Dhaka ১১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

স্বতন্ত্র ভাবে ভোটের মাঠে থাকবে বিএনপি

  • Update Time : ১০:৩৪:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ মার্চ ২০২১
  • / ১ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও ভোটের মাঠে থাকবে বিএনপি।

দলীয়ভাবে এ নির্বাচনে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্রভাবে দলীয় নেতারা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সেক্ষেত্রে কাউকে দল থেকে শোকজ কিংবা বহিষ্কার করা হবে না। কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্ত জানার পর বিএনপির সম্ভাব্য অনেক প্রার্থীই স্বতন্ত্র নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

নেতাকর্মীর পাশাপাশি সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে নিয়ে গ্রামগঞ্জে চালাচ্চেন প্রচার। এদিকে শেষ ধাপের ১১টি পৌরসভা নির্বাচনেও দলীয়ভাবে অংশ না নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড। শিগগিরই এসব পৌর ভোট বর্জনের ঘোষণা দিতে পারে দলটি।

তবে সংসদ উপনির্বাচন বর্জনের ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

প্রথম ধাপে দেশজুড়ে ৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদে ১১ এপ্রিল ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে ইউনিয়নে নির্বাচনী ডামাডোল শুরু হচ্ছে। বুধবার নির্বাচন কমিশন সভায় অনুমোদনের পর ইউপি ভোটের তফসিল ঘোষণা করেন ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। প্রথম ধাপের নির্বাচনে ১৮ মার্চ মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় যুগান্তরকে বলেন, এ সরকার এবং নির্বাচন কমিশন দেশের ভোটিং সিস্টেমটাই ভেঙে ফেলেছে। তাদের অধীনে এ দেশে আর অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই আসন্ন ইউপি নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ নির্বাচনে কাউকে অংশ নিতে আমরা যেমন জোর করব না, তেমনি কেউ স্বতন্ত্রভাবে ভোট করতে চাইলে বাধাও দেব না। তিনি বলেন, বিএনপি শুরু থেকে তৃণমূল পর্যায়ে দলীয় প্রতীকে ভোট করার বিপক্ষে। আমরা নির্বাচন কমিশনে লিখিত যে সুপারিশ দিয়েছি সেখানেও এ বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। কারণ ইউপি নির্বাচনের ভোটে এলাকায় সব সময় একটা উৎসবের আমেজ দেখা যেত।

তিনি বলেন, এসব ভোটে এলাকায় আত্মীয়স্বজন, পারিবারিক ঐতিহ্য ও প্রভাব বিশেষ ভূমিকা রাখত। যারাই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তারা সবার জন্য কাজ করেছে। কিন্তু ইউপিতে দলীয় প্রতীক দেয়ায় সেই ঐহিত্য নষ্ট হয়ে গেছে। নিকট-আত্মীয় কেউ নির্বাচন করলেও রাজনীতির কারণে তার বিরোধিতা করতে হচ্ছে। এতে করে দীর্ঘদিনের আত্মীয়তার বন্ধনও ভেঙে যাচ্ছে। সবকিছু বিবেচনা করেই আমরা ইউপি নির্বাচন দলীয়ভাবে বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
শুধু তৃণমূলের ঐতিহ্যের জন্যই নয়, আরও বেশ কয়েকটি কারণেও ইউপি নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বলেন,দলকে সাংগঠনিকভাবে চাঙা করতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেয়ার পর তা অনেকাংশে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। ভোটের মাঠে নেতাকর্মীরা নতুন করে মামলা-হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অনেকে হয়েছেন এলাকাছাড়া। তাছাড়া অতীতের ভোট পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, সরকার ও নির্বাচন কমিশন যেন ধানের শীষের প্রতিপক্ষ।

আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে মিলে ধানের শীষের পরাজয় নিশ্চিত করাই যেন তাদের মূল এজেন্ডা। তাই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকই দেয়া হবে না। যাতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ধানের শীষ ফোবিয়া কিছুটা কমে। কেউ যদি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে চায় তাতে দলীয়ভাবে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে না। ধানের শীষ প্রতীক না থাকলে সরকার ও ইসি কিছুটা হলেও নমনীয় হবে। নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা ও নির্যাতন থাকবে না। সেক্ষেত্রে দলীয় কোনো নেতা স্থানীয় ও জনপ্রিয়তার কারণে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হতে পারে। স্বতন্ত্রভাবে চেয়ারম্যান হলেও ওই নেতা বিএনপির পক্ষেই কাজ করবে বলে আশা করছেন দলের নীতিনির্ধারকগন।

এদিকে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জাতীয় সংসদের লক্ষ্মীপুর-২ উপনির্বাচন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এমএইচবি//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

স্বতন্ত্র ভাবে ভোটের মাঠে থাকবে বিএনপি

Update Time : ১০:৩৪:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ মার্চ ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও ভোটের মাঠে থাকবে বিএনপি।

দলীয়ভাবে এ নির্বাচনে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্রভাবে দলীয় নেতারা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সেক্ষেত্রে কাউকে দল থেকে শোকজ কিংবা বহিষ্কার করা হবে না। কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্ত জানার পর বিএনপির সম্ভাব্য অনেক প্রার্থীই স্বতন্ত্র নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

নেতাকর্মীর পাশাপাশি সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে নিয়ে গ্রামগঞ্জে চালাচ্চেন প্রচার। এদিকে শেষ ধাপের ১১টি পৌরসভা নির্বাচনেও দলীয়ভাবে অংশ না নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড। শিগগিরই এসব পৌর ভোট বর্জনের ঘোষণা দিতে পারে দলটি।

তবে সংসদ উপনির্বাচন বর্জনের ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

প্রথম ধাপে দেশজুড়ে ৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদে ১১ এপ্রিল ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে ইউনিয়নে নির্বাচনী ডামাডোল শুরু হচ্ছে। বুধবার নির্বাচন কমিশন সভায় অনুমোদনের পর ইউপি ভোটের তফসিল ঘোষণা করেন ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। প্রথম ধাপের নির্বাচনে ১৮ মার্চ মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় যুগান্তরকে বলেন, এ সরকার এবং নির্বাচন কমিশন দেশের ভোটিং সিস্টেমটাই ভেঙে ফেলেছে। তাদের অধীনে এ দেশে আর অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই আসন্ন ইউপি নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ নির্বাচনে কাউকে অংশ নিতে আমরা যেমন জোর করব না, তেমনি কেউ স্বতন্ত্রভাবে ভোট করতে চাইলে বাধাও দেব না। তিনি বলেন, বিএনপি শুরু থেকে তৃণমূল পর্যায়ে দলীয় প্রতীকে ভোট করার বিপক্ষে। আমরা নির্বাচন কমিশনে লিখিত যে সুপারিশ দিয়েছি সেখানেও এ বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। কারণ ইউপি নির্বাচনের ভোটে এলাকায় সব সময় একটা উৎসবের আমেজ দেখা যেত।

তিনি বলেন, এসব ভোটে এলাকায় আত্মীয়স্বজন, পারিবারিক ঐতিহ্য ও প্রভাব বিশেষ ভূমিকা রাখত। যারাই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তারা সবার জন্য কাজ করেছে। কিন্তু ইউপিতে দলীয় প্রতীক দেয়ায় সেই ঐহিত্য নষ্ট হয়ে গেছে। নিকট-আত্মীয় কেউ নির্বাচন করলেও রাজনীতির কারণে তার বিরোধিতা করতে হচ্ছে। এতে করে দীর্ঘদিনের আত্মীয়তার বন্ধনও ভেঙে যাচ্ছে। সবকিছু বিবেচনা করেই আমরা ইউপি নির্বাচন দলীয়ভাবে বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
শুধু তৃণমূলের ঐতিহ্যের জন্যই নয়, আরও বেশ কয়েকটি কারণেও ইউপি নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বলেন,দলকে সাংগঠনিকভাবে চাঙা করতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেয়ার পর তা অনেকাংশে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। ভোটের মাঠে নেতাকর্মীরা নতুন করে মামলা-হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অনেকে হয়েছেন এলাকাছাড়া। তাছাড়া অতীতের ভোট পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, সরকার ও নির্বাচন কমিশন যেন ধানের শীষের প্রতিপক্ষ।

আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে মিলে ধানের শীষের পরাজয় নিশ্চিত করাই যেন তাদের মূল এজেন্ডা। তাই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকই দেয়া হবে না। যাতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ধানের শীষ ফোবিয়া কিছুটা কমে। কেউ যদি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে চায় তাতে দলীয়ভাবে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে না। ধানের শীষ প্রতীক না থাকলে সরকার ও ইসি কিছুটা হলেও নমনীয় হবে। নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা ও নির্যাতন থাকবে না। সেক্ষেত্রে দলীয় কোনো নেতা স্থানীয় ও জনপ্রিয়তার কারণে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হতে পারে। স্বতন্ত্রভাবে চেয়ারম্যান হলেও ওই নেতা বিএনপির পক্ষেই কাজ করবে বলে আশা করছেন দলের নীতিনির্ধারকগন।

এদিকে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জাতীয় সংসদের লক্ষ্মীপুর-২ উপনির্বাচন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এমএইচবি//