Dhaka ০১:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

লকডাউনে ব্যাংকে লেনদেনের সময় বাড়লো

  • Update Time : ০৭:০৬:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ এপ্রিল ২০২১
  • / ০ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন রোববার (১১ এপ্রিল) শেষ হলেও ব্যাংকিং খাতের লেনদেনের সময় সীমিত আকারে রাখা হয়েছে।

তবে আড়াই ঘণ্টার পরিবর্তে তিন ঘণ্টা ব্যাংকিং খাতে লেনদেন চলবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা জারি করেছে। রোববার ১১ এপ্রিল বিকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে।

নির্দেশনা বলা হয়েছে, ৪ এপ্রিলের সার্কুলারের অনুবৃত্তিক্রমে ১২ ও ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত দৈনিক সকাল ১০ টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ব্যাংকের লেনদেন চলবে। তবে ব্যাংক খোলা থাকবে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত।

এর আগের সার্কুলারের ব্যাংকিং লেনদেন কার্যক্রম আড়াই ঘণ্টা চালু এবং ব্যাংক দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা রাখার জন্য বলা হয়েছিল। লেনদেন ও ব্যাংক খোলা রাখার সময়ের বিষয় ছাড়া আগের সার্কুলারের সব বিষয় অপরিবর্তিত রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আগের নির্দেশনায়, লকডাউন চলাকালে ব্যাংকগুলোকে এটিএম ও কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন চালু রাখার সুবিধার্থে এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা সার্বক্ষণিক চালু রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এবং এটিএম বুথগুলোতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা, স্যানিটাইজেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে বলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে।

এছাড়া পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ব্যাংকের সান্ধ্যকালীন এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সাপ্তাহিক ছুটিকালীন ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের লেনদেন সময়সূচি ও কার্যক্রম বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো নিজেদের বিবেচনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে।

লেনদেন চলাকালীন সময়ে দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোকে যা করতে হবে-ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও শাখাগুলো জরুরি ব্যাংকিং সেবা দেওয়া অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় জনবলের বিন্যাস ব্যাংক স্বীয় বিবেচনায় সম্পন্ন করবে। এক্ষেত্রে শাখার নিকটবর্তী স্থানে বসবাসরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতির বিষয়টি অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে। জনস্বার্থে ব্যাংকিং সেবা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি অফিসের কর্মপরিবেশ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ সংক্রান্ত সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা যথাযথভাবে পরিপালন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

গ্রাহকদের হিসাবে জমা এবং উত্তোলনসহ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক চালু রাখা বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমের/ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন অন্যান্য লেনদেন সুবিধা দেয়া নিশ্চিত করতে ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে।

সিটি করপোরেশন ও জেলা সদরে কার্যরত যেসব ব্যাংকের ২ কিলোমিটারের মধ্যে একাধিক শাখা রয়েছে, সেক্ষেত্রে সুবিধাজনক একটি শাখা (অথরাইজড ডিলার শাখা ছাড়া) হতে গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করার শর্তে অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। তবে অনলাইন সুবিধা বহির্ভূত ব্যাংকের অন্যান্য শাখা খোলা রাখতে হবে।

বিশেষ ব্যবস্থাধীনে ইতোপূর্বে মঞ্জুরিকৃত এবং বিতরণের অপেক্ষায় থাকা ঋণের অর্থ ছাড়করণ, বিভিন্ন প্রণোদনাগুচ্ছের আওতাধীন কার্যক্রম, শ্রমঘন শিল্প এলাকায় শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে যাবতীয় ঋণ নিয়মাচার পরিপালনপূর্বক রপ্তানি বিল ক্রয়, ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণ অব্যাহত রাখতে হবে।

গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি বৈদেশিক লেনদেন সম্পাদনের জন্য বৈদেশিক বাণিজ্য (অথরাইজড ডিলার) শাখাগুলোতে লেনদেন অব্যাহত রাখতে হবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে।

এসএম//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

লকডাউনে ব্যাংকে লেনদেনের সময় বাড়লো

Update Time : ০৭:০৬:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ এপ্রিল ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন রোববার (১১ এপ্রিল) শেষ হলেও ব্যাংকিং খাতের লেনদেনের সময় সীমিত আকারে রাখা হয়েছে।

তবে আড়াই ঘণ্টার পরিবর্তে তিন ঘণ্টা ব্যাংকিং খাতে লেনদেন চলবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা জারি করেছে। রোববার ১১ এপ্রিল বিকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে।

নির্দেশনা বলা হয়েছে, ৪ এপ্রিলের সার্কুলারের অনুবৃত্তিক্রমে ১২ ও ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত দৈনিক সকাল ১০ টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ব্যাংকের লেনদেন চলবে। তবে ব্যাংক খোলা থাকবে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত।

এর আগের সার্কুলারের ব্যাংকিং লেনদেন কার্যক্রম আড়াই ঘণ্টা চালু এবং ব্যাংক দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা রাখার জন্য বলা হয়েছিল। লেনদেন ও ব্যাংক খোলা রাখার সময়ের বিষয় ছাড়া আগের সার্কুলারের সব বিষয় অপরিবর্তিত রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আগের নির্দেশনায়, লকডাউন চলাকালে ব্যাংকগুলোকে এটিএম ও কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন চালু রাখার সুবিধার্থে এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা সার্বক্ষণিক চালু রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এবং এটিএম বুথগুলোতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা, স্যানিটাইজেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে বলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে।

এছাড়া পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ব্যাংকের সান্ধ্যকালীন এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সাপ্তাহিক ছুটিকালীন ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের লেনদেন সময়সূচি ও কার্যক্রম বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো নিজেদের বিবেচনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে।

লেনদেন চলাকালীন সময়ে দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোকে যা করতে হবে-ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও শাখাগুলো জরুরি ব্যাংকিং সেবা দেওয়া অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় জনবলের বিন্যাস ব্যাংক স্বীয় বিবেচনায় সম্পন্ন করবে। এক্ষেত্রে শাখার নিকটবর্তী স্থানে বসবাসরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতির বিষয়টি অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে। জনস্বার্থে ব্যাংকিং সেবা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি অফিসের কর্মপরিবেশ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ সংক্রান্ত সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা যথাযথভাবে পরিপালন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

গ্রাহকদের হিসাবে জমা এবং উত্তোলনসহ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক চালু রাখা বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমের/ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন অন্যান্য লেনদেন সুবিধা দেয়া নিশ্চিত করতে ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে।

সিটি করপোরেশন ও জেলা সদরে কার্যরত যেসব ব্যাংকের ২ কিলোমিটারের মধ্যে একাধিক শাখা রয়েছে, সেক্ষেত্রে সুবিধাজনক একটি শাখা (অথরাইজড ডিলার শাখা ছাড়া) হতে গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করার শর্তে অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। তবে অনলাইন সুবিধা বহির্ভূত ব্যাংকের অন্যান্য শাখা খোলা রাখতে হবে।

বিশেষ ব্যবস্থাধীনে ইতোপূর্বে মঞ্জুরিকৃত এবং বিতরণের অপেক্ষায় থাকা ঋণের অর্থ ছাড়করণ, বিভিন্ন প্রণোদনাগুচ্ছের আওতাধীন কার্যক্রম, শ্রমঘন শিল্প এলাকায় শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে যাবতীয় ঋণ নিয়মাচার পরিপালনপূর্বক রপ্তানি বিল ক্রয়, ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণ অব্যাহত রাখতে হবে।

গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি বৈদেশিক লেনদেন সম্পাদনের জন্য বৈদেশিক বাণিজ্য (অথরাইজড ডিলার) শাখাগুলোতে লেনদেন অব্যাহত রাখতে হবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে।

এসএম//