আন্দোলনের মাধ্যমে ৯০ এর মতো সরকারের পতন হবে: মির্জা ফখরুল
- Update Time : ০৭:০৬:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১
- / ১ Time View
মোশারফ হোসেন ভূইঁয়া: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আন্দোলন সংগ্রাম ছাড়া কোনো দিন ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরে আসবে না। ৯০ দশকে যেমনি ছাত্ররা আন্দোলন করে এরশাদ সরকারের পতন ঘটিয়েছিল। এখনও সেই কাজটিই করেত হবে।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে ২৪শে মার্চ কালো দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। ৯০-এর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য এই সভার আয়োজন করে। ঢাকসুর সাবেক ভিপি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান খান দুদু, বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান রিপন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি প্রমুখ।
মহাসচিব বলেন, ছাত্রদের এগিয়ে আসতে হবে। এ জন্য ছাত্রদলের নেতাদের সক্রিয় হতে হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। সবাইকে নিয়ে আন্দোলন করতে হবে। তিনি বলেন, সরকার রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান চায় না। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৮-১০ ঘণ্টার আগুনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ১৫ জনের মতো মানুষ মারা গেছেন। এগুলো হতেই থাকবে। আমরা বারবার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য বলছি। কারণ আমাদের মত দরিদ্র দেশে রোহিঙ্গাদের ভরণ-পোষণ দেয়া সম্ভব না।
মির্জা ফখরুল বলেন,রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে আজ পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেয়নি। প্রাধানমন্ত্রীও কোনো সফর করেননি। এসব বিষয়ে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা শুনলে অবাক লাগে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে, বাংলাদেশের সঙ্গে নাকি ভারতের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে রয়েছে। অথচ আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশে ভারত ও চীন এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসছে না। এটা সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতা। এই সরকার জনগণের ভোটে হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরশাদ সরকার গণতন্ত্র হত্যা করেছিল। এই সরকারও গণতন্ত্রকে হত্যা করে অবৈধ উপায়ে ক্ষমতায় টিকে আছে।
জনগণের সরকার হলে আল জাজিরা ও রয়টার্সের প্রতিবেদনের পরই সরকার পদত্যাগ করত মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদেরকে কেউ গণতন্ত্র এনে দেবে না। আমাদের গণতন্ত্র আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। ছাত্রদেরকে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংগঠন সক্রিয় করে কঠিন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
সিলেটে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের প্রসঙ্গ টেনে এনে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন এই ঘটনা নাকি বিএনপি করেছে। অথচ ধরা পড়ল আওয়ামী লীগের নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার। তিনি বলেন, দেশের চালের দাম বেড়েছে। মোটা চালের দাম ৮০ টাকা, তেল, লবণের দামও বেড়েছে। কৃষক এখন পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। দেশের গরিব মানুষগুলো আরও গরিব হচ্ছে। আর ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে। উন্নয়নের নামে নেয়া মেগা প্রকল্পগুলোতে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে। এখন টিকা নিয়ে দুর্নীতি চলছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এমএইচবি//