Dhaka ০২:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল

কুমিরের পেটে আস্ত মানুষ, অতঃপর

  • Update Time : ০২:১৫:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ মার্চ ২০২১
  • / ৪ Time View

সারাদেশ ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব কালিমান্তান। সেখানকার আট বছর বয়সী দিমান মুলকান সাপুত্রা তার পিতার সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়েছিল বুধবার। বাড়ির কাছেই একটি নদীতে যখন তার পিতা মাছ ধরছিলেন তখন দিমাস এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করতে থাকে। তখনই ভয়ঙ্কর থাবা উঁচিয়ে তার দিকে এগিয়ে যায় একটি কুমির। তাকে দেখে দিমাস চিৎকার করতে করতে দৌড়াতে থাকে। ছেলেকে বাঁচাতে তার পিতা দৌড়ে যান। কিন্তু কিছুই করতে পারলেন না তিনি। তার চোখের সামনেই ছেলে দিমাসকে আস্ত গিলে খেয়ে ফেলে কুমির।
আর মুহূর্তের মধ্যে কুমিরটি অদৃশ্য হয়ে যায় গভীর পানির নিচে। দিমাসের পিতা চিৎকার করতে থাকেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু কুমিরের আর সন্ধান পান না। দিমাসের পিতা সুবলিয়ানসিয়ার চিৎকারে ছুটে যায় অন্যরা। কিন্তু না, কোথাও কোনো সন্ধান নেই কুমিরের। এর একদিন পরে বৃহস্পতিবার কুমিরটির সন্ধান পাওয়া যায় পাশের গ্রাম মুয়ারা বেঙ্গোলোন গ্রামে। তার পেটে তখন দিমাসের আস্ত দেহ। মারা গেছে কুমিরটি। স্থানীয় এক উদ্ধারকারী ও উদ্ধারকারী টিমের কর্মকর্তা ওকতাভিয়ান্তো বলেছেন, দিমাসকে কুমিরে কামড়ে পানিতে ঝাঁপ দিলে দিমাসের পিতা সুবলিয়ানসিয়ারও পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু কুমিরের কিছুই করতে পারেননি। তিনি খালি হাতেই কুমিরটিকে আঘাত করেন। তাতে কুমিরের কিছুই করতে পারেননি। উল্টো কুমিরটি গভীর পানিতে তলিয়ে গিয়ে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল। মৃত কুমিরের সন্ধান পেয়ে স্থানীয়রা সমবেত হয়ে কুমিরটিকে চিৎ করে তার পেট কেটে উদ্ধার করে দিমাসের মৃতদেহ। এতে দেখা যায়, দিমাসকে না চিবিয়েই আস্ত গিলে ফেলেছে কুমির। তার অক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয় কুমিরের পেত থেকে। তা দেখে স্থানীয়রা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

কুমিরের পেটে আস্ত মানুষ, অতঃপর

Update Time : ০২:১৫:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ মার্চ ২০২১

সারাদেশ ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব কালিমান্তান। সেখানকার আট বছর বয়সী দিমান মুলকান সাপুত্রা তার পিতার সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়েছিল বুধবার। বাড়ির কাছেই একটি নদীতে যখন তার পিতা মাছ ধরছিলেন তখন দিমাস এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করতে থাকে। তখনই ভয়ঙ্কর থাবা উঁচিয়ে তার দিকে এগিয়ে যায় একটি কুমির। তাকে দেখে দিমাস চিৎকার করতে করতে দৌড়াতে থাকে। ছেলেকে বাঁচাতে তার পিতা দৌড়ে যান। কিন্তু কিছুই করতে পারলেন না তিনি। তার চোখের সামনেই ছেলে দিমাসকে আস্ত গিলে খেয়ে ফেলে কুমির।
আর মুহূর্তের মধ্যে কুমিরটি অদৃশ্য হয়ে যায় গভীর পানির নিচে। দিমাসের পিতা চিৎকার করতে থাকেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু কুমিরের আর সন্ধান পান না। দিমাসের পিতা সুবলিয়ানসিয়ার চিৎকারে ছুটে যায় অন্যরা। কিন্তু না, কোথাও কোনো সন্ধান নেই কুমিরের। এর একদিন পরে বৃহস্পতিবার কুমিরটির সন্ধান পাওয়া যায় পাশের গ্রাম মুয়ারা বেঙ্গোলোন গ্রামে। তার পেটে তখন দিমাসের আস্ত দেহ। মারা গেছে কুমিরটি। স্থানীয় এক উদ্ধারকারী ও উদ্ধারকারী টিমের কর্মকর্তা ওকতাভিয়ান্তো বলেছেন, দিমাসকে কুমিরে কামড়ে পানিতে ঝাঁপ দিলে দিমাসের পিতা সুবলিয়ানসিয়ারও পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু কুমিরের কিছুই করতে পারেননি। তিনি খালি হাতেই কুমিরটিকে আঘাত করেন। তাতে কুমিরের কিছুই করতে পারেননি। উল্টো কুমিরটি গভীর পানিতে তলিয়ে গিয়ে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল। মৃত কুমিরের সন্ধান পেয়ে স্থানীয়রা সমবেত হয়ে কুমিরটিকে চিৎ করে তার পেট কেটে উদ্ধার করে দিমাসের মৃতদেহ। এতে দেখা যায়, দিমাসকে না চিবিয়েই আস্ত গিলে ফেলেছে কুমির। তার অক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয় কুমিরের পেত থেকে। তা দেখে স্থানীয়রা কান্নায় ভেঙে পড়েন।