কলকাতা প্রতিনিধি :
ক্যারিসমাটিক জাতীয়তাবাদী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলকেই টানা তৃতীয় বার বেছে নিল পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যবাসী।

এক অসম ও কঠিন লড়াইয়ে ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এ জয় বাংলার জয়, প্রথম কাজ হবে করোনা মোকাবিলা।

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার নির্বাচনে বিপুল ভোটে তৃণমূলের জয়ের পর আজ রোববার সন্ধ্যায় দলটির নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘এবার আমাদের প্রথম কাজ হবে করোনা মোকাবিলা করা।’

মমতা আজ সন্ধ্যায় তাঁর কালীঘাটের দপ্তরে বলেন, এই জয়ের জন্য তিনি প্রথমেই অভিনন্দন জানান রাজ্যবাসীকে। তাদের আশীর্বাদেই তৃণমূল এবার বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে। এ জয় বাংলার জয়, বাংলার মানুষের জয়। এই জয় ভারতবর্ষের মানুষকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল ২২১ আসনে জয়ের। আমরা এখন জয়ের পথে ২১৫টি আসনে।

মমতা বলেন, ‘এবার সত্যিই খেলা হয়েছে। আর সেই খেলায় আমরা জিতেছি। তাই আমি গ্রামের বিভিন্ন ক্লাবকে ৫০ হাজার ফুটবল উপহার দেব। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বিনা মূল্যে ভ্যাকসিন চাইব। না দিলে আন্দোলনে নামব।’ তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে এখন বিজয় উৎসব নয়। করোনা গেলে আমরা কলকাতার ব্রিগেডে বিজয় উৎসব করব।’

সর্বশেষ খবরে রাজ্যের ২৯২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জিতছে অথবা জিততে চলেছে ২১৫টি আসনে। আর বিজেপি জিতছে অথবা জিততে চলেছে ৭৫টি আসনে। সংযুক্ত মোর্চা মাত্র একটি আসনে।

মমতা বলেন, আমাদের এই বিপুল বিজয় মেনে নিয়ে আমাদের এই রাজ্যের উন্নয়নে ব্রতী হতে হবে। রাজ্যবাসীর কাছে আমাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি পালন করতে হবে। মনে রাখতে হবে এই বাংলার মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে আমরা জিতেছি। এই জয়কে আমাদের ধরে রেখে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে।

পশ্চিম বঙ্গ ৮ দফা ভোট শেষ হয় ২৯ এপ্রিল। তফসিল অনুযায়ী ২ মে রোববার ছিল ভোট গননা ও ফলাফল ঘোষণার দিন।

ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি এ নির্বাচনে বিজয়ে সর্বশক্তি নিয়োগ করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহসহ দলটির কেন্দ্রীয় পুরো নেতৃত্ব পশ্চিম বঙ্গ বিজয়ে কয়েক মাস ধরে নানা সভা সমাবেশ করেছে। মমতা নির্বাচন কমিশনের নানা পদক্ষেপের সমালোচনা করলেও রাজ্যবাসীর ওপর আস্থা রেখে হুইল চেয়ারে করেই অসুস্থ অবস্থায় রাজ্য চষে বেড়ান।
রাজ্যবাসী ব্যালটে নিজের মেয়ে মমতাকেই বেছে নিল।

ডিএএম//