Dhaka ০৫:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান

মাস্ক পড়তে তিন শর্ত মেনে চলুন

  • Update Time : ১২:৪৪:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১
  • / ১৬ Time View

সারাদেশ ডেস্ক :
মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে সকলকেই।

স্বাস্থ্যবিধির অন্যতম হলো মাস্ক পড়া। কিন্তু মাস্ক পরে সারাক্ষণ থাকা বেশ কঠিন।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে গবেষণা করছেন। সম্প্রতি গবেষকেরা মাস্ক পরার একটি সাধারণ সূত্র বা ফর্মুলার কথা বলছেন। সংক্ষেপে বলা যায়, ফর্মুলাটি হলো, (২: ৩) অথবা ‘তিনের মধ্যে দুই’। তিনটি শর্তের মধ্যে দুটি অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

মূল কথাটি হলো, আমরা তিনটি শর্ত মনে রাখব:

বাইরে খোলামেলা জনবিরল পরিবেশ, আশপাশের ব্যক্তিদের থেকে পর্যাপ্ত দূরত্ব এবং মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা। এর যেকোনো দুটি শর্ত পূরণ হলে তৃতীয়টি না মানলেও করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা খুবই কম থাকবে।

যেমন আমি চার দিক খোলা একটি পার্কে গেলাম। অবাধে বাতাস চলাচল করছে। আশপাশে মানুষজন তেমন নেই বা থাকলেও অন্তত স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন, তাহলে সেখানে সংক্রমণের আশঙ্কা কম। এই অবস্থায় মাস্ক পরে থাকলে তো খুবই ভালো, তবে অসুবিধা হলে মাস্ক খুলে পকেটে রাখা যায়। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, যদি কেউ কাছে এসে পড়েন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে পকেট থেকে মাস্ক বের করে পরতে হবে।

অন্যদিকে, প্রথম দুটির একটি—যেমন খোলামেলা পরিবেশ যদি না থাকে, অথবা সেটা থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব যদি বজায় না থাকে, তাহলে তৃতীয় শর্তটি অবশ্যই মানতে হবে। অর্থাৎ, সেখানে মাস্ক পরে থাকতে হবে। তা না হলে সংক্রমণের আশঙ্কা অনেক বেড়ে যাবে।

আমরা যদি বাইরের খোলামেলা পরিবেশে চলাফেরা করি এবং ভিড় এড়িয়ে, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলি, তাহলে সারাক্ষণ মাস্ক না পরলেও সংক্রমণের আশঙ্কা কম। কিন্তু সঙ্গে অবশ্যই মাস্ক রাখতে হবে; কারণ, যেকোনো সময় পরিবেশ বদলে যেতে পারে এবং সে সময় চট করে মাস্ক পরে নিতে হবে।

মাস্ক-ফর্মুলা:
তিনটি শর্তের দুটি মেনে চলুন। এখানে মনে রাখতে হবে, আমাদের দেশে খোলামেলা স্থান খুবই কম। হয়তো গ্রামে আছে। শহরে জনঘনত্ব খুব বেশি। তাই শহরে বাসার বাইরে সব সময় মাস্ক পরে থাকাই ভালো। তবে এটা মনে রাখতে হবে যে বাসায় থাকলেও ঘরের দরজা-জানালা খোলা রাখতে হবে, যেন অবাধে বাতাস চলাচল করতে পারে। বন্ধ ঘরে সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি।

(২: ৩) ফর্মুলাটি আমাদের দেশে কতটা খাটবে বলা মুশকিল। কারণ, এখানে মানুষ লকডাউনও মানতে চায় না, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে না।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা, কেনাকাটার কথা বলা হলেও বাস্তবতায় পাওয়া যায় বিপরীত চিত্র। তাই জীবন রক্ষা, সুস্থতা এবং মানুষের স্বার্থে সকলকে সচেতন হতেই হবে।

ডিএএম//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

মাস্ক পড়তে তিন শর্ত মেনে চলুন

Update Time : ১২:৪৪:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১

সারাদেশ ডেস্ক :
মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে সকলকেই।

স্বাস্থ্যবিধির অন্যতম হলো মাস্ক পড়া। কিন্তু মাস্ক পরে সারাক্ষণ থাকা বেশ কঠিন।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে গবেষণা করছেন। সম্প্রতি গবেষকেরা মাস্ক পরার একটি সাধারণ সূত্র বা ফর্মুলার কথা বলছেন। সংক্ষেপে বলা যায়, ফর্মুলাটি হলো, (২: ৩) অথবা ‘তিনের মধ্যে দুই’। তিনটি শর্তের মধ্যে দুটি অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

মূল কথাটি হলো, আমরা তিনটি শর্ত মনে রাখব:

বাইরে খোলামেলা জনবিরল পরিবেশ, আশপাশের ব্যক্তিদের থেকে পর্যাপ্ত দূরত্ব এবং মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা। এর যেকোনো দুটি শর্ত পূরণ হলে তৃতীয়টি না মানলেও করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা খুবই কম থাকবে।

যেমন আমি চার দিক খোলা একটি পার্কে গেলাম। অবাধে বাতাস চলাচল করছে। আশপাশে মানুষজন তেমন নেই বা থাকলেও অন্তত স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন, তাহলে সেখানে সংক্রমণের আশঙ্কা কম। এই অবস্থায় মাস্ক পরে থাকলে তো খুবই ভালো, তবে অসুবিধা হলে মাস্ক খুলে পকেটে রাখা যায়। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, যদি কেউ কাছে এসে পড়েন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে পকেট থেকে মাস্ক বের করে পরতে হবে।

অন্যদিকে, প্রথম দুটির একটি—যেমন খোলামেলা পরিবেশ যদি না থাকে, অথবা সেটা থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব যদি বজায় না থাকে, তাহলে তৃতীয় শর্তটি অবশ্যই মানতে হবে। অর্থাৎ, সেখানে মাস্ক পরে থাকতে হবে। তা না হলে সংক্রমণের আশঙ্কা অনেক বেড়ে যাবে।

আমরা যদি বাইরের খোলামেলা পরিবেশে চলাফেরা করি এবং ভিড় এড়িয়ে, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলি, তাহলে সারাক্ষণ মাস্ক না পরলেও সংক্রমণের আশঙ্কা কম। কিন্তু সঙ্গে অবশ্যই মাস্ক রাখতে হবে; কারণ, যেকোনো সময় পরিবেশ বদলে যেতে পারে এবং সে সময় চট করে মাস্ক পরে নিতে হবে।

মাস্ক-ফর্মুলা:
তিনটি শর্তের দুটি মেনে চলুন। এখানে মনে রাখতে হবে, আমাদের দেশে খোলামেলা স্থান খুবই কম। হয়তো গ্রামে আছে। শহরে জনঘনত্ব খুব বেশি। তাই শহরে বাসার বাইরে সব সময় মাস্ক পরে থাকাই ভালো। তবে এটা মনে রাখতে হবে যে বাসায় থাকলেও ঘরের দরজা-জানালা খোলা রাখতে হবে, যেন অবাধে বাতাস চলাচল করতে পারে। বন্ধ ঘরে সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি।

(২: ৩) ফর্মুলাটি আমাদের দেশে কতটা খাটবে বলা মুশকিল। কারণ, এখানে মানুষ লকডাউনও মানতে চায় না, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে না।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা, কেনাকাটার কথা বলা হলেও বাস্তবতায় পাওয়া যায় বিপরীত চিত্র। তাই জীবন রক্ষা, সুস্থতা এবং মানুষের স্বার্থে সকলকে সচেতন হতেই হবে।

ডিএএম//