Dhaka ১১:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

১০ মার্চ ঢাকা উত্তর ও ১৬ মার্চ দক্ষিণে বিএনপির সমাবেশের ঘোষণা

  • Update Time : ১১:৫৫:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মার্চ ২০২১
  • / ১ Time View

মোশারফ হোসেন ভূইঁয়া : আগামী ১০ মার্চ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ও ১৬ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

বিষয়টি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে অবহিত করেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। সোমবার ৮ মার্চ দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক সাবেক এমপি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি অবহিত করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের গত নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ আওয়াল ও দক্ষিণ সিটির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।

এ প্রসঙ্গে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, প্রতিটি বিভাগীয় শহরে সমাবেশের কর্মসূচি করছি। সিটি করপোরেশন ও বিভিন্ন নির্বাচনে যে ভোট কারচুপি হচ্ছে, দিনের ভোট রাতে হচ্ছে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলার উদ্দেশে এ সমাবেশ। সে অনুযায়ী ঢাকায় আমরা দু’টি জনসভা আহ্বান করেছি। একটি ঢাকা উত্তর ও আরেকটি দক্ষিণের আওতাধীন এলাকায় হবে। আমরা দলের পক্ষ থেকে কমিশনারকে অবহিত করেছি। আশাবাদী আগামী ১০ ও ১৬ মার্চ দু’টি জনসভা করতে সক্ষম হবো। তিনি বলেন, ঢাকা উত্তরের তাবিথ আওয়াল ও দক্ষিণের ইশরাক হোসেন গত সিটি নির্বাচনে আমাদের দলের প্রার্থী ছিলেন। তারা তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন।

এ্যানি বলেন, আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জয়েন্ট কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। আশাবাদী দু’টি জনসভায় অনুমতি পাবো। সমাবেশ কোথায় করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ঢাকা দক্ষিণের জন্য তিন স্থানের কথা বলেছি। নয়াপল্টন বিএনপি অফিসের সামনে, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব মাঠ অথবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। এ তিনটির যেকোনো একটি চেয়েছি। ঢাকা উত্তরে কারওয়ান বাজার সড়ক, মোহাম্মদপুর শহীদ পার্ক অথবা খিলগাঁও তালতলা মাঠ। আমরা আশা করছি, এ তিনটির যেকোনো একটিতে সমাবেশ করার ব্যাপারে প্রশাসন আমাদের সহায়তা করবে।

এ সময় ঢাকা দক্ষিণের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন,আমরা অনুমতি চাইতে আসিনি। আমাদের সংবিধানে কোথাও বলা নেই যে আমাদের অনুমতি নিয়ে সভা-সমাবেশ করতে হবে। আমরা সমাবেশ করবো, সেই সমাবেশে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারকে অবহিত করতে এসেছি। তিনি বলেন,আমরা কার কাছে অনুমতি চাইবো, এ সরকারকেইতো আমরা বৈধতা দিচ্ছি না। বিনা ভোটে তারা ক্ষমতায় এসে অপশাসন-দুঃশাসন করছে। এর বিরুদ্ধেই আমাদের জন সমাবেশ। এখানে অনুমতির কোনো বিষয় আছে বলে আমি মনে করি না। দক্ষিণে ১৬ মার্চ ও উত্তরে ১০ মার্চ সমাবেশ করবো, এটাই ফাইনাল, এটাই করবো।

তাবিথ আওয়াল বলেন, আমরা আজকে ডিএমপির জয়েন্ট কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেছি। ১০ মার্চ ঢাকা উত্তরে সমাবেশ করতে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত আশাবাদী সমাবেশটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে করতে পারবো।

পুলিশ অনুমতি না দিলে কী করবেন জানতে চাইলে তাবিথ আওয়াল বলেন, আমরা আশাবাদী প্রশাসনের সহায়তায় সমাবেশ করতে পারবো।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৬ সিটি করপোরেশনে বিএনপি থেকে মনোনীত মেয়র প্রার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেন জাতীয় প্রেসক্লাবে। ওই সংবাদ সম্মেলনে ছয় মেয়র প্রার্থী অভিযোগ করেন, দেশে নির্বাচনের নামে প্রহসন চলছে। সরকার নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তাই জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে ছয় মহানগরে সমাবেশ করা হবে। তারই অংশ হিসেবে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে প্রথম সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হলেও জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ওইদিন কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসূচি থাকায় সেটি বাতিল করা হয়। পরে ১৮ ফ্রেব্রুয়ারি বরিশালে, ২৭ ফেব্রুয়ারি খুলনায় ও ১ মার্চ রাজশাহীতে সমাবেশ করেন ছয় মেয়র প্রার্থী। ঢাকার দু’টি সমাবেশ, ৩ মার্চ ও ৪ মার্চ করার ঘোষণা থাকলেও পরবর্তীতে পরিবর্তন করে ১০ ও ১৬ মার্চ নির্বারণ করা হয়।

অন্যান্য সমাবেশ গুলো করতে গিয়ে নানা হয়রানি প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে হয়েছে বলে দলের নেতৃবৃন্দের অভিযোগ। রাজশাহী খুলনা সমাবেশকে কেন্দ্র করে সব ধরনের পরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়। অনুমতি দিতে বিলম্বসহ নানা পুলিশি হয়রানি ছিল বলে নেতৃবৃন্দ জানান।

এসএস//

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

১০ মার্চ ঢাকা উত্তর ও ১৬ মার্চ দক্ষিণে বিএনপির সমাবেশের ঘোষণা

Update Time : ১১:৫৫:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মার্চ ২০২১

মোশারফ হোসেন ভূইঁয়া : আগামী ১০ মার্চ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ও ১৬ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

বিষয়টি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে অবহিত করেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। সোমবার ৮ মার্চ দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক সাবেক এমপি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি অবহিত করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের গত নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ আওয়াল ও দক্ষিণ সিটির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।

এ প্রসঙ্গে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, প্রতিটি বিভাগীয় শহরে সমাবেশের কর্মসূচি করছি। সিটি করপোরেশন ও বিভিন্ন নির্বাচনে যে ভোট কারচুপি হচ্ছে, দিনের ভোট রাতে হচ্ছে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলার উদ্দেশে এ সমাবেশ। সে অনুযায়ী ঢাকায় আমরা দু’টি জনসভা আহ্বান করেছি। একটি ঢাকা উত্তর ও আরেকটি দক্ষিণের আওতাধীন এলাকায় হবে। আমরা দলের পক্ষ থেকে কমিশনারকে অবহিত করেছি। আশাবাদী আগামী ১০ ও ১৬ মার্চ দু’টি জনসভা করতে সক্ষম হবো। তিনি বলেন, ঢাকা উত্তরের তাবিথ আওয়াল ও দক্ষিণের ইশরাক হোসেন গত সিটি নির্বাচনে আমাদের দলের প্রার্থী ছিলেন। তারা তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন।

এ্যানি বলেন, আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জয়েন্ট কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। আশাবাদী দু’টি জনসভায় অনুমতি পাবো। সমাবেশ কোথায় করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ঢাকা দক্ষিণের জন্য তিন স্থানের কথা বলেছি। নয়াপল্টন বিএনপি অফিসের সামনে, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব মাঠ অথবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। এ তিনটির যেকোনো একটি চেয়েছি। ঢাকা উত্তরে কারওয়ান বাজার সড়ক, মোহাম্মদপুর শহীদ পার্ক অথবা খিলগাঁও তালতলা মাঠ। আমরা আশা করছি, এ তিনটির যেকোনো একটিতে সমাবেশ করার ব্যাপারে প্রশাসন আমাদের সহায়তা করবে।

এ সময় ঢাকা দক্ষিণের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন,আমরা অনুমতি চাইতে আসিনি। আমাদের সংবিধানে কোথাও বলা নেই যে আমাদের অনুমতি নিয়ে সভা-সমাবেশ করতে হবে। আমরা সমাবেশ করবো, সেই সমাবেশে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারকে অবহিত করতে এসেছি। তিনি বলেন,আমরা কার কাছে অনুমতি চাইবো, এ সরকারকেইতো আমরা বৈধতা দিচ্ছি না। বিনা ভোটে তারা ক্ষমতায় এসে অপশাসন-দুঃশাসন করছে। এর বিরুদ্ধেই আমাদের জন সমাবেশ। এখানে অনুমতির কোনো বিষয় আছে বলে আমি মনে করি না। দক্ষিণে ১৬ মার্চ ও উত্তরে ১০ মার্চ সমাবেশ করবো, এটাই ফাইনাল, এটাই করবো।

তাবিথ আওয়াল বলেন, আমরা আজকে ডিএমপির জয়েন্ট কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেছি। ১০ মার্চ ঢাকা উত্তরে সমাবেশ করতে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত আশাবাদী সমাবেশটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে করতে পারবো।

পুলিশ অনুমতি না দিলে কী করবেন জানতে চাইলে তাবিথ আওয়াল বলেন, আমরা আশাবাদী প্রশাসনের সহায়তায় সমাবেশ করতে পারবো।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৬ সিটি করপোরেশনে বিএনপি থেকে মনোনীত মেয়র প্রার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেন জাতীয় প্রেসক্লাবে। ওই সংবাদ সম্মেলনে ছয় মেয়র প্রার্থী অভিযোগ করেন, দেশে নির্বাচনের নামে প্রহসন চলছে। সরকার নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তাই জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে ছয় মহানগরে সমাবেশ করা হবে। তারই অংশ হিসেবে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে প্রথম সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হলেও জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ওইদিন কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসূচি থাকায় সেটি বাতিল করা হয়। পরে ১৮ ফ্রেব্রুয়ারি বরিশালে, ২৭ ফেব্রুয়ারি খুলনায় ও ১ মার্চ রাজশাহীতে সমাবেশ করেন ছয় মেয়র প্রার্থী। ঢাকার দু’টি সমাবেশ, ৩ মার্চ ও ৪ মার্চ করার ঘোষণা থাকলেও পরবর্তীতে পরিবর্তন করে ১০ ও ১৬ মার্চ নির্বারণ করা হয়।

অন্যান্য সমাবেশ গুলো করতে গিয়ে নানা হয়রানি প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে হয়েছে বলে দলের নেতৃবৃন্দের অভিযোগ। রাজশাহী খুলনা সমাবেশকে কেন্দ্র করে সব ধরনের পরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়। অনুমতি দিতে বিলম্বসহ নানা পুলিশি হয়রানি ছিল বলে নেতৃবৃন্দ জানান।

এসএস//