দিদারুল আলম : কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাস জনিত সংক্রমণ মহামারি ইতোমধ্যে কেড়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ।

এ ভাইরাস মহামারি আকারে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বে কয়েক কোটি মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও এ মহামারিতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বিশ্বে। পাশাপাশি সুস্থও হচ্ছেন মানুষ।

বিশ্ব ব্যবস্থার অনেক বিষয়ে এ ভাইরাসের কারণে গতানুগতিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হয়েছে। তেমনি পরিবর্তন আনতে হয়েছে বিচারিক প্রক্রিয়ায়।

গত বছর ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ জনিত রোগী সনাক্ত হয় দেশে। ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। ফলে পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থায় স্থবিরতা তৈরি হয়। এতে বিপাকে পড়ে বিচার প্রার্থী জনগন। পরিস্থিতি উত্তোরণে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা শুরু হয়। এটি এর আগে দেশে কেউ জানতো না। পরে এ বিষয়ে আইন প্রণয়ণ করা হয়েছে। আইনজীবীরা প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে মামলা পরিচালনা ও শুনানি করছেন। দেশে শুরুতে উচ্চ ও নিম্ন আদালতে ভার্চুয়ালি শুরু হয় এ কার্যক্রম। পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিম্ন আদালতে সরাসরি শুনানি শুরু হলেও উচ্চ আদালতে ভার্চুয়াল ও এক্সচুয়াল একই সঙ্গে চলমান রয়েছে। বিশেষ করে আপিল বিভাগ পুরোপুরি ভার্চুয়ালি চলছে। হাইকোর্ট দুইভাবে চলছে।

এ বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ড. কাজী আকতার হামিদ বলেন, মহামারি করোনাভাইরাস জনিত উদ্ভূত পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা একটি যুগোপযোগী উদ্যোগ। চেম্বার কিংবা বাসা থেকেও ভার্চুয়ালি মামলায় শুনানি করা যেতে পারে এটি আইনজীবীরা একসময় ভাবতে পারেনি। কিন্তু এটিই এখন বাস্তবতা। আইনজীবীরা তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে ভার্চুয়ালি মামলা শুনানি ইতোমধ্যে রপ্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। মহামারি করোনা থেকে মুক্ত হয়ে বিশ্ব স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে প্রত্যাশা করেন ড. কাজী আকতার হামিদ।

আমাদের দেশেও এ পর্যন্ত প্রায় ৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এ ভাইরাসে। আক্রান্ত হয়েছেন কয়েক লক্ষ লোক। সুস্থতার পাশাপাশি প্রতিদিনই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছ।

এমডিএ//