নিজস্ব প্রতিবেদক : বর্তমান সরকার জনগণের ভোটাধীকার হরণ করে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা আঁকড়ে আছে। জনশ্রোতে এ সরকার ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে আইনজীবী নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন। সংগঠনের একটি বিক্ষোভ মিছিল সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ প্রদক্ষিণ করে সমিতি ভবনের সমানে সমাবেশ করেছেন।
সারা দেশব্যাপী নিরীহ জনতার উপর আইনশৃংখলা বাহিনী ও সরকারদলীয় সন্ত্রাসী কর্তৃক নির্বিচারে গুলি ও হত্যার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে আইনজীবী ফোরাম।
সমাবেশে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য সচিব ফজলুর রাহমান, সুপ্রিমকোর্ট বার এর সাবেক সম্পাদক, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক ব্যারিষ্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, যুগ্ম আহ্বায়ক ব্যারিষ্টার কায়সার কামাল, যুগ্ম আহ্বায়ক আবেদ রাজা, ব্যারিষ্টার নাসির উদ্দীন অসীম, সুপ্রিমকোর্ট বার সম্পাদক ব্যারিষ্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, এডভোকেট মোহাম্মদ আলী, ব্যারিষ্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, মাজেদুল ইসলাম পাটোয়ারী, কাজী তৌহিদুল ইসলাম, এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মাহবুব আইনজীবী নেতৃবৃন্দ।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিমকোর্ট ইউনিটের সভাপতি আবদুস জাব্বার ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম সজল সঞ্চালনা করেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য সচিব ফজলুর রাহমান বলেছেন,আইনজীবী ফোরাম হতে পারে দেশের গনতন্ত্র উদ্ধার আন্দোলনের ম্যাগনাকার্টা। তিনি বলেন, এ সরকার অনৈতিক অবৈধ। এ সরকার নিশি রাতে ভোট ডাকাতি করে জনগণের অধিকার হরণ করে ক্ষমতা দখল করে আছে। এ সরকার নিশি রাতের সরকর। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করে বলেন, মোদি সাম্প্রদায়িক ও হত্যাকরী। যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত এ দেশের সরকার কারো দাসত্ব মেনে নেবেনা। প্রয়োজনে আবারো যুদ্ধ হবে। শেখ
হাসিনা সরকারের সিংহাসন মানুষের রক্তে ভেসে যাবে। হাসিনাকে যারা সহযোগিতা করে তাঁদেরও মানুষ ক্ষমা করবেনা। তিনি বলেন, এ সরকারের পতন একমাত্র রাজপথেই হবে। রাজপথ দখল করেই পতন আন্দোলন তরান্বিত করতে হবে। আইনজীবীরা এ আন্দোলন সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবেন।
মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বাংলাদেশে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদ করতে গেলে কয়েকজনকে হত্যা করেছে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সরকার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর প্রেতাত্মা। এ সরকার মানবাধিকার লংঘনকারী। ভবিষ্যতে এজন্য তাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এ সরকার জনবিচ্ছিন্ন। তারা জনগনকে ভয় পায় বলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আশ্রয়ে টিকে আছে। জনশ্রোতে এ সরকার ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ হবে।
কায়সার কামাল বলেন, শহীদ জিয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা। যিনি মুক্তিযুদ্ধের সম্মূখ সমরে অংশ নিয়ে দেশকে স্বাধীনতা অর্জনের অসামান্য অবদান রেখেছেন। তার দল দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে চলমান অপসাসনের অবসান ঘটাবে।
নাসির উদ্দীন অসীম বলেন, এ দেশের মুক্তিকামী মানুষ বর্তমান জগদ্দল পাথরের মতো চেপে থাকা সরকারের পতন নিশ্চিত করবেই। মানুষ যে আশা ও লক্ষ্য নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল সেটি এখনও অর্জিত হয়নি। শহীদ জিয়ার আহ্বানে যেভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তিকামী মানুষ সেভাবেই এখন লড়াই করে মানুষের অধিকার আদায় করতে হবে।
রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণীজয়ন্তীর নামে দেশের মানুষকে জিম্মি করেছে। দেশের মানুষ এ উৎসব কোথায় কীভাবে হয়েছে তা উপলব্ধি করতে পারেনি। মানুষ দেখেছে একজন ভীনদেশী অতিথিকে খুশী করতে গিয়ে এদেশে নিরিহ মানুষের লাশ।
আবেদ রাজা বলেন, পানসে কর্মসূচি নয় মানুষের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি দিয়ে অনৈতিক সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়ার খেতাব বাতিলের ষড়যন্ত্র রুখে দেবে দেশের মানুষ।
সভাপতির বক্তৃতায় সুপ্রিমকোর্ট বার এর সহসভাপতি ও আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিমকোর্ট ইউনিটের সভাপতি আবদুস জাব্বার ভূঁইয়া বলেন, শেখ হাসিনা এদেশে ভারতের সেবাদাসী। জনগন ঐক্যবদ্ধভাবে এ নতজানু অবৈধ হাসিনা সরকারের পতন নিশ্চিত করবেই।
বিপুল সংখ্যক আইনজীবী এ বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন।
এনডিএ//
Leave a Reply