নিজস্ব প্রতিবেদক :
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেশের আকাশে হিজরি রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। তাই মুসলমানদের সিয়াম সাধনার (রোজা) মাস পবিত্র রমজান শুরু হচ্ছে আজ বুধবার (১৪ এপ্রিল)।
আগামী ৯ মে রোববার দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে।
রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
এবার ২৯ দিনেই শেষ হলো শাবান মাস। রমজান মাস শেষেই আসবে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর।
সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদফতর, মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের আকাশে হিজরি ১৪৪২ সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে রমজান মাস।
আগামী ৯ মে বুধবার দিবাগত রাতে (রমজানের ২৭তম রাত) পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার রাতেই এশার নামাজের পর ২০ রাকাত তারাবি নামাজ শুরু হবে। রোজা রাখতে শেষ রাতে সেহরি খাবেন মুসলমানরা। ঢাকায় প্রথম দিন সেহরির শেষ সময় রাত ৪টা ১৫ মিনিট। বুধবার প্রথম রোজার ইফতারের সময় ৬টা ২৩ মিনিট।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে রমজান সংযম, আত্মশুদ্ধি এবং ত্যাগের মাস। রমজান রহমত (আল্লাহর অনুগ্রহ), মাগফেরাত (ক্ষমা) ও নাজাত (দোজখের আগুন থেকে মুক্তি)—এ তিন অংশে বিভক্ত। এ মাসে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, স্ত্রী-সহবাস ও যে কোনো ধরনের পাপ কাজ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে রোজা পালন করেন মুসলমানরা।
এ মাসের শেষ অংশে রয়েছে হাজার মাসের এবাদতের চেয়েও উত্তম লাইলাতুল কদর বা কদরের রাত। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, রমজান মাসে প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব আল্লাহ পাক ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেন।
অপরদিকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে মঙ্গলবার থেকে রমজান শুরু হয়েছে। গত বছরের মতো এবারও রমজান কাটবে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই। সংক্রমণ রোধে বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আটদিনের লকডাউন (বিধিনিষেধ) দিয়েছে সরকার। এই সময়ে মসজিদে গিয়ে পাঁচওয়াক্ত নামাজের মতো তারাবি নামাজ পড়ার ওপরও বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, লকডাউনের মধ্যে মসজিদে প্রতি ওয়াক্তে ২০ জন এবং তারাবি নামাজে খতিব, ইমাম, হাফেজ, মুয়াজ্জিন, খাদেমসহ সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
ডিএএম//
Leave a Reply