Dhaka ০২:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল

প্রাপ্যতা অনুযায়ী ৩৯ বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাকে পদোন্নতি সংক্রান্ত হাইকোর্ট রায় প্রকাশ

  • Update Time : ০৬:৫৮:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ মার্চ ২০২১
  • / ১ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাধীনতার পর প্রথম বিসিএসের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নিয়োগ দেয়া ৩৯ মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাকে প্রাপ্যতা অনুযায়ী ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়ে রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।

রায় প্রদানকারী বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের স্বাক্ষরের মধ্যদিয়ে এ রায় প্রকাশ করা হয়।

গত বছরের ১ নভেম্বর স্বাধীনতার পর প্রথম বিসিএসের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নিয়োগ দেওয়া ৩৯ মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাকে প্রাপ্যতা অনুযায়ী ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ৩৯ কর্মকর্তা বর্তমানে অবসরে রয়েছেন। তাদের আনা ৩টি রিটের শুনানি নিয়ে এই হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

রায়ের পর রিটের পক্ষে আইনজীবী রেজা-ই-রাব্বী সাংবাদিকদের বলেন, এই ৩৯ মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়োগ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৯৮ সালে তাদের পদোন্নতির জন্য একটি নীতিমালা করা হয়। এ নীতিমালার আলোকে পদোন্নতি পেয়ে তাদের কেউ কেউ যুগ্ম সচিব পর্যন্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে ২০০২ সালে নতুন একটি বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। এটি করাই হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দেয়ার জন্য। এর মধ্যে ২০১১ সালে এ সংক্রান্ত অন্য একটি মামলা আপিল বিভাগ পর্যন্ত যায়। সে মামলার রায়ে আপিল বিভাগ বলে দিয়েছিলেন ২০০২ সালের বিধিমালা মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না। আর ২০০২ সালের বিধিমালা অনুযায়ী যাদের পদোন্নতি বঞ্চিত করে কনিষ্ঠদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, সেসব কনিষ্ঠদের পদোন্নতি পাওয়ার তারিখ থেকে বঞ্চিতরা প্রাপ্যতা অনুযায়ী ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি পাবেন।এরপর ২০১৩ সালে বঞ্চিত ওই ৩৯ কর্মকর্তা ২০০২ সালের বিধিমালা চ্যালেঞ্জ করে পৃথক ৩টি রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ১২ নভেম্বর রুল জারি করেন আদালত। শুনানি শেষে আজ সে রুল যথাযথ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

এডভোকেট রেজা-ই-রাব্বী খন্দকার বলেন, পদোন্নতি বঞ্চিত না হলে এই ৩৯ জনের মধ্যে ৩৭ জন সচিব, একজন অতিরিক্ত সচিব ও একজন যুগ্ম সচিব হতেন।

ডিএ//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

প্রাপ্যতা অনুযায়ী ৩৯ বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাকে পদোন্নতি সংক্রান্ত হাইকোর্ট রায় প্রকাশ

Update Time : ০৬:৫৮:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ মার্চ ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাধীনতার পর প্রথম বিসিএসের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নিয়োগ দেয়া ৩৯ মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাকে প্রাপ্যতা অনুযায়ী ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়ে রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।

রায় প্রদানকারী বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের স্বাক্ষরের মধ্যদিয়ে এ রায় প্রকাশ করা হয়।

গত বছরের ১ নভেম্বর স্বাধীনতার পর প্রথম বিসিএসের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নিয়োগ দেওয়া ৩৯ মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাকে প্রাপ্যতা অনুযায়ী ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ৩৯ কর্মকর্তা বর্তমানে অবসরে রয়েছেন। তাদের আনা ৩টি রিটের শুনানি নিয়ে এই হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

রায়ের পর রিটের পক্ষে আইনজীবী রেজা-ই-রাব্বী সাংবাদিকদের বলেন, এই ৩৯ মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়োগ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৯৮ সালে তাদের পদোন্নতির জন্য একটি নীতিমালা করা হয়। এ নীতিমালার আলোকে পদোন্নতি পেয়ে তাদের কেউ কেউ যুগ্ম সচিব পর্যন্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে ২০০২ সালে নতুন একটি বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। এটি করাই হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দেয়ার জন্য। এর মধ্যে ২০১১ সালে এ সংক্রান্ত অন্য একটি মামলা আপিল বিভাগ পর্যন্ত যায়। সে মামলার রায়ে আপিল বিভাগ বলে দিয়েছিলেন ২০০২ সালের বিধিমালা মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না। আর ২০০২ সালের বিধিমালা অনুযায়ী যাদের পদোন্নতি বঞ্চিত করে কনিষ্ঠদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, সেসব কনিষ্ঠদের পদোন্নতি পাওয়ার তারিখ থেকে বঞ্চিতরা প্রাপ্যতা অনুযায়ী ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি পাবেন।এরপর ২০১৩ সালে বঞ্চিত ওই ৩৯ কর্মকর্তা ২০০২ সালের বিধিমালা চ্যালেঞ্জ করে পৃথক ৩টি রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ১২ নভেম্বর রুল জারি করেন আদালত। শুনানি শেষে আজ সে রুল যথাযথ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

এডভোকেট রেজা-ই-রাব্বী খন্দকার বলেন, পদোন্নতি বঞ্চিত না হলে এই ৩৯ জনের মধ্যে ৩৭ জন সচিব, একজন অতিরিক্ত সচিব ও একজন যুগ্ম সচিব হতেন।

ডিএ//