আন্দোলন সংগ্রাম সফল করতে বুলেটের সামনে বুক পেতে দিবো: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন
- Update Time : ০৮:৪৪:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মার্চ ২০২১
- / ০ Time View
মোশারফ হোসেন ভূইঁয়া: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ঘাড়ের ওপর চেপে বসেছে। তরুণ প্রজন্ম জেগে উঠেছে। এই সাম্রাজ্যবাদী শক্তি মেনে নেব না। কথা দিচ্ছি এই আন্দোলন সংগ্রাম সফল করতে এই রক্ষীবাহিনীর পতন ঘটাতে প্রথম বুলেটটা নেয়ার জন্য বুক পেতে দিবো। পেছনের দিক দিয়ে পালিয়ে যাবো না। আপনাদেরকে সাথে নিয়ে ইনশাআল্লাহ এই সাম্রাজ্যবাদী গোষ্টির পতন ঘাটাবো।
বুধবার ১০ মার্চ বিকেলে রাজধানীর খিলগাঁও, তালতলা মার্কেটের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি দৃঢ়কন্ঠে এসব কথা বলেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও আমরা নিজেদের মধ্যে মারামারি, ক্ষমতায় যাওয়ার যে একটা লালসা সেখান থেকে আমাদের মধ্যে বিবাদ, বিভাজন, বিরোধ, মারামারি হানাহানি করছি। এখানে লাভ কার হচ্ছে? এখানে একটি স্বার্থবাদী, মাফিয়া গোষ্ঠী, ভূমিদস্যু, যারা বিএনপির সময় ব্যবসা করেছে, আওয়ামী লীগের সময়েও ব্যবসা করেছে, জমি দখল করেছে, বাংলাদেশের সম্পদ লুটপাট করেছে গরিব দুঃখী কৃষকদের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে।
গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা ও অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার পুত্র ইশরাক হোসেন বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে লজ্বাবোধ করছি, আমরা এখনও স্বাধীনতাকে খুঁজে বেড়াই, আমরা এখনও গণতন্ত্রকে খুঁজে বেড়াই। তিনি বলেন, এই বর্তমান সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যে রূপে দাঁড় করিয়েছেন, সেটি আমাদেরকে পাক হানাদার বাহিনী এবং রক্ষীবাহিনীর কথা মনে করিয়ে দেয়।
আমাদের আজকের গণতন্ত্রের এই সংগ্রামে প্রায় এক হাজার নেতা-কর্মী গুম-খুনের শিকার হয়েছে। আমাদের সিলেটের জনপ্রিয় নেতা ইলিয়াস আলী, ঢাকার কমিশনার চৌধুরী আলমসহ অনেকে গুমের শিকার হয়েছে। ২০১৪ সালে নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যে আন্দোলন করেছিলো, সে সময় ২৭ জন নেতাকর্মীকে গুম করে ফেলা হয়েছিলো। তাদের লাশটি পর্যন্ত আজও পাওয়া যায়নি।
ইশরাক হোসেন বলেন, জিয়াউর রহমানের যে খেতাব, যেটা তিনি নিজে যুদ্ধ করে অর্জন করেছেন, সেটা বাতিল করার চেষ্টা করছে সরকার। এই যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী যিনি জিয়াউর রহমানের কবর অন্যত্র সরানোর মতো উদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যও প্রদান করেছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং বর্তমান প্রজন্মের আওয়ামী লীগের আমার বন্ধুরা এবং যারা দেশের নাগরিকরা আছেন, তাদেরকে বলতে চাই, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে আপনাদের মাঝে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে, বিভক্তি সৃষ্টি করছে সেটা বন্ধ করুন। আমরা আগামীতে সকল জাতীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে আগামীতে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা সবাইকে তাদের যথাযথ সম্মান দিতে চাই।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম অলমগীর। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, ষুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক দলের মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন, খুলনা মহানগর সভাপতি ও মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মনজু, বরিশাল মহানগর সভাপতি ও মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বিএনপির প্রার্থী ও দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বিগত নির্বাচনে ঢাকা উত্তরের বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী তাবিথ আওয়াল। সমাবেশ পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিদ আনজু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ এফ এম আব্দুল আলিম নকি।
এমএইচবি//