নিজস্ব প্রতিবেদক : শূন্য ঘোষিত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপনির্বাচনের পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
উপনির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকার শূন্য আসনের নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোটদান, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত এবং নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি ইত্যাদি বিষয়ে এ পরিপত্র জারি করেছে ইসি।
ইসির উপসচিব (নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখা-২) মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এ পরিপত্র জারি করা হয়।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জারি করা বিভিন্ন পরিপত্র, ম্যানুয়েল ও নির্দেশিকার আলোকে সময়সূচির সঙ্গে সংগতি রেখে ২৭৫ লক্ষ্মীপুর-২ এলাকার শূন্য আসনে নির্বাচনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- পোস্টাল ব্যালটে ভোটদান, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তা নিয়োগের উদ্দেশ্যে প্যানেল প্রস্তুত, নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি স্থগিতকরণ।
সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৫(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের অবশ্য কর্তব্য। নির্বাচনী সময়সূচি জারির পর নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৩ নং আইন) এর ৪ (৩) ধারা অনুসারে, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রেষণে নিয়োজিত আছেন বলে বিবেচিত হবেন। ওই আইনের ৪(২) ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি নির্বাচন কর্মকর্তা নিযুক্ত হলে তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাকে নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে কোনো দায়িত্ব পালনে বাধা দিতে বা বিরত রাখতে পারবে না।
ফৌজদারি অপরাধে কুয়েতে দণ্ডিত কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের লক্ষ্মীপুর-২ আসনে উপনির্বাচন হবে আগামী ১১ এপ্রিল। এ আসনের উপনির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। উপনির্বাচন উপলক্ষে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ১৮ মার্চ, যাচাই-বাছাই ১৯ মার্চ এবং প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৪ মার্চ।
নৈতিক স্থলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে চার বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের পদ বাতিল করা হয়। ওই আসন শূন্য ঘোষণা করে গত ২২ ফেব্রুয়ারি গেজেট প্রকাশ করে জাতীয় সংসদ সচিবালয়। গেজেটে বলা হয়, নৈতিক স্থলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে চার বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ায় সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী তিনি সংসদ সদস্য পদে থাকার যোগ্য নন। রায় ঘোষণার দিন গত ২৮ জানুয়ারি থেকে ওই আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।
অর্থ ও মানব পাচারের মামলায় গত ২৮ জানুয়ারি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় কুয়েতের আদালত। পাশাপাশি তাকে ১৯ লাখ কুয়েতি রিয়াল বা ৫৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। গত বছরের ৬ জুন রাতে কুয়েতের বাসা থেকে আটক করা হয় তাকে। আটকের সাড়ে সাত মাস ও বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর সাড়ে তিন মাসের মাথায় দণ্ডিত হন কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল।
এসএস//
Leave a Reply