Dhaka ১২:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

লক খোলা লকডাউন ! নতুন নির্দেশনার অপেক্ষা

  • Update Time : ০৯:৪৮:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ২০২১
  • / ০ Time View

সারাদেশ ডেস্ক :
মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলছে।

বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, বড় হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। গত ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল ঢাকাসহ সারা দেশে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করে সরকার।

লকডাউনের মাঝপথে এসে শিথিলতা দেখা দিয়েছে। দূরপাল্লার বাস-ট্রেন এবং অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল বন্ধ থাকলেও লকডাউনের একদিন যেতে না যেতেই ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে নগরপরিবহন চালু করা হয়েছে। আবার শপিংমল ও দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। সব মিলিয়ে চলমান লকডাউনে শিথিলতা চলে এসেছে বলা যায় লকডাউনের লক খোলা

করোনা বিস্তার রোধে গত ৪ এপ্রিল প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পরদিন ৫ এপ্রিল থেকে শর্তসাপেক্ষে ঢাকাসহ সারা দেশে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করে সরকার।

মন্ত্রিপরিষদের ওই প্রজ্ঞাপনে সব রকম গণপরিবহন বন্ধ রাখাসহ ১১টি নির্দেশনা জারি করা হয়। এদিন সকাল ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়।

সীমিত জনবল দিয়ে সরকারি-আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস আদালত ও বেসরকারি অফিস জরুরি কাজ সম্পাদনের জন্য খোলা রাখার নির্দেশনা রয়েছে এই প্রজ্ঞাপনে।

শপিংমল ও দোকান বন্ধ রাখার কথা বলা হলেও গার্মেন্ট খোলা রাখা হয়। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা আলোচনা সমালোচনার জন্ম দেয়। অফিস খোলা থাকায় লকডাউনের প্রথম দিনই অফিস করতে আসা লোকজনকে বিপাকে পড়তে হয়। এ নিয়ে সমালোচনার কমতি ছিল না।

ফলে ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে গণপরিবহন স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনার অনুমতি দেয় সরকার। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।
শুরু থেকেই শপিংমল ও দোকান খুলে ব্যবসা করার সুযোগ দানের জন্য আন্দোলন করে আসছিলেন ব্যবসায়ীরা। শেষ পর্যন্ত সরকার ব্যবসায়ীদের দাবিও পূরণ করেছে। মন্ত্রিপরিষদ থেকে গতকাল সব মন্ত্রণালয়ের সচিব/সিনিয়র সচিব, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এতে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানাসাপেক্ষে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে শুক্রবার থেকে শপিংমল ও দোকান সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।

আগামী ১৪ এপ্রিল বুধবার বাংলা নববর্ষ। চাঁদ দেখাসাপেক্ষে এদিন কিংবা পরের দিন থেকেই শুরু হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। তাই ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বিপণিবিতান ও দোকানপাট খোলা রাখার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণার দিন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছিলেন, লকডাউন পরবর্তীতে বাড়ানো হবে কি না তা বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে ৮ এপ্রিল গতকাল বৃহস্পতিবারহ জানানো হবে।

কিন্তু, গতকাল এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার তিনি জানান, আরেকটু পরিকল্পনা করে আগামী রোববার নাগাদ নতুন করে নির্দেশনা জারি করা হতে পারে। নিশ্চয় আমাদের ভিন্ন কিছু পরিকল্পনা আছে। প্রধানমন্ত্রী সব বিষয়ে নতুন করে নির্দেশনার কথা ভাবছেন।

ডিএএম//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

লক খোলা লকডাউন ! নতুন নির্দেশনার অপেক্ষা

Update Time : ০৯:৪৮:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ২০২১

সারাদেশ ডেস্ক :
মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলছে।

বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, বড় হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। গত ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল ঢাকাসহ সারা দেশে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করে সরকার।

লকডাউনের মাঝপথে এসে শিথিলতা দেখা দিয়েছে। দূরপাল্লার বাস-ট্রেন এবং অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল বন্ধ থাকলেও লকডাউনের একদিন যেতে না যেতেই ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে নগরপরিবহন চালু করা হয়েছে। আবার শপিংমল ও দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। সব মিলিয়ে চলমান লকডাউনে শিথিলতা চলে এসেছে বলা যায় লকডাউনের লক খোলা

করোনা বিস্তার রোধে গত ৪ এপ্রিল প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পরদিন ৫ এপ্রিল থেকে শর্তসাপেক্ষে ঢাকাসহ সারা দেশে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করে সরকার।

মন্ত্রিপরিষদের ওই প্রজ্ঞাপনে সব রকম গণপরিবহন বন্ধ রাখাসহ ১১টি নির্দেশনা জারি করা হয়। এদিন সকাল ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়।

সীমিত জনবল দিয়ে সরকারি-আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস আদালত ও বেসরকারি অফিস জরুরি কাজ সম্পাদনের জন্য খোলা রাখার নির্দেশনা রয়েছে এই প্রজ্ঞাপনে।

শপিংমল ও দোকান বন্ধ রাখার কথা বলা হলেও গার্মেন্ট খোলা রাখা হয়। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা আলোচনা সমালোচনার জন্ম দেয়। অফিস খোলা থাকায় লকডাউনের প্রথম দিনই অফিস করতে আসা লোকজনকে বিপাকে পড়তে হয়। এ নিয়ে সমালোচনার কমতি ছিল না।

ফলে ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে গণপরিবহন স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনার অনুমতি দেয় সরকার। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।
শুরু থেকেই শপিংমল ও দোকান খুলে ব্যবসা করার সুযোগ দানের জন্য আন্দোলন করে আসছিলেন ব্যবসায়ীরা। শেষ পর্যন্ত সরকার ব্যবসায়ীদের দাবিও পূরণ করেছে। মন্ত্রিপরিষদ থেকে গতকাল সব মন্ত্রণালয়ের সচিব/সিনিয়র সচিব, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এতে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানাসাপেক্ষে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে শুক্রবার থেকে শপিংমল ও দোকান সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।

আগামী ১৪ এপ্রিল বুধবার বাংলা নববর্ষ। চাঁদ দেখাসাপেক্ষে এদিন কিংবা পরের দিন থেকেই শুরু হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। তাই ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বিপণিবিতান ও দোকানপাট খোলা রাখার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণার দিন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছিলেন, লকডাউন পরবর্তীতে বাড়ানো হবে কি না তা বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে ৮ এপ্রিল গতকাল বৃহস্পতিবারহ জানানো হবে।

কিন্তু, গতকাল এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার তিনি জানান, আরেকটু পরিকল্পনা করে আগামী রোববার নাগাদ নতুন করে নির্দেশনা জারি করা হতে পারে। নিশ্চয় আমাদের ভিন্ন কিছু পরিকল্পনা আছে। প্রধানমন্ত্রী সব বিষয়ে নতুন করে নির্দেশনার কথা ভাবছেন।

ডিএএম//