Dhaka ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুনের ৭ বছর

  • Update Time : ১২:১৭:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১
  • / ২ Time View

বিশেষ প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুনের ৭ বছর পূর্ণ হলো আজ ২৭ এপ্রিল ।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল র‌্যাবের হাতে এই ৭টি খুন সংঘটিত হয়। যে ঘটনা স্মরণে আজো শিউরে ওঠে নারায়ণগঞ্জের মানুষ ও হত্যার শিকার ৭ জনের পরিবারের স্বজনেরা।

ফিরে দেখা:
সেদিন নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের লামাপাড়া এলাকা থেকে ২৭ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও এক জেলা ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা বার-এর আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ, পরদিন মেলে আরেকটি লাশ। নিহত বাকিরা হলেন নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন,তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।

ঘটনার এক দিন পর কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা (পরে বহিষ্কৃত) নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন। আইনজীবী চন্দন সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় ১১ মে একই থানায় আরেকটি মামলা হয়। এই মামলার বাদী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল। পরে দুটি মামলা একসঙ্গে তদন্ত করে পুলিশ।

আসামি:
সাত খুনের মামলায় মোট ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। তারা হলেন চাকরিচ্যুত লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানা, হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পূর্ণেন্দ বালা, করপোরাল রুহুল আমিন, এএসআই বজলুর রহমান, হাবিলদার নাসির উদ্দিন, এএসআই আবুল কালাম আজাদ, সৈনিক নুরুজ্জামান, কনস্টেবল বাবুল হাসান, সৈনিক আসাদুজ্জামান নূর, করপোরাল মোখলেছুর রহমান, সৈনিক আবদুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুনশি, সৈনিক আল আমিন, সৈনিক তাজুল ইসলাম, সার্জেন্ট এনামুল কবীর, এএসআই কামাল হোসেন, কনস্টেবল হাবিবুর রহমান, সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, তার সহযোগী আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী, আবুল বাশার, মোর্তুজা জামান (চার্চিল) নূর হোসেনের আরেক সহযোগী সেলিম, সানাউল্লাহ ছানা, ম্যানেজার শাহজাহান ও ম্যানেজার জামাল উদ্দিন।

পরবর্তীতে জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন এই চাঞ্চল্যকর মামলার আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য পর্যবেক্ষণ করে ৩৩ মাস পর এই চাঞ্চল্যকর মামলার রায় প্রদান করেন। রায়ে ২৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ৯ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং আলামত ধ্বংস করার দায়ে আরো ৭ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। রায় পেয়ে বাদিপক্ষ ও হতাহতের পরিবার সন্তোষ প্রকাশ করেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১’র সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মুহাম্মদ, মেজর (অব.) আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার (অব.) মাসুদ রানা, হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্সনায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্সনায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহী আবু তৈয়্যব, কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন, র‌্যাবের সদস্য এসআই পূর্ণেন্দু বালা, সিপাহী সাদুজ্জামান নূর, নূর হোসেনের সহযোগী মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী, আবুল বাশার, নূর হোসেনের সহযোগী সেলিম, সানাউল্লাহ সানা, শাহজাহান, জামাল উদ্দিন, সৈনিক আবদুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী, সৈনিক আলামিন শরীফ, সৈনিক তাজুল ইসলাম ও সার্জেন্ট এনামুল কবির।

এছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্তরা হলেন: ল্যান্স কর্পোরাল রুহুল আমিন (১০ বছর), এএসআই বজলুর রহমান (৭ বছর), হাবিলদার নাসির উদ্দিন (৭ বছর), এএসআই আবুল কালাম আজাদ (১০ বছর), সিপাহী নুরুজ্জামান (১০ বছর), বাবুল হাসান (১০ বছর), র‌্যাবের সদস্য কর্পোরাল মোখলছুর রহমান (১০ বছর) এএসআই কামাল হোসেন (১০ বছর) ও কনস্টেবল হাবিবুর রহমান (১৭ বছর)।

এর পর মামলাটি হাইকোর্টে গেলে আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আপিলের ওপর রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। এতে ২৬ জনের মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল রেখে অন্য আসামিদের যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা বহাল রাখা হয়

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-নূর হোসেন, তারেক সাঈদ ও আরিফ হোসেন বাদে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন লে. কমান্ডার (চাকরিচ্যুত) এম মাসুদ রানা, হাবিলদার মো. এমদাদুল হক, এ বি মো. আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হিরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব আলী, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পূর্ণেন্দু বালা, সৈনিক আবদুল আলিম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুনশি, সৈনিক আল আমিন, সৈনিক তাজুল ইসলাম।

এখন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে লোমহর্ষক চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি আপিল নিস্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

হতাহতের শিকার পরিবারগুলোর মধ্যে আইনজীবী চন্দন সরকারের ড্রাইভার জাহাঙ্গীর, ইব্রাহিম ও নজরুল ইসলামের সহযোগী তাজুল ইসলামের পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে। তারা অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। এইসব পরিবারের দাবি, সরকার যেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ায়।

সাত খুনের এ ঘটনা সংশ্লিষ্টদের ভাবমূর্তিকে চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তবে আসামিদের গ্রেফতার, মামলার অভিযোগপত্র ও বিচারিক আদালত এবং হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ে মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে। এখন অপেক্ষা আপিল বিভাগের রায়ের।

স্বজন হারানোদের প্রত্যাশা নির্মম বর্বরোচিত এ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের রায় কার্যকর নিশ্চিত হবে।

এসএম//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুনের ৭ বছর

Update Time : ১২:১৭:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১

বিশেষ প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুনের ৭ বছর পূর্ণ হলো আজ ২৭ এপ্রিল ।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল র‌্যাবের হাতে এই ৭টি খুন সংঘটিত হয়। যে ঘটনা স্মরণে আজো শিউরে ওঠে নারায়ণগঞ্জের মানুষ ও হত্যার শিকার ৭ জনের পরিবারের স্বজনেরা।

ফিরে দেখা:
সেদিন নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের লামাপাড়া এলাকা থেকে ২৭ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও এক জেলা ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা বার-এর আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ, পরদিন মেলে আরেকটি লাশ। নিহত বাকিরা হলেন নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন,তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।

ঘটনার এক দিন পর কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা (পরে বহিষ্কৃত) নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন। আইনজীবী চন্দন সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় ১১ মে একই থানায় আরেকটি মামলা হয়। এই মামলার বাদী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল। পরে দুটি মামলা একসঙ্গে তদন্ত করে পুলিশ।

আসামি:
সাত খুনের মামলায় মোট ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। তারা হলেন চাকরিচ্যুত লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানা, হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পূর্ণেন্দ বালা, করপোরাল রুহুল আমিন, এএসআই বজলুর রহমান, হাবিলদার নাসির উদ্দিন, এএসআই আবুল কালাম আজাদ, সৈনিক নুরুজ্জামান, কনস্টেবল বাবুল হাসান, সৈনিক আসাদুজ্জামান নূর, করপোরাল মোখলেছুর রহমান, সৈনিক আবদুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুনশি, সৈনিক আল আমিন, সৈনিক তাজুল ইসলাম, সার্জেন্ট এনামুল কবীর, এএসআই কামাল হোসেন, কনস্টেবল হাবিবুর রহমান, সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, তার সহযোগী আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী, আবুল বাশার, মোর্তুজা জামান (চার্চিল) নূর হোসেনের আরেক সহযোগী সেলিম, সানাউল্লাহ ছানা, ম্যানেজার শাহজাহান ও ম্যানেজার জামাল উদ্দিন।

পরবর্তীতে জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন এই চাঞ্চল্যকর মামলার আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য পর্যবেক্ষণ করে ৩৩ মাস পর এই চাঞ্চল্যকর মামলার রায় প্রদান করেন। রায়ে ২৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ৯ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং আলামত ধ্বংস করার দায়ে আরো ৭ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। রায় পেয়ে বাদিপক্ষ ও হতাহতের পরিবার সন্তোষ প্রকাশ করেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১’র সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মুহাম্মদ, মেজর (অব.) আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার (অব.) মাসুদ রানা, হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্সনায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্সনায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহী আবু তৈয়্যব, কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন, র‌্যাবের সদস্য এসআই পূর্ণেন্দু বালা, সিপাহী সাদুজ্জামান নূর, নূর হোসেনের সহযোগী মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী, আবুল বাশার, নূর হোসেনের সহযোগী সেলিম, সানাউল্লাহ সানা, শাহজাহান, জামাল উদ্দিন, সৈনিক আবদুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী, সৈনিক আলামিন শরীফ, সৈনিক তাজুল ইসলাম ও সার্জেন্ট এনামুল কবির।

এছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্তরা হলেন: ল্যান্স কর্পোরাল রুহুল আমিন (১০ বছর), এএসআই বজলুর রহমান (৭ বছর), হাবিলদার নাসির উদ্দিন (৭ বছর), এএসআই আবুল কালাম আজাদ (১০ বছর), সিপাহী নুরুজ্জামান (১০ বছর), বাবুল হাসান (১০ বছর), র‌্যাবের সদস্য কর্পোরাল মোখলছুর রহমান (১০ বছর) এএসআই কামাল হোসেন (১০ বছর) ও কনস্টেবল হাবিবুর রহমান (১৭ বছর)।

এর পর মামলাটি হাইকোর্টে গেলে আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আপিলের ওপর রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। এতে ২৬ জনের মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল রেখে অন্য আসামিদের যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা বহাল রাখা হয়

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-নূর হোসেন, তারেক সাঈদ ও আরিফ হোসেন বাদে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন লে. কমান্ডার (চাকরিচ্যুত) এম মাসুদ রানা, হাবিলদার মো. এমদাদুল হক, এ বি মো. আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হিরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব আলী, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পূর্ণেন্দু বালা, সৈনিক আবদুল আলিম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুনশি, সৈনিক আল আমিন, সৈনিক তাজুল ইসলাম।

এখন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে লোমহর্ষক চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি আপিল নিস্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

হতাহতের শিকার পরিবারগুলোর মধ্যে আইনজীবী চন্দন সরকারের ড্রাইভার জাহাঙ্গীর, ইব্রাহিম ও নজরুল ইসলামের সহযোগী তাজুল ইসলামের পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে। তারা অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। এইসব পরিবারের দাবি, সরকার যেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ায়।

সাত খুনের এ ঘটনা সংশ্লিষ্টদের ভাবমূর্তিকে চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তবে আসামিদের গ্রেফতার, মামলার অভিযোগপত্র ও বিচারিক আদালত এবং হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ে মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে। এখন অপেক্ষা আপিল বিভাগের রায়ের।

স্বজন হারানোদের প্রত্যাশা নির্মম বর্বরোচিত এ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের রায় কার্যকর নিশ্চিত হবে।

এসএম//