বনানী কবরস্থানে কবরীর দাফন
- Update Time : ০২:২৯:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১
- / ০ Time View
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিষ্টি মেয়ে’ খ্যাত বরেণ্য অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরীকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে।
শনিবার ১৭ এপ্রিল দুপুর দেড়টায় জানাজা সম্পন্ন করে স্বাস্থবিধি মেনে তাকে সমাহিত করা হয়। জানাজায় শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানসহ তাঁর পরিবারে লোকজন উপস্থিত ছিলেন। জানাজা শুরুর আগে বনানী কবরস্থানের সামনেই মুক্তিযোদ্ধা এই অভিনয়শিল্পীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
এর আগে হাসপাতালের হিম ঘর থেকে মোহাম্মদপুর আল মারকাজুলে নেয়া হয়। সেখানে গোসল করানো শেষে তাঁর মরদেহ গুলশান-২ নম্বর এলাকার লেক রোডের বাড়িতে শেষবারের মতো নেয়া হয়।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে মারা যান। গত ১৫ এপ্রিল বিকেলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। এর আগে হঠাৎ করে খুশকুশে কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হলে করোনার উপসর্গ ভেবে চিন্তায় পড়েন সারাহ বেগম কবরী। পারিবারিক চিকিৎসকের পরামর্শে নমুনা পরীক্ষা করালে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। গত ৫ এপ্রিল রাতে তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গত ৭ এপ্রিল রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। চিকিৎসকরা দ্রুত তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তরের কথা জানান। তখন এই অভিনেত্রীকে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় কবরীর।
১৯৬৫ সালে অভিনয় করেন ‘জলছবি’ ও ‘বাহানা’য়, ১৯৬৮ সালে ‘সাত ভাই চম্পা’, ‘আবির্ভাব’, ‘বাঁশরি’, ‘যে আগুনে পুড়ি’। ১৯৭০ সালে ‘দীপ নেভে নাই’, ‘দর্পচূর্ণ, ‘ক খ গ ঘ ঙ’, ‘বিনিময়’ ছবিগুলো।
কবরী অভিনয়ের পাশাপাশি সিনেমা পরিচালনা করেছেন। কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনাও করেছেন তিনি।
জাতীয় পুরস্কারসহ জীবনে তিনি অভিনয়ের স্বীকৃতি স্বরূপ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।
আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বরেণ্য এই অভিনেত্রী। তিনি ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নারায়ণগঞ্জের একটি আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এসএস//