মোশারফ হোসেন ভূইঁয়া: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার স্বাধীনতা দিবসের দিনে, ৫০ বছর পূর্তির দিনে সারা বাংলাদেশের মাটিতে সাধারণ মানুষের রক্ত ঝড়িয়েছে।
গত তিন দিনে ব্রাক্ষণবাড়িয়া, ঢাকা ও চট্টগ্রামে সাধারণ মানুষের যে প্রাণ গেল এর জন্য এই সরকার সম্পূর্ণভাবে দায়ী। এজন্য এই সরকারকে জনগণের কাছে জবাব দিতে হবে এবং এই রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে বলে বলেন ফখরুল।
সোমবার ২৮ মার্চ দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। হেফাজতে ইসলামের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন,এই সরকারকে অবশ্যই চলে যেতে হবে। আজকে সময় এসেছে, আজকে খবরের কাগজে দেখলাম নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী হয়ে গেছে।
তিনি বলেন,আজকে আমাদের এই সরকার ভারতের সংগে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক করেছে, অত্যন্ত ঘনিষ্ঠপূর্ণ সম্পর্ক। ভালো কথা। আমরাও চাই প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক সুন্দর হোক, সুষ্ঠু হোক। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিস্তা পানি চুক্তি হয়নি, সীমান্তে হত্যা বন্ধ হয়নি। পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশে এটা আছে কিনা আমার জানা নেই।শুধুমাত্র বর্ডার ক্রস করার জন্য গুলি করে হত্যা করা হয়। এর জন্য বিচার ব্যবস্থা থাকতে পারে কিন্তু গুলি করে হত্যা করার বিধান আছে বলে আমার জানা নেই।
ফখরুল বলেন,তাদের সাথে আমাদের যে ব্যবসা বাণিজ্য আছে সেই ব্যবসার কোনো সমাধান আমরা এখন পর্যন্ত পাইনি। এই সরকার এতোটাই নতজানু সরকার, যে সরকার ভারত কিংবা অন্যান্য দেশ থেকে কোনোভাবে আমাদের যে ন্যয্য দাবী সেগুলো আদায় করে দিতে পারছেনা। আপনাদের শুধু এটা বলতে চাই, এই সরকার কে রেখে জনগণের যে আশা আকাঙ্ক্ষা, স্বাধীনতা রক্ষা করতে পারব না। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে তিন বছর ধরে আটক করে রাখা হয়েছে। তাকে অবশ্যই আমাদের মুক্ত করতে হবে। তারেক জিয়া নির্বাসিত আছেন, তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার খুব পরিকল্পিতভাবে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার পর থেকে তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। বাংলাদেশের মানুষের যে আশা-ভরসা তা শেষ করে দিয়েছে। পরিকল্পিতভাবে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করেছে।
ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষাকে পদদলিত করে কখনোই এই আওয়ামী লীগ সরকার টিকে থাকতে পারবে না। তাদেরকে অবশ্যই চলে যেতে হবে৷
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে পরিকল্পিতভাবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পেটুয়াবাহিনীতে পরিণত করেছে। এই সরকারকে অবশ্যই চলে যেতে হবে।
ফখরুল বলেন, আজকে খবরের কাগজে দেখলাম নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী হয়ে গেছে। আজকে আমাদের এই সরকার ভারতের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক করেছে, অত্যন্ত ঘনিষ্ঠপূর্ণ সম্পর্ক। ভালো কথা। আমরাও চাই প্রতিবেশীদের সাথে সম্পর্ক সুন্দর হোক, সুষ্ঠু হোক। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিস্তা পানি চুক্তি হয়নি, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধ হয়নি। পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশে এটা আছে কিনা আমার জানা নেই যে, একটা সভ্য দেশে শুধুমাত্র বর্ডার ক্রস করার জন্য গুলি করে হত্যা করা হয়। এর জন্য বিচার ব্যবস্থা থাকতে পারে কিন্তু গুলি করে হত্যা করার বিধান আছে বলে আমার জানা নেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, আপনাদের শুধু এটা বলতে চাই, এই সরকারকে রেখে জনগণের যে আশা আকাঙ্ক্ষা, স্বাধীনতা রক্ষা করতে পারব না। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে এই সরকারের চক্রান্তের ফলে গত তিন বছর ধরে আটক করে রাখা হয়েছে। তাকে অবশ্যই আমাদের মুক্ত করতে হবে। তারেক জিয়া নির্বাসিত আছেন, তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।
এ সময় আওয়ামী লীগকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই আপনারা অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। অন্যথায় প্রতিটি বিকৃত সরকারকে যেভাবে পদত্যাগ করতে হয়েছে, আপনাদেরকে একইভাবে বিদায় নিতে হবে।
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক ডাকসু ভিপি আমানউল্লাহ আমান, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুন্সী বজলুল বাসিত আঞ্জু, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মোর্তাজুল করিম বাদরু, কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ প্রমুখ।
এমএইচবি//
Leave a Reply