নোয়াখালী প্রতিনিধি:
জাতিসঙ্ঘ প্রতিনিধি দলের পর এবার বাংলাদেশে নিযুক্ত পশ্চিমা বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ১০ দেশের রাষ্ট্রদূত নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর পরিদর্শন করেছেন।
শনিবার বেলা ১১টায় রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখতে ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতরা ভাসানচর পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শক দলে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, জাপান, নেদারল্যান্ড ও কানাডার রাষ্ট্রদূত।
একই সময়ে বিদেশী কূটনীতিকদের স্বাগত জানাতে ও ভাসানচর সম্পর্কে ধারণা দিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ভাসানচরে উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত রাষ্ট্রদূতরা ভাসানচরে অবস্থার করেন। এ সময় তারা ভাসানচরের ১ নম্বর ওয়্যারহাউজে বিভিন্ন বয়সের রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলেন। তাদের সুযোগ-সুবিধা ও জীবনযাত্রার মানসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন। পাশাপাশি তারা ভাসানচরের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মাহে আলম গনমাধ্যমকে বলেন, বিকেল ৩টার দিকে ভাসানচর পরিদর্শন শেষে ১০ দেশের রাষ্ট্রদূত ঢাকার উদ্দেশে ভাসানচর ত্যাগ করেন।
এর আগে গত ১৭ মার্চ জাতিসঙ্ঘের একটি প্রতিনিধি দল ভাসানচর পরিদর্শন করে। ১৮ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার কাজে যুক্ত জাতিসঙ্ঘের বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা ছিলেন। ওই প্রতিনিধি দলটি তিন দিন ভাসানচরে অবস্থান করে। দলের সদস্যরা রোহিঙ্গাদের জীবনযাপনের সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন।
এ ছাড়া চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সহকারী মহাসচিব ইউসেফ আল ডোবেয়ার নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল বিদেশী পর্যবেক্ষক হিসেবে প্রথম ভাসানচর পরিদর্শন করে।
রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল হাতিয়ায় মেঘনা নদীর বুকে জেগে উঠা ভাসানচরে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ শেষ হয়। ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হওয়ার কথা থাকলেও আগেই শেষ হয় সকল অবকাঠামো নির্মাণ। হাতিয়া থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে ১৩ হাজার বর্গকিলোমিটার দ্বীপের এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১২০টি গুচ্ছগ্রাম রয়েছে। এতে এক লাখ রোহিঙ্গার বাসযোগ্য করা হয়েছে।
ডিএ//
Leave a Reply