Dhaka ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

শেরে বাংলার ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

  • Update Time : ০২:২৫:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১
  • / ১ Time View

সারাদেশ ডেস্ক:
শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের
আজ ৫৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী।

জাতি হিসেবে আমরা যে সবাই বাঙালি-এই ঐতিহাসিক সত্যের মূল ভিত্তি তিনিই রচনা করেছেন। মুসলিম সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক হিসেবে চিরস্মরণীয় এই মহান মানুষটির ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ২৮ এপ্রিল তার মরদেহ ঢাকার টিকাটুলি এলাকায় তার ২৭ কে. এম. দাস লেনের বাসায় রাখা হয়। ঢাকার পল্টন ময়দানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তাকে সমাহিত করা হয়। একই স্থানে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও খাজা নাজিমুদ্দিনের কবর রয়েছে। তাদের তিনজনের সমাধিস্থলই আজ ঐতিহাসিক তিন নেতার মাজার নামে পরিচিত।

সেদিন রেডিও পাকিস্তান সব অনুষ্ঠান বন্ধ করে সারাদিন কোরআন পাঠ করে। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখে তার প্রতি সম্মান দেখানো হয়। ৩০ এপ্রিল সোমবার পাকিস্তানের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্কুল কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়।

তিনি অনেক বড় মাপের নেতা ছিলেন। যা আজো বাংলাদেশের মানুষের জন্য গর্ব ও অহংকারের। স্বাধীনতার চেতনা ও গণতান্ত্রিকতাবোধ সৃষ্টিতে তার অসামান্য অবদানের কথা এদেশের মানুষের মন থেকে কোনদিনই বিস্মৃত হবে না।

শেরেবাংলার রাজনৈতিক জীবন ছিলো বর্ণাঢ্য। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল তার। একমাত্র প্রেসিডেন্টের পদটি ছাড়া সর্বভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদ ছিল না, যা তিনি অলঙ্কৃত করেননি। অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফজলুল হক এ অঞ্চলের মানুষের শিক্ষা, রাজনীতি, সমাজ সংস্কার ইত্যাদি ক্ষেত্রে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন।

জন্ম ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর বরিশালের রাজাপুর থানার সাতুরিয়া গ্রামে। বিপুল ঐশ্বর্যশালী পিতার একমাত্র সন্তান হয়েও ফজলুল হক বাল্যকাল থেকেই বহু সদগুণের অধিকারী ছিলেন।

১৯১২ সালে তিনি মুসলিম লীগে যোগ দেন। ১৯২৪ সালে অবিভক্ত বাংলা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হন। ১৯২৮ সালে তিনি নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সভাপতি ও নিখিল ভারত জাতীয় কংগ্রেসে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৩৭ সালের নির্বাচনে তার কৃষক প্রজা পার্টি ৩৯টি আসন ও মুসলিম লীগ ৩৮ টি আসন লাভ করে।

তিনি অবিভক্ত বাংলার প্রথম নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত হন। ১৯৩৭ থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত দীর্ঘকালের প্রধানমন্ত্রীত্বকালে তিনি বহু জনকল্যাণমূলক কাজ করেন।

১৯৪০ সালে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সভাপতিত্বে লাহোরে অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত মুসলিম লীগের অধিবেশনে জ্বালাময়ী বক্তৃতায় প্রথম পাকিস্তান প্রস্তাব পেশ করেন। এই লাহোর প্রস্তাবই “পাকিস্তান প্রস্তাব” হিসেবে পরবর্তীকালে আখ্যায়িত হয়। তার বক্তৃতায় মুগ্ধ হয়ে পাঞ্জাববাসীরা তাঁকে উপাধি দেয় শের-ই-বঙ্গাল অর্থাৎ বাংলার বাঘ। সে থেকেই তিনি শেরে বাংলা।

শেরে বাংলার ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন উপমহাদেশের এক অনন্যসাধারণ প্রজ্ঞাবান ও বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ। নবাব স্যার সলিমুল্লাহ ও নবাব নওয়াব আলী চৌধুরীর কাছে রাজনীতিতে তাঁর হাতেখড়ি।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য, সর্বভারতীয় মুসলিম লীগের সভাপতি (১৯১৬-১৯২১), কলকাতার মেয়র (১৯৩৫), অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (১৯৩৭-১৯৪৩), পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (১৯৫৪), পূর্ব বাংলার গভর্নরের (১৯৫৬-১৯৫৮) পদসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি ছিলেন অসাধারণ মেধাবী ও বাগ্মী। তিনি একাধারে বাংলা, ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় অনর্গল বক্তৃতা করতে পারতেন। দক্ষ রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক হিসাবে প্রায় অর্ধ-শতাব্দীর অধিককাল তিনি গণমানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন।’

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শেরে বাংলা এদেশের কৃষক সমাজের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে আজীবন কাজ করে গেছেন। কৃষকদের অধিকার আদায়ে তিনি সব সময় সোচ্চার ছিলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তাঁর আদর্শিক ঐক্য ও রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা ছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শোষণ ও বঞ্চনাহীন ও প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।বাংলার গরীব-দুঃখী মানুষের জন্য তাঁর অসীম মমত্ববোধ, ভালবাসা এবং কর্মপ্রচেষ্টা মানুষকে সবসময় অনুপ্রাণিত করবে।’

শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন করোনা পরিস্থিতির কারণে সীমিত আকারে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ এবং আলোচনা সভা। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সকাল ৯ টায় যথাযথভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে মরহুমের মাজারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

শেরে বাংলার ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

Update Time : ০২:২৫:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১

সারাদেশ ডেস্ক:
শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের
আজ ৫৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী।

জাতি হিসেবে আমরা যে সবাই বাঙালি-এই ঐতিহাসিক সত্যের মূল ভিত্তি তিনিই রচনা করেছেন। মুসলিম সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক হিসেবে চিরস্মরণীয় এই মহান মানুষটির ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ২৮ এপ্রিল তার মরদেহ ঢাকার টিকাটুলি এলাকায় তার ২৭ কে. এম. দাস লেনের বাসায় রাখা হয়। ঢাকার পল্টন ময়দানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তাকে সমাহিত করা হয়। একই স্থানে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও খাজা নাজিমুদ্দিনের কবর রয়েছে। তাদের তিনজনের সমাধিস্থলই আজ ঐতিহাসিক তিন নেতার মাজার নামে পরিচিত।

সেদিন রেডিও পাকিস্তান সব অনুষ্ঠান বন্ধ করে সারাদিন কোরআন পাঠ করে। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখে তার প্রতি সম্মান দেখানো হয়। ৩০ এপ্রিল সোমবার পাকিস্তানের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্কুল কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়।

তিনি অনেক বড় মাপের নেতা ছিলেন। যা আজো বাংলাদেশের মানুষের জন্য গর্ব ও অহংকারের। স্বাধীনতার চেতনা ও গণতান্ত্রিকতাবোধ সৃষ্টিতে তার অসামান্য অবদানের কথা এদেশের মানুষের মন থেকে কোনদিনই বিস্মৃত হবে না।

শেরেবাংলার রাজনৈতিক জীবন ছিলো বর্ণাঢ্য। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল তার। একমাত্র প্রেসিডেন্টের পদটি ছাড়া সর্বভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদ ছিল না, যা তিনি অলঙ্কৃত করেননি। অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফজলুল হক এ অঞ্চলের মানুষের শিক্ষা, রাজনীতি, সমাজ সংস্কার ইত্যাদি ক্ষেত্রে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন।

জন্ম ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর বরিশালের রাজাপুর থানার সাতুরিয়া গ্রামে। বিপুল ঐশ্বর্যশালী পিতার একমাত্র সন্তান হয়েও ফজলুল হক বাল্যকাল থেকেই বহু সদগুণের অধিকারী ছিলেন।

১৯১২ সালে তিনি মুসলিম লীগে যোগ দেন। ১৯২৪ সালে অবিভক্ত বাংলা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হন। ১৯২৮ সালে তিনি নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সভাপতি ও নিখিল ভারত জাতীয় কংগ্রেসে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৩৭ সালের নির্বাচনে তার কৃষক প্রজা পার্টি ৩৯টি আসন ও মুসলিম লীগ ৩৮ টি আসন লাভ করে।

তিনি অবিভক্ত বাংলার প্রথম নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত হন। ১৯৩৭ থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত দীর্ঘকালের প্রধানমন্ত্রীত্বকালে তিনি বহু জনকল্যাণমূলক কাজ করেন।

১৯৪০ সালে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সভাপতিত্বে লাহোরে অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত মুসলিম লীগের অধিবেশনে জ্বালাময়ী বক্তৃতায় প্রথম পাকিস্তান প্রস্তাব পেশ করেন। এই লাহোর প্রস্তাবই “পাকিস্তান প্রস্তাব” হিসেবে পরবর্তীকালে আখ্যায়িত হয়। তার বক্তৃতায় মুগ্ধ হয়ে পাঞ্জাববাসীরা তাঁকে উপাধি দেয় শের-ই-বঙ্গাল অর্থাৎ বাংলার বাঘ। সে থেকেই তিনি শেরে বাংলা।

শেরে বাংলার ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন উপমহাদেশের এক অনন্যসাধারণ প্রজ্ঞাবান ও বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ। নবাব স্যার সলিমুল্লাহ ও নবাব নওয়াব আলী চৌধুরীর কাছে রাজনীতিতে তাঁর হাতেখড়ি।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য, সর্বভারতীয় মুসলিম লীগের সভাপতি (১৯১৬-১৯২১), কলকাতার মেয়র (১৯৩৫), অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (১৯৩৭-১৯৪৩), পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (১৯৫৪), পূর্ব বাংলার গভর্নরের (১৯৫৬-১৯৫৮) পদসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি ছিলেন অসাধারণ মেধাবী ও বাগ্মী। তিনি একাধারে বাংলা, ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় অনর্গল বক্তৃতা করতে পারতেন। দক্ষ রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক হিসাবে প্রায় অর্ধ-শতাব্দীর অধিককাল তিনি গণমানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন।’

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শেরে বাংলা এদেশের কৃষক সমাজের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে আজীবন কাজ করে গেছেন। কৃষকদের অধিকার আদায়ে তিনি সব সময় সোচ্চার ছিলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তাঁর আদর্শিক ঐক্য ও রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা ছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শোষণ ও বঞ্চনাহীন ও প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।বাংলার গরীব-দুঃখী মানুষের জন্য তাঁর অসীম মমত্ববোধ, ভালবাসা এবং কর্মপ্রচেষ্টা মানুষকে সবসময় অনুপ্রাণিত করবে।’

শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন করোনা পরিস্থিতির কারণে সীমিত আকারে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ এবং আলোচনা সভা। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সকাল ৯ টায় যথাযথভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে মরহুমের মাজারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

এসএস//