Dhaka ০২:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মামলা হলেই গ্রেফতার নয়, তদন্তে দায় পাওয়া গেলে ব্যবস্থা: আইজিপি `অন্তর্ভূক্তিমূলক রাষ্ট্রকাঠামোই জাতীয়তাবাদের উপহার’-অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রেসক্লাবে সংঘর্ষ : হাবিব উন নবী সোহেলসহ বিএনপির ৬ নেতার আগাম জামিন

  • Update Time : ০৫:৫৫:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মার্চ ২০২১
  • / ১৯ Time View

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক : জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ ৬ নেতা-কর্মীকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার ৩ মার্চ বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ তাদের ৪ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন দেন। এই সময়ের মধ্যে তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তিনি আদেশের বিষয়টি গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

রাজধানীর প্রেসক্লাবে বিএনপির ছাত্রদলের সমাবেশে পুলিশ-নেতা কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৮ ফেব্রুয়ারি দিনগত গভীর রাতে পুলিশ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় দলটির ৪৭ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করে। মামলায় এজাহার নামীয় ৪৭ জন নেতা-কর্মী ও অজ্ঞাতনামা ২০০-২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে (পুলিশ অ্যাসল্ট) হত্যাচেষ্টা ও হামলা-ভাঙচুর চালানো।

এর আগে, রোববার ২৮ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্ত এবং কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপির ছাত্রদল আয়োজিত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। নেতা-কর্মীরা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন। এতে পুলিশ সদস্যরা বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার শেল ছোড়ে পুলিশ। বিক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের পাশের অস্থায়ী পুলিশ বক্সের জানালা ভাঙচুর করেন।

এ ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সমাবেশে করতে একত্রিত হয়। এ সমাবেশের পূর্বানুমতি নেই বলে বাধা দেয় পুলিশ। হাবিব উন নবী খান সোহেল এ সময় ১ ঘন্টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করবেন এবং সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটবে বলে পুলিশকে আশ্বস্ত করতে কথা বলছিলেন, এরই মধ্যে পুলিশ অতর্কিতভাবে বেধড়ক লাঠি পেটা শুরু করে। এ থেকে রক্ষা পেতে নেতা-কর্মীরা প্রেসক্লাবে ঢুকে পড়ে সেখানেও পুলিশ ঢুকে পড়ে।

নেতা-কর্মীদের কেউ কেউ পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল ছুঁড়ে, এতে কয়েকজন পুলিশ আহত হন। পুলিশের লাঠি আঘাতে বহু নেতা-কর্মী আহত হন। কয়েকজনকে আহত আবস্থায়ই আটক করে পুলিশ। মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলও পুলিশের মার থেকে রেহাই পাননি।

এসএস//

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

প্রেসক্লাবে সংঘর্ষ : হাবিব উন নবী সোহেলসহ বিএনপির ৬ নেতার আগাম জামিন

Update Time : ০৫:৫৫:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মার্চ ২০২১

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক : জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ ৬ নেতা-কর্মীকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার ৩ মার্চ বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ তাদের ৪ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন দেন। এই সময়ের মধ্যে তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তিনি আদেশের বিষয়টি গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

রাজধানীর প্রেসক্লাবে বিএনপির ছাত্রদলের সমাবেশে পুলিশ-নেতা কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৮ ফেব্রুয়ারি দিনগত গভীর রাতে পুলিশ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় দলটির ৪৭ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করে। মামলায় এজাহার নামীয় ৪৭ জন নেতা-কর্মী ও অজ্ঞাতনামা ২০০-২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে (পুলিশ অ্যাসল্ট) হত্যাচেষ্টা ও হামলা-ভাঙচুর চালানো।

এর আগে, রোববার ২৮ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্ত এবং কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপির ছাত্রদল আয়োজিত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। নেতা-কর্মীরা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন। এতে পুলিশ সদস্যরা বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার শেল ছোড়ে পুলিশ। বিক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের পাশের অস্থায়ী পুলিশ বক্সের জানালা ভাঙচুর করেন।

এ ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সমাবেশে করতে একত্রিত হয়। এ সমাবেশের পূর্বানুমতি নেই বলে বাধা দেয় পুলিশ। হাবিব উন নবী খান সোহেল এ সময় ১ ঘন্টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করবেন এবং সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটবে বলে পুলিশকে আশ্বস্ত করতে কথা বলছিলেন, এরই মধ্যে পুলিশ অতর্কিতভাবে বেধড়ক লাঠি পেটা শুরু করে। এ থেকে রক্ষা পেতে নেতা-কর্মীরা প্রেসক্লাবে ঢুকে পড়ে সেখানেও পুলিশ ঢুকে পড়ে।

নেতা-কর্মীদের কেউ কেউ পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল ছুঁড়ে, এতে কয়েকজন পুলিশ আহত হন। পুলিশের লাঠি আঘাতে বহু নেতা-কর্মী আহত হন। কয়েকজনকে আহত আবস্থায়ই আটক করে পুলিশ। মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলও পুলিশের মার থেকে রেহাই পাননি।

এসএস//