সারাদেশ ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ২৫ বছরের সহযোগিতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় পড়া দুই দেশ ইরান ও চীন।
ইরানের রাজধানী তেহরানে শনিবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই চুক্তিতে সই করেন। আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে শুক্রবার দুই দিনের জন্য ইরানে যান ওয়াং। তিনি ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি, সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির প্রতিনিধি আলি লারিজানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈশ্বিক পরাশক্তির সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির দীর্ঘদিনের চুক্তির পেছনে লারিজানি মূল ভূমিকা রেখেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ২০১৬ সালের ইরান সফরের সময় চুক্তি নিয়ে কাজ শুরু হয় বলে খবর পাওয়া যায়। চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশ আগামী দশকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ১০ গুণ বাড়িয়ে ৬০ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করতে চায়।
চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত কিছু আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, কৌশলগত এ সন্ধির মাধ্যমে ইরানের জ্বালানি, অবকাঠামোর মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে চীনের বিনিয়োগ আসবে। থাকবে সামরিক সহযোগিতাও।
ইরান ও চীন এমন সময়ে চুক্তিতে করল, যখন দুই দেশই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞায় আছে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিনিময়ে পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করতে ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে বিশ্ব শক্তিগুলোর চুক্তি হয়। সে চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে বের হয়ে যান। এরপর ইসলামী প্রজাতন্ত্রটির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন তিনি, যার প্রভাব পড়ে পুরো অর্থব্যবস্থার ওপর।
নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জেসিপিওএ হিসেবে পরিচিত চুক্তিতে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করলেও কোনো নিষেধাজ্ঞা ওঠানোর বিষয়ে এখন পর্যন্ত বক্তব্য দেননি তিনি। বাইডেনের ভাষ্য, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চাইলে পরমাণু চুক্তির শর্ত পুরোপুরি মেনে চলতে হবে ইরানকে। চুক্তিটি বহাল রাখার অংশ হিসেবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন ও রাশিয়া। এদিকে বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট ও বিশ্লেষকদের ভাষ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা সত্ত্বেও মার্চে চীনে ইরানের তেল রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
এমডিএ//
Leave a Reply