নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণকে বাদ দিয়ে দিনটি সরকার আজ স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে।

শুক্রবার সকাল সাড়ে এগারোটায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের এই দিনে বাংলাদেশ তথা পুরো ঢাকা শহরের যে অবস্থা সেটা কারো কাছে প্রত্যাশিত নয়। সারা শহর একটা অঘোষিত কারফিউর মতো রয়েছে। জনগণের চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জনগণকে বাদ দিয়ে দিনটি সরকার আজ উদযাপন করছে।

মহাসচিব বলেন, বিএনপি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের জন্য যে কমিটি ছিল সে কমিটির পক্ষ থেকে আমাদের অনেক কর্মসূচি ছিল। কিন্তু সেটা আমরা পালন করতে পারেনি। আমরা আজকে স্মৃতিসৌধেও যেতে পারিনি। করোনার কারণে আমাদের বাইরের যে কর্মসূচিগুলো ছিল ওইগুলো আমরা বাতিল করেছি।

ফখরুল বলেন, করোনা অত্যন্ত আগ্রাসী ভূমিকা নিয়ে বাংলাদেশ আক্রমণ শুরু করেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে,এ বিষয়ে সরকার একেবারে উদাসীন। কারণ তারা বিদেশী মেহমানদের নিয়ে ব্যস্ত। দেশের মানুষের কি হবে না হবে এ নিয়ে তাদের খুব বেশি আগ্রহ আমরা দেখছি না।

তিনি বলেন, এখানে উপস্থিত আমরা সবাই যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও দেশের এই অবস্থা দেখতে হবে আমরা সেটা কল্পনাও করতে পারিনি। আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আহ্বান জানাতে চাই, এই দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে অক্ষুণ্ণ রাখা, সুসংহত করা এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য সবাইকে আত্মত্যাগ করতে হবে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর থেকে কি প্রত্যাশা করছে বিএনপি এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু দেশ এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় তারা আমাদেরকে সহযোগিতা করেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই বন্ধুদের সঙ্গে আমাদের যে অমীমাংসিত সমস্যাগুলো রয়েছে বিশেষ করে যে পানির হিস্যা সেখানে কোনো সমাধান হয়নি। বারবার করে বলা হচ্ছে তিস্তা নদীর পানির কথা কিন্তু সেটা ১০ বছর আগে বলা হলেও এই সমস্যার সমাধান এখনো হয়নি। সরকার একতরফাভাবে ফেনী নদীর পানি দিয়ে দিয়েছি।

ফখরুল বলেন, আজকে সীমান্ত হত্যা বন্ধ হয়নি। পৃথিবীর এমন কোন সীমান্তে এরকম হত্যা হয় এমন ঘটনা আছে কিনা আমার জানা নেই। প্রতি বছর প্রায় ২০০ মানুষকে হত্যা করা হয় সীমান্তে। এটা কিভাবে জাস্টিফাই করা হয় আমি সেটা জানি না। কিছুদিন আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এসে বলেছেন নো ক্রাইম, নো ডেথ। ক্রাইম করলে এর ট্রায়াল হতে হবে তো। তারা যদি দোষী হয় সে আইন অনুযায়ী অনুযায়ী তাদের শাস্তি হবে।

এমডিএ//