সারাদেশ ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব কালিমান্তান। সেখানকার আট বছর বয়সী দিমান মুলকান সাপুত্রা তার পিতার সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়েছিল বুধবার। বাড়ির কাছেই একটি নদীতে যখন তার পিতা মাছ ধরছিলেন তখন দিমাস এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করতে থাকে। তখনই ভয়ঙ্কর থাবা উঁচিয়ে তার দিকে এগিয়ে যায় একটি কুমির। তাকে দেখে দিমাস চিৎকার করতে করতে দৌড়াতে থাকে। ছেলেকে বাঁচাতে তার পিতা দৌড়ে যান। কিন্তু কিছুই করতে পারলেন না তিনি। তার চোখের সামনেই ছেলে দিমাসকে আস্ত গিলে খেয়ে ফেলে কুমির।
আর মুহূর্তের মধ্যে কুমিরটি অদৃশ্য হয়ে যায় গভীর পানির নিচে। দিমাসের পিতা চিৎকার করতে থাকেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু কুমিরের আর সন্ধান পান না। দিমাসের পিতা সুবলিয়ানসিয়ার চিৎকারে ছুটে যায় অন্যরা। কিন্তু না, কোথাও কোনো সন্ধান নেই কুমিরের। এর একদিন পরে বৃহস্পতিবার কুমিরটির সন্ধান পাওয়া যায় পাশের গ্রাম মুয়ারা বেঙ্গোলোন গ্রামে। তার পেটে তখন দিমাসের আস্ত দেহ। মারা গেছে কুমিরটি। স্থানীয় এক উদ্ধারকারী ও উদ্ধারকারী টিমের কর্মকর্তা ওকতাভিয়ান্তো বলেছেন, দিমাসকে কুমিরে কামড়ে পানিতে ঝাঁপ দিলে দিমাসের পিতা সুবলিয়ানসিয়ারও পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু কুমিরের কিছুই করতে পারেননি। তিনি খালি হাতেই কুমিরটিকে আঘাত করেন। তাতে কুমিরের কিছুই করতে পারেননি। উল্টো কুমিরটি গভীর পানিতে তলিয়ে গিয়ে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল। মৃত কুমিরের সন্ধান পেয়ে স্থানীয়রা সমবেত হয়ে কুমিরটিকে চিৎ করে তার পেট কেটে উদ্ধার করে দিমাসের মৃতদেহ। এতে দেখা যায়, দিমাসকে না চিবিয়েই আস্ত গিলে ফেলেছে কুমির। তার অক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয় কুমিরের পেত থেকে। তা দেখে স্থানীয়রা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
Leave a Reply