দিদারুল আলম : সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির (সুপ্রিমকোর্ট বার) ২০২১-২০২২ সেশনের নির্বাচনে ১৪ টি পদের বিপরীতে মোট ৫১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এর মধ্যে সম্পাদক পদে ব্যারিষ্টার মো. রুহুল কুদ্দুস (কাজল) পেয়েছেন সর্বোচ্চ ভোট। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৫ ভোট। এ নিয়ে টানা দুইবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবী সমিতির সম্পাদক নির্বাচিত হলেন ব্যারিষ্টার কাজল।

প্রথম বার সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর ২০২০-২১ সেশনের কমিটি করোনা সংক্রমণ জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আইনজীবীদের কল্যানে নানামুখী উদ্যোগ, তরুণ সদস্যদের পেশাগত উৎকর্ষতায় বিভিন্ন কর্মশালা, সমিতি ভবনকে আধুনিকায়ন, সদস্যদের জন্য ক্রিয়া-সাংস্কৃতিক বিভিন্ন কার্যক্রমসহ বার এর উন্নয়ন ও মর্যাদা বৃদ্ধিতে গৃহীত নানাহ পদক্ষেপের কারনে আইনজীবীদের বিপুল আস্থা অর্জনে সক্ষম হন সম্পাদক ব্যারিষ্টার কাজল। এরই ফল পান এ নির্বাচনে আইনজীবীদের ভোটে।

সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ডায়নামিক নেতৃত্ব হিসেবে নিজেকে প্রমাণে সক্ষম হয়েছেন ব্যারিষ্টার কাজল।

২০২০-২০২১ সেশনে সিনিয়র এডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন সভাপতি (সাদা প্যানেল) এবং নীল প্যানেলের ব্যারিষ্টার মো. রুহুল কুদ্দুস (কাজল) সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন।

সিনিয়র এডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন এখন বাংলাদেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা এটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এবার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী সিনিয়র আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু।

এ নির্বাচন পরিচালনা করেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের নির্বাচন উপ-কমিটি। ভোট গননা শেষে শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে (১৩ মার্চ) ফলাফল ঘোষণা করেছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান।

গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই দিনে ৭ হাজার ৭’শ ২১ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েদিয়েছেন ৫ হাজার ৬’শ ৮৬ জন আইনজীবী। বুধবার সকাল ১০ টায় সুপ্রিমকোর্ট বার মিলনায়তনে এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এ নির্বাচন বুধবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শুরু হয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। তবে মাঝখানে দুপুর একটা থেকে দুইটা পর্যন্ত এক ঘণ্টার বিরতি দেয়া হয়। ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে মোট ৬১ টি বুথ স্থাপন করা হয়।

শুক্রবার ১২ মার্চ দুপুরে গননা শুরু হয়ে মধ্য রাতে (১৩ মার্চ) গননা শেষে ফল ঘোষণা করা হয়।

ডিএ//