ভারত থেকে শর্তসাপেক্ষে ফিরতে পারবেন বাংলাদেশীরা
- Update Time : ১১:৩৭:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১
- / ২ Time View
সারাদেশ ডেস্ক :
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে এমন বাংলাদেশীরা শর্তসাপেক্ষে বেনাপোল, আখাউড়া ও বুড়িমারী সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন।
সীমান্ত পাড়ি দেয়ার অনুমোদন নেয়ার জন্য তাদের দিল্লি, কলকাতা ও আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এ সময় পিসিআর পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে হবে, যার মেয়াদ থাকতে হবে সীমান্ত অতিক্রম করতে চাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে। ভারতীয় ভিসার মেয়াদ ১৫ দিন বা তার কম থাকলেই কেবল এই অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশীরা আবেদন করতে পারবেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে গত রোববার অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বৈঠকে ভারতীয় হাইকমিশনার,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (নিরাপত্তা বিভাগ), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব), মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং কলকাতা ও আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনের প্রতিনিধিরা যোগ দেন।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, সরকার নির্ধারিত পদ্ধতিতে সীমান্ত পাড়ি দিতে ইচ্ছুক বাংলাদেশীদের দুই সপ্তাহের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে বাধ্যতামূলকভাবে থাকতে হবে। বেনাপোল, আখাউড়া ও বুড়িমারী ছাড়া অন্য কোনো স্থলবন্দর দিয়ে যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকগুলো বাংলাদেশে প্রবেশের সময় যথাযথভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। ভারতীয় ট্রাকচালক ও সহকারীদের করোনা বিধিনিষেধ কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানির জন্য রেলওয়ে ব্যবহার করার জন্য সংশ্লিষ্টদের উৎসাহিত করা হবে। প্রতিবেশী দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের আলোকে দিল্লি, কলকাতা ও আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলো ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে।
২৬ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে ৯ মে সকাল ৬টা পর্যন্ত বাংলাদেশ-ভারত স্থলবন্দরগুলোর জন্য এসব বিধিনিষেধ প্রযোজ্য হবে। এ সময়ের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করতে পারলেও সাধারণ মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। ভারতের অবনতিশীল করোনা পরিস্থিতির কারণে সংক্রমণ প্রতিরোধে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দুই সপ্তাহ পর ভারতের করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সীমান্তের বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করা হবে।
ডিএএম//