Dhaka ১১:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল

বুড়িগঙ্গার দূষণ বন্ধে ওয়াসা-রাজউককে হাইকোর্টের নির্দেশনা

  • Update Time : ১২:৩০:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মার্চ ২০২১
  • / ২ Time View

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক: বুড়িগঙ্গার পানি দূষন বন্ধে ঢাকা ওয়াসা এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতি কয়েকদফা নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার ৯ মার্চ এসব নির্দেশনা দেন।

সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরশেদ সারাদেশ’কে এ কথা জানান।

মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন আদালত।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট মনজিল মোরসেদ। পরিবেশের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট আমাতুল করিম, ওয়াসার পক্ষে এডভোকেট উম্মে সালমা এবং রাজউকের পক্ষে এডভোকেট ইমাম হোসেন।

মনজিল মোরেসদ জানান, আদালত শুনানি শেষে ওয়াসাকে বুড়িগঙ্গা নদী তীরবর্তী এলাকায় সকল ভবন মালিক/ব্যবসায়ী যাদের ভবনে পয়ঃপ্রণালি লাইনের সংযোগ বা সেপটিক ট্যাংকের ব্যবস্থা নেই কিন্তু পানির সংযোগ দেওয়া হয়েছে তাদের ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে নোটিশ দিয়ে ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে পানি শোধনের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। এ নোটিশ প্রদান এবং উক্ত নোটিশ সম্পর্কে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সবার অবগতির জন প্রচার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

একই সাথে ওয়াসাকে নদী তীরবর্তী এলাকায় জনসাধারণকে জানাতে মাইকের মাধ্যমে উক্ত বিষয় প্রচার করার নির্দেশ দেয়া হয়। ওয়াসার এমডিকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রথম অগ্রগতি প্রতিবেদন পরে প্রতি ৩ মাসে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আদালত রাজউককে ৭ দফা নির্দেশনা দেন—(১) কোন লে-আউট প্ল্যানে সেপটিক ট্যাংক/পয়ঃলাইন না থাকলে অনুমোদন না করার নির্দেশ (২) সেপটিক ট্যাংক না থাকলে ভবনের Occupancy Certificate দেওয়া যাবে না (৩) আইন ভঙ্গ করে কাজ করলে ভবন নির্মাণ আইনের ১২ ধারায় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ (৪) ৩ থেকে ৬ মাসের নোটিশ দিয়ে ভবনে পয়ঃপানি শোধনের ব্যবস্থা নতুবা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ (৫) পরবর্তীতে তৈরিকৃত সেপটিক ট্যাংক মূল নকশার অংশ বিবেচিত হবে (৬) নোটিশের পর কোনো ভবন মালিক মডিফাই না করলে ইমারত নির্মাণ আইনের ৭ ধারায় ব্যবস্থা গ্রহণ (৭) ১৫ দিনের মধ্যে প্রথম অগ্রগতি প্রতিবেদন পরে প্রতি ৩ মাসে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ।

বুড়িগঙ্গার পানি দূষণ বন্ধে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এর ২০১০ সালে দায়ের করা জনস্বার্থের রিট মামলায় ২০১১ সালের ১ জুন হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়ে ওয়াসা এমডিকে ৬ মাসের মধ্যে নদীতে সংযোগকৃত পয়ঃ/বর্জ্য লাইন বন্ধ করার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে রিট মামলাটি চলমান রাখা হয়। আদেশ বাস্তবায়নে পদক্ষেপ না নেয়ায় এইচআরপিবির পক্ষে সম্পূরক আবেদন দাখিল করে ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানালে আদালত কয়েক বার এভিডেভিট দাখিলের নির্দেশ দিলে ওয়াসার এমডি পক্ষে গত ২১ জানুয়ারি এবং ৪ ফেব্রুয়ারি এভিডেভিট দাখিল করা হয়।

উক্ত এভিডেভিটের জবাবে আপত্তি দাখিল করে এইচআরবিপি পক্ষে যথাযথ আদেশ ও নির্দেশ প্রার্থনা করলে শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদালত আদেশ দেন বলে জানান মনজিল মোরসেদ।

ডিএ//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বুড়িগঙ্গার দূষণ বন্ধে ওয়াসা-রাজউককে হাইকোর্টের নির্দেশনা

Update Time : ১২:৩০:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মার্চ ২০২১

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক: বুড়িগঙ্গার পানি দূষন বন্ধে ঢাকা ওয়াসা এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতি কয়েকদফা নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার ৯ মার্চ এসব নির্দেশনা দেন।

সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরশেদ সারাদেশ’কে এ কথা জানান।

মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন আদালত।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট মনজিল মোরসেদ। পরিবেশের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট আমাতুল করিম, ওয়াসার পক্ষে এডভোকেট উম্মে সালমা এবং রাজউকের পক্ষে এডভোকেট ইমাম হোসেন।

মনজিল মোরেসদ জানান, আদালত শুনানি শেষে ওয়াসাকে বুড়িগঙ্গা নদী তীরবর্তী এলাকায় সকল ভবন মালিক/ব্যবসায়ী যাদের ভবনে পয়ঃপ্রণালি লাইনের সংযোগ বা সেপটিক ট্যাংকের ব্যবস্থা নেই কিন্তু পানির সংযোগ দেওয়া হয়েছে তাদের ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে নোটিশ দিয়ে ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে পানি শোধনের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। এ নোটিশ প্রদান এবং উক্ত নোটিশ সম্পর্কে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সবার অবগতির জন প্রচার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

একই সাথে ওয়াসাকে নদী তীরবর্তী এলাকায় জনসাধারণকে জানাতে মাইকের মাধ্যমে উক্ত বিষয় প্রচার করার নির্দেশ দেয়া হয়। ওয়াসার এমডিকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রথম অগ্রগতি প্রতিবেদন পরে প্রতি ৩ মাসে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আদালত রাজউককে ৭ দফা নির্দেশনা দেন—(১) কোন লে-আউট প্ল্যানে সেপটিক ট্যাংক/পয়ঃলাইন না থাকলে অনুমোদন না করার নির্দেশ (২) সেপটিক ট্যাংক না থাকলে ভবনের Occupancy Certificate দেওয়া যাবে না (৩) আইন ভঙ্গ করে কাজ করলে ভবন নির্মাণ আইনের ১২ ধারায় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ (৪) ৩ থেকে ৬ মাসের নোটিশ দিয়ে ভবনে পয়ঃপানি শোধনের ব্যবস্থা নতুবা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ (৫) পরবর্তীতে তৈরিকৃত সেপটিক ট্যাংক মূল নকশার অংশ বিবেচিত হবে (৬) নোটিশের পর কোনো ভবন মালিক মডিফাই না করলে ইমারত নির্মাণ আইনের ৭ ধারায় ব্যবস্থা গ্রহণ (৭) ১৫ দিনের মধ্যে প্রথম অগ্রগতি প্রতিবেদন পরে প্রতি ৩ মাসে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ।

বুড়িগঙ্গার পানি দূষণ বন্ধে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এর ২০১০ সালে দায়ের করা জনস্বার্থের রিট মামলায় ২০১১ সালের ১ জুন হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়ে ওয়াসা এমডিকে ৬ মাসের মধ্যে নদীতে সংযোগকৃত পয়ঃ/বর্জ্য লাইন বন্ধ করার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে রিট মামলাটি চলমান রাখা হয়। আদেশ বাস্তবায়নে পদক্ষেপ না নেয়ায় এইচআরপিবির পক্ষে সম্পূরক আবেদন দাখিল করে ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানালে আদালত কয়েক বার এভিডেভিট দাখিলের নির্দেশ দিলে ওয়াসার এমডি পক্ষে গত ২১ জানুয়ারি এবং ৪ ফেব্রুয়ারি এভিডেভিট দাখিল করা হয়।

উক্ত এভিডেভিটের জবাবে আপত্তি দাখিল করে এইচআরবিপি পক্ষে যথাযথ আদেশ ও নির্দেশ প্রার্থনা করলে শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদালত আদেশ দেন বলে জানান মনজিল মোরসেদ।

ডিএ//