Dhaka ০১:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট

গবেষণা : পভিডিন আয়োডিন দিয়ে ৪ ঘণ্টা পরপর কুলিতে দ্রুত করোনামুক্তি

  • Update Time : ০১:০৯:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ এপ্রিল ২০২১
  • / ৭ Time View

বিশেষ প্রতিনিধি :
পভিডিন আয়োডিন দিয়ে ৪ ঘণ্টা পরপর কুলিতে দ্রুত করোনামুক্তি সম্ভব বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

এক শতাংশ পভিডিন আয়োডিনের মিশ্রণ নিয়ে ৪ ঘণ্টা পরপর কুলি এবং এই মিশ্রণের কয়েক ফোঁটা নাকে ও চোখে প্রয়োগ করলে ব্যবহারকারী করোনাভাইরাস পজিটিভ থেকে দ্রুত নেগেটিভ হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের ডা: ইকবাল মাহমুদ চৌধুরী ও তার পাঁচ সহযোগী চিকিৎসকের গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে, এই মিশ্রণটি ব্যবহার করলে আক্রান্তের মৃত্যুর আশঙ্কা কমে যাচ্ছে, তাদের অক্সিজেনও কম প্রয়োজন হচ্ছে।

এ বিষয়ে গবেষণার প্রধান ডা: ইকবাল মাহমুদ চৌধুরী বলেন, গত ১৫০ বছর ধরে পৃথিবীতে পভিডিন আয়োডিন অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এখন এটি প্রমাণিত হয়েছে যে বিভিন্ন ঘনত্বের পভিডিন, আয়োডিন করোনাভাইরাসকে অকার্যকর দিতে পারছে।

ডা: ইকবাল মাহমুদ চৌধুরী ও তার দলের পরামর্শে বাড়িতে অবস্থান করে চিকিৎসাটি যারা নিয়েছেন তাদের মোটসংখ্যা ছিল এক হাজার ১১৩ জন। এরা সবাই করোনা আক্রান্ত ছিলেন। এদের মধ্যে থেকে ৬০৬ জনকে বাছাই করা হয় দৈবচয়নের ভিত্তিতে। এই ৬০৬ জন করোনা পজিটিভ রোগীকে একই রকমভাবে দৈব চয়নের মাধ্যমে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। এক ভাগে ৩০৩ জন রোগীকে ১০ শতাংশ পভিডিন আয়োডিন মিশ্রিত পানি দিয়ে চার সপ্তাহ ধরে কুলি করানো হয় ৪ ঘণ্টা পরপর। এই রোগীদের নাকে ও চোখেও একই মিশ্রণের ড্রপ দেয়া হয় একইভাবে চার সপ্তাহ ধরে।

অন্য ৩০৩ জনকে একইভাবে ৪ ঘণ্টা পরপর চার সপ্তাহ ধরে কুসুম গরম পানি দিয়ে কুলি করানো হয়। দুই গ্রুপের ৬০৬ জনকে একই সাথে লক্ষণভিত্তিক ওষুধ ও চিকিৎসা দেয়া হয়। দুই গ্রুপের সবারই প্রতি তৃতীয়, পঞ্চম ও সপ্তম দিন আরটি পিসিআর পরীক্ষা করানো হয়।

দুই গ্রুপের সব রোগীরই একই সাথে চতুর্থ সপ্তাহে থাইরয়েড হরমোন লেবেল টিএসএইচ, টি৩, এফটি৪ পরীক্ষা করা হয়। ডা: ইকবাল মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ৩০৩ জনের যে গ্রুপটিকে ১ শতাংশ পভিডিন আয়োডিন দেয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে দ্রুত অসুস্থতা দূর হয়ে তারা করোনা নেগেটিভ হন। তাদের মধ্যে মৃত্যুহারও হ্রাস পায়।

এ ছাড়া ১ শতাংশ পভিডিন আয়োডিনের মিশ্রণটি প্রয়োগের ৭ দিন পর দেখা গেছে, মাত্র ২.৬৪ শতাংশ করোনার রোগী আরটি পিসিআর পরীক্ষায় পজিটিভ থেকে যায়। অন্য দিকে যাদেরকে কুসুম গরম পানি দিয়ে কুলি করানো হয়েছে তাদের ৭ দিন পর আরটি পিসিআর পরীক্ষায় ৭০.৩০ শতাংশ পজিটিভ ছিল। অন্য দিকে যাদের মিশ্রণটি দিয়ে কুলি করানো হয়েছে তাদের ৩.৩০ শতাংশ হাসপাতালে ভর্তির পর অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়েছিল। কিন্তু যাদের শুধু গরম পানি দেয়া হয়েছে তাদের ২০.৭৯ শতাংশকে অক্সিজেন দিতে হয়েছে।

ডা: ইকবাল মাহমুদ বলেন, ৩০৩ জনের যে গ্রুপটিকে পভিডিন আয়োডিনের মিশ্রণ দিয়ে কুলি করতে এবং চোখে ও নাকে ড্রপ দিতে বলা হয়েছিল এদের মধ্যে মৃত্যুর হার ০.৬৬ শতাংশ অর্থাৎ ২ জন এবং যাদের শুধু কুসুম গরম পানি দেয়া হয়েছিল তাদের মৃত্যুর হার ছিল ৫.৬০ শতাংশ অর্থাৎ ১৭ জনের মৃত্যু হয়।

পভিডিন আয়োডিন মিশ্রণ ব্যবহারকারী করোনা রোগীদের ৪৮৪ জন ছিলেন পুরুষ ও ১২২ ছিলেন নারী। এদের বয়স ছিল ১১ থেকে ৯০ বছর। এই রোগীদের বেশির ভাগই উচ্চশিক্ষিত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের।

ডা: ইকবাল মাহমুদ চৌধুরী গনমাধ্যমকে বলেন, পভিডিন আয়োডিন দিয়ে কুলি করা, নাকে অথবা চোখে ড্রপ ব্যবহার করা খুবই সহজ। তিনি জানান, তাদের এই গবেষণা দলে আরো ছিলেন নীলুফার শবনম, তাজিন আহসান, মো: সাইফুল কবির, রাশেদ মো: খান এবং এস এম আবু আহসান। তারা সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাটি বায়ো রিসার্চ কমিউনিকেশন জার্নালে ছাপা হয়েছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক জার্নাল। এ ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্যানডেমিক রেসপন্স এবং ইন্দোনেশিয়ার হাসপাতালে এ বিষয়ে গবেষণা চলমান রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ গবেষণাটির স্বীকৃতি দিয়েছে। গবেষণাটি ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত ডাটা নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে।

ডা: ইকবাল মাহমুদ চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, তাদের এ মিশ্রণটি দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টের বেলায়ও প্রয়োজ্য হবে। কিছু কিছু কেসে তারা সফলতা পেয়েছেন। এ মুহূর্তে যথেষ্ট ডাটা নেই বলে সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। শিগগিরই দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টে যারা আক্রান্ত তাদের নিয়ে আরেকটি গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে, এর কাজ চলছে।

বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া বিটাডিন/ পভিসেফ/ ভায়োডিন (১০%) অ্যান্টিসেপ্টিকের ২ চামচ এক গ্লাস পানিতে মিশাতে হবে। এ মিশ্রণটি মুখে নিয়ে কুলি (গড়গড়া) করতে হবে ৩ থেকে ৪ মিনিট ধরে। এই পানি নাকে ও দুই চোখে ড্রপার দিয়ে কয়েক ফোঁটা ব্যবহার করতে হবে।

এতে চোখের কোনো ক্ষতি হবে না বলে জানিয়েছেন ডা: ইকবাল হাসান মাহমুদ। তিনি জানান, এ মিশ্রণটি ব্যবহার করলেও সবাইকে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, ঘনঘন সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে এবং ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে।

ডিএএম//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

গবেষণা : পভিডিন আয়োডিন দিয়ে ৪ ঘণ্টা পরপর কুলিতে দ্রুত করোনামুক্তি

Update Time : ০১:০৯:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ এপ্রিল ২০২১

বিশেষ প্রতিনিধি :
পভিডিন আয়োডিন দিয়ে ৪ ঘণ্টা পরপর কুলিতে দ্রুত করোনামুক্তি সম্ভব বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

এক শতাংশ পভিডিন আয়োডিনের মিশ্রণ নিয়ে ৪ ঘণ্টা পরপর কুলি এবং এই মিশ্রণের কয়েক ফোঁটা নাকে ও চোখে প্রয়োগ করলে ব্যবহারকারী করোনাভাইরাস পজিটিভ থেকে দ্রুত নেগেটিভ হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের ডা: ইকবাল মাহমুদ চৌধুরী ও তার পাঁচ সহযোগী চিকিৎসকের গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে, এই মিশ্রণটি ব্যবহার করলে আক্রান্তের মৃত্যুর আশঙ্কা কমে যাচ্ছে, তাদের অক্সিজেনও কম প্রয়োজন হচ্ছে।

এ বিষয়ে গবেষণার প্রধান ডা: ইকবাল মাহমুদ চৌধুরী বলেন, গত ১৫০ বছর ধরে পৃথিবীতে পভিডিন আয়োডিন অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এখন এটি প্রমাণিত হয়েছে যে বিভিন্ন ঘনত্বের পভিডিন, আয়োডিন করোনাভাইরাসকে অকার্যকর দিতে পারছে।

ডা: ইকবাল মাহমুদ চৌধুরী ও তার দলের পরামর্শে বাড়িতে অবস্থান করে চিকিৎসাটি যারা নিয়েছেন তাদের মোটসংখ্যা ছিল এক হাজার ১১৩ জন। এরা সবাই করোনা আক্রান্ত ছিলেন। এদের মধ্যে থেকে ৬০৬ জনকে বাছাই করা হয় দৈবচয়নের ভিত্তিতে। এই ৬০৬ জন করোনা পজিটিভ রোগীকে একই রকমভাবে দৈব চয়নের মাধ্যমে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। এক ভাগে ৩০৩ জন রোগীকে ১০ শতাংশ পভিডিন আয়োডিন মিশ্রিত পানি দিয়ে চার সপ্তাহ ধরে কুলি করানো হয় ৪ ঘণ্টা পরপর। এই রোগীদের নাকে ও চোখেও একই মিশ্রণের ড্রপ দেয়া হয় একইভাবে চার সপ্তাহ ধরে।

অন্য ৩০৩ জনকে একইভাবে ৪ ঘণ্টা পরপর চার সপ্তাহ ধরে কুসুম গরম পানি দিয়ে কুলি করানো হয়। দুই গ্রুপের ৬০৬ জনকে একই সাথে লক্ষণভিত্তিক ওষুধ ও চিকিৎসা দেয়া হয়। দুই গ্রুপের সবারই প্রতি তৃতীয়, পঞ্চম ও সপ্তম দিন আরটি পিসিআর পরীক্ষা করানো হয়।

দুই গ্রুপের সব রোগীরই একই সাথে চতুর্থ সপ্তাহে থাইরয়েড হরমোন লেবেল টিএসএইচ, টি৩, এফটি৪ পরীক্ষা করা হয়। ডা: ইকবাল মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ৩০৩ জনের যে গ্রুপটিকে ১ শতাংশ পভিডিন আয়োডিন দেয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে দ্রুত অসুস্থতা দূর হয়ে তারা করোনা নেগেটিভ হন। তাদের মধ্যে মৃত্যুহারও হ্রাস পায়।

এ ছাড়া ১ শতাংশ পভিডিন আয়োডিনের মিশ্রণটি প্রয়োগের ৭ দিন পর দেখা গেছে, মাত্র ২.৬৪ শতাংশ করোনার রোগী আরটি পিসিআর পরীক্ষায় পজিটিভ থেকে যায়। অন্য দিকে যাদেরকে কুসুম গরম পানি দিয়ে কুলি করানো হয়েছে তাদের ৭ দিন পর আরটি পিসিআর পরীক্ষায় ৭০.৩০ শতাংশ পজিটিভ ছিল। অন্য দিকে যাদের মিশ্রণটি দিয়ে কুলি করানো হয়েছে তাদের ৩.৩০ শতাংশ হাসপাতালে ভর্তির পর অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়েছিল। কিন্তু যাদের শুধু গরম পানি দেয়া হয়েছে তাদের ২০.৭৯ শতাংশকে অক্সিজেন দিতে হয়েছে।

ডা: ইকবাল মাহমুদ বলেন, ৩০৩ জনের যে গ্রুপটিকে পভিডিন আয়োডিনের মিশ্রণ দিয়ে কুলি করতে এবং চোখে ও নাকে ড্রপ দিতে বলা হয়েছিল এদের মধ্যে মৃত্যুর হার ০.৬৬ শতাংশ অর্থাৎ ২ জন এবং যাদের শুধু কুসুম গরম পানি দেয়া হয়েছিল তাদের মৃত্যুর হার ছিল ৫.৬০ শতাংশ অর্থাৎ ১৭ জনের মৃত্যু হয়।

পভিডিন আয়োডিন মিশ্রণ ব্যবহারকারী করোনা রোগীদের ৪৮৪ জন ছিলেন পুরুষ ও ১২২ ছিলেন নারী। এদের বয়স ছিল ১১ থেকে ৯০ বছর। এই রোগীদের বেশির ভাগই উচ্চশিক্ষিত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের।

ডা: ইকবাল মাহমুদ চৌধুরী গনমাধ্যমকে বলেন, পভিডিন আয়োডিন দিয়ে কুলি করা, নাকে অথবা চোখে ড্রপ ব্যবহার করা খুবই সহজ। তিনি জানান, তাদের এই গবেষণা দলে আরো ছিলেন নীলুফার শবনম, তাজিন আহসান, মো: সাইফুল কবির, রাশেদ মো: খান এবং এস এম আবু আহসান। তারা সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাটি বায়ো রিসার্চ কমিউনিকেশন জার্নালে ছাপা হয়েছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক জার্নাল। এ ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্যানডেমিক রেসপন্স এবং ইন্দোনেশিয়ার হাসপাতালে এ বিষয়ে গবেষণা চলমান রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ গবেষণাটির স্বীকৃতি দিয়েছে। গবেষণাটি ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত ডাটা নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে।

ডা: ইকবাল মাহমুদ চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, তাদের এ মিশ্রণটি দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টের বেলায়ও প্রয়োজ্য হবে। কিছু কিছু কেসে তারা সফলতা পেয়েছেন। এ মুহূর্তে যথেষ্ট ডাটা নেই বলে সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। শিগগিরই দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টে যারা আক্রান্ত তাদের নিয়ে আরেকটি গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে, এর কাজ চলছে।

বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া বিটাডিন/ পভিসেফ/ ভায়োডিন (১০%) অ্যান্টিসেপ্টিকের ২ চামচ এক গ্লাস পানিতে মিশাতে হবে। এ মিশ্রণটি মুখে নিয়ে কুলি (গড়গড়া) করতে হবে ৩ থেকে ৪ মিনিট ধরে। এই পানি নাকে ও দুই চোখে ড্রপার দিয়ে কয়েক ফোঁটা ব্যবহার করতে হবে।

এতে চোখের কোনো ক্ষতি হবে না বলে জানিয়েছেন ডা: ইকবাল হাসান মাহমুদ। তিনি জানান, এ মিশ্রণটি ব্যবহার করলেও সবাইকে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, ঘনঘন সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে এবং ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে।

ডিএএম//