Dhaka ১২:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল

বুড়িগঙ্গার পাশে ৭৪ স্থাপনা উচ্ছেদে হাইকোর্ট নির্দেশ

  • Update Time : ০৩:২৬:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ ২০২১
  • / ২ Time View

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক : বুড়িগঙ্গা নদীর আদি চ্যানেল (হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর) এলাকায় দখলকৃত ৭৪টি অবৈধ স্থাপনা আগামী তিন মাসের মধ্যে উচ্ছেদে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ ১৮ মার্চ এ আদেশ দেন।

আদেশে আদালত নদীর সিএস/আরএস জরিপ অনুসারে ঢাকার জেলা প্রশাসক, বিআইডব্লিউটিএর’র চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলেছেন।

তাদের সহযোগিতা করতে পুলিশের আইজি, ডিএমপি‘র কমিশনার এবং র‌্যাবের মহাপরিচালককে (ডিজি) সহযোগিতা করতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করে আগামী ২৬ জুন হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিলে নির্দেশ দিয়েছেন ।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন এডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অরবিন্দু রায়। পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট আমাতুল করিম।

২০২০ সালের ১২ অক্টোবর পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে আনা আবেদনের শুনানি নিয়ে বুড়িগঙ্গা নদীর আদি চ্যানেল (হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর) এলাকায় নদীর জায়গা দখলকারীদের চিহ্নিত করার জন্য জরিপের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নদীর আদি চ্যানেলের সিএস/আরএস পর্চা অনুসারে জরিপ করে অবৈধ দখলকারীদের তালিকাসহ রিপোর্ট দাখিলের জন্য জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (ডিজি) নির্দেশ দেন আদালত।

নির্দেশনা অনুসারে জরিপের জন্য ১০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয় এবং কয়েকমাস জরিপ কার্যক্রম শেষে নদীর জায়গা দখলকারীদের তালিকা এফিডেবিট আকারে হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। এসব স্থাপনার মধ্যে রয়েছে-টিনশেড বাড়ি, চারতলা ভবন, একতলা ভবন, মাটি ভরাট, মসজিদের আংশিক স্থাপনাসহ ব্যক্তি মালিকানাধীন বাড়ি, সরকারি হাসপাতাল, ইন্ডাস্ট্রি, সুপার মার্কেট।

নদীর অবৈধ দখল বন্ধ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য এইচআরপিবি ২০১৯ সালে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করে। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ নদীর সীমানা জরিপ ও দখলকারীদের উচ্ছেদসহ ৯ দফা নির্দেশনা দেন। ওই রায় অনুসারে জরিপের সময় হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর অংশ ‘‘আদি চ্যানেল’’ জরিপের বাইরে রাখা হয়। সেই জরিপ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, প্রায় ৭৪টি প্রতিষ্ঠান বুড়িগঙ্গা নদীর আদি চ্যানেলের জায়গা দখল করে রেখেছে এবং রায় অনুসারে তা উচ্ছেদ/অপসারণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

তাই সেসব স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য নতুন করে হাইকোর্টে আবেদন দাখিল করে এইচআরপিবি।

ডিএ/

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বুড়িগঙ্গার পাশে ৭৪ স্থাপনা উচ্ছেদে হাইকোর্ট নির্দেশ

Update Time : ০৩:২৬:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ ২০২১

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক : বুড়িগঙ্গা নদীর আদি চ্যানেল (হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর) এলাকায় দখলকৃত ৭৪টি অবৈধ স্থাপনা আগামী তিন মাসের মধ্যে উচ্ছেদে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ ১৮ মার্চ এ আদেশ দেন।

আদেশে আদালত নদীর সিএস/আরএস জরিপ অনুসারে ঢাকার জেলা প্রশাসক, বিআইডব্লিউটিএর’র চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলেছেন।

তাদের সহযোগিতা করতে পুলিশের আইজি, ডিএমপি‘র কমিশনার এবং র‌্যাবের মহাপরিচালককে (ডিজি) সহযোগিতা করতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করে আগামী ২৬ জুন হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিলে নির্দেশ দিয়েছেন ।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন এডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অরবিন্দু রায়। পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট আমাতুল করিম।

২০২০ সালের ১২ অক্টোবর পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে আনা আবেদনের শুনানি নিয়ে বুড়িগঙ্গা নদীর আদি চ্যানেল (হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর) এলাকায় নদীর জায়গা দখলকারীদের চিহ্নিত করার জন্য জরিপের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নদীর আদি চ্যানেলের সিএস/আরএস পর্চা অনুসারে জরিপ করে অবৈধ দখলকারীদের তালিকাসহ রিপোর্ট দাখিলের জন্য জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (ডিজি) নির্দেশ দেন আদালত।

নির্দেশনা অনুসারে জরিপের জন্য ১০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয় এবং কয়েকমাস জরিপ কার্যক্রম শেষে নদীর জায়গা দখলকারীদের তালিকা এফিডেবিট আকারে হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। এসব স্থাপনার মধ্যে রয়েছে-টিনশেড বাড়ি, চারতলা ভবন, একতলা ভবন, মাটি ভরাট, মসজিদের আংশিক স্থাপনাসহ ব্যক্তি মালিকানাধীন বাড়ি, সরকারি হাসপাতাল, ইন্ডাস্ট্রি, সুপার মার্কেট।

নদীর অবৈধ দখল বন্ধ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য এইচআরপিবি ২০১৯ সালে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করে। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ নদীর সীমানা জরিপ ও দখলকারীদের উচ্ছেদসহ ৯ দফা নির্দেশনা দেন। ওই রায় অনুসারে জরিপের সময় হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর অংশ ‘‘আদি চ্যানেল’’ জরিপের বাইরে রাখা হয়। সেই জরিপ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, প্রায় ৭৪টি প্রতিষ্ঠান বুড়িগঙ্গা নদীর আদি চ্যানেলের জায়গা দখল করে রেখেছে এবং রায় অনুসারে তা উচ্ছেদ/অপসারণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

তাই সেসব স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য নতুন করে হাইকোর্টে আবেদন দাখিল করে এইচআরপিবি।

ডিএ/