Dhaka ১২:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল

বোয়ালখালী পৌরসভায় জহুরুল ইসলামকে মেয়র ঘোষণা বাতিল করলো হাইকোর্ট

  • Update Time : ০৫:৪০:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মার্চ ২০২১
  • / ২ Time View

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক: চট্রগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জহুরুল ইসলামকে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত বাতিল করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে ওই পৌরসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ইদ্রিস আলমের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করেছেন সর্বোচ্চ আদালত। পাশাপাশি তাকে প্রতীক বরাদ্দেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদার সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তার সঙ্গে ছিলেন মো. আক্তার রসুল (মুরাদ)।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি বিপুল বাগমার। জহুরুল ইসলামের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. নাজমুল হুদা।

ব্যারিষ্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বাসস’কে বলেন, চট্রগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভা নির্বাচনে গত ৭ মার্চ তফসিল ঘোষণা করে ইসি। এ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র প্রার্থী হন মো. জহুরুল ইসলাম। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হন আবুল কালাম আবু এবং মো. ইদ্রিস আলম।
এরপর ঋণখেলাপীর অভিযোগে আবুল কালাম আবু এবং আয়কর রিটার্নিংয়ের প্রাপ্তিতা স্বীকার ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ দাখিল না করায় মো. ইদ্রিস আলমের প্রার্থীতা গত ১৯ মার্চ রিটার্নিং কর্মকর্তা বাতিল করে।

এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ২১ মার্চ আপিল করে মো. ইদ্রিস আলম। তার আপিলের শুনানি নিয়ে ২৩ মার্চ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সেটি খারিজ করে দেয়। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে মো. ইদ্রিস আলম।

এরমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় মো. জহুরুল ইসলামকে মেয়র ঘোষণা দেয় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুন নাহার। হাইকোর্ট ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে জহুরুলের মেয়র হওয়া স্থগিত করা হয়েছে। ওই পৌরসভায় এখন নির্বাচন হবে। মো. ইদ্রিস আলম এখন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।

আগামী ১১ এপ্রিল এ পৌরসভার ভোটগ্রহণের দিন ধার্য আছে।

এমডিএ//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বোয়ালখালী পৌরসভায় জহুরুল ইসলামকে মেয়র ঘোষণা বাতিল করলো হাইকোর্ট

Update Time : ০৫:৪০:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মার্চ ২০২১

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক: চট্রগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জহুরুল ইসলামকে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত বাতিল করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে ওই পৌরসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ইদ্রিস আলমের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করেছেন সর্বোচ্চ আদালত। পাশাপাশি তাকে প্রতীক বরাদ্দেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদার সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তার সঙ্গে ছিলেন মো. আক্তার রসুল (মুরাদ)।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি বিপুল বাগমার। জহুরুল ইসলামের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. নাজমুল হুদা।

ব্যারিষ্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বাসস’কে বলেন, চট্রগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভা নির্বাচনে গত ৭ মার্চ তফসিল ঘোষণা করে ইসি। এ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র প্রার্থী হন মো. জহুরুল ইসলাম। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হন আবুল কালাম আবু এবং মো. ইদ্রিস আলম।
এরপর ঋণখেলাপীর অভিযোগে আবুল কালাম আবু এবং আয়কর রিটার্নিংয়ের প্রাপ্তিতা স্বীকার ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ দাখিল না করায় মো. ইদ্রিস আলমের প্রার্থীতা গত ১৯ মার্চ রিটার্নিং কর্মকর্তা বাতিল করে।

এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ২১ মার্চ আপিল করে মো. ইদ্রিস আলম। তার আপিলের শুনানি নিয়ে ২৩ মার্চ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সেটি খারিজ করে দেয়। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে মো. ইদ্রিস আলম।

এরমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় মো. জহুরুল ইসলামকে মেয়র ঘোষণা দেয় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুন নাহার। হাইকোর্ট ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে জহুরুলের মেয়র হওয়া স্থগিত করা হয়েছে। ওই পৌরসভায় এখন নির্বাচন হবে। মো. ইদ্রিস আলম এখন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।

আগামী ১১ এপ্রিল এ পৌরসভার ভোটগ্রহণের দিন ধার্য আছে।

এমডিএ//