বেশি বেশি টাকা পাঠানো শুরু করেছেন। বিদায়ী এপ্রিলে প্রবাসীরা সব মিলিয়ে ২০৬ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশী টাকায় যার পরিমাণ ১৭ হাজার ৫১০ কোটি টাকা। গত বছরের এপ্রিলে দেশে এসেছিল ১০৯ কোটি ডলার। আর মে মাসের প্রথম দুই দিনে আয় এসেছে ১৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বেড়ে ৪৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা বলেন, মার্চ-এপ্রিলের এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১৭৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার বিল বাকি রয়েছে, যা কাল মঙ্গলবার পরিশোধ করতে হবে। এর ফলে কালই রিজার্ভের পরিমাণ কমে আসবে।

আকুর সদস্যদেশগুলোর মধ্যে আমদানি-রফতানির অর্থ পরিশোধ হয়ে থাকে আকুর মাধ্যমে। ৯টি দেশের মধ্যকার আমদানি-রফতানিতে কোনো দেনা-পাওনা থাকলে তা দুই মাস পর এসব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মিটিয়ে থাকে। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ-এই ৯টি দেশ বর্তমানে আকুর সদস্য।

এই রিজার্ভ দিয়ে প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার হিসেবে ১১ মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকার ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করার পর থেকেই বৈধ পথে প্রবাসী আয়ে গতি আসতে থাকে। অবৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো কমে যায়। করোনার মধ্যে প্রবাসী আয়ে বড় ধরনের ধাক্কা লাগার আশঙ্কা করা হলেও তেমন প্রভাব পড়েনি।

এখন সরকারের ২ শতাংশের সাথে অগ্রণী, রূপালী, ইসলামী ব্যাংকসহ আরো বেশ কয়েকটি ব্যাংক বাড়তি ১ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে। আবার মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকার বেশি এলেও সরকারি ২ শতাংশের সাথে অতিরিক্ত ১ শতাংশ প্রণোদনা মিলছে। সব মিলিয়ে বৈধ পথে প্রবাসী আয় আসা বেড়েছে।

এসএম//