Dhaka ১০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
চব্বিশের ২১ জুলাই: কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল, সারাদেশে সংঘর্ষে ওইদিন ১৯ জন নিহত তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াই ১৪ বছরের: অধ্যাপক আলী রীয়াজ কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতার মনোনয়ন পত্রে প্রস্তাবক সমর্থক আওয়ামীলীগ নেতা ! শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ বিষয় সমাধান না হওয়া ছাড়া নোভার্টিসের শেয়ার হস্তান্তর নয় : আইনজীবী ৫ আগস্ট সরকারি ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত অবকাশ শেষে রোববার থেকে হাইকোর্টের ৪৯ বেঞ্চে চলবে বিচারকাজ মামলা হলেই গ্রেফতার নয়, তদন্তে দায় পাওয়া গেলে ব্যবস্থা: আইজিপি `অন্তর্ভূক্তিমূলক রাষ্ট্রকাঠামোই জাতীয়তাবাদের উপহার’-অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’

পটুয়াখালীতে জোড়া লাগা শিশুর জন্ম

  • Update Time : ০১:২৫:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মার্চ ২০২১
  • / ২৭ Time View

পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জোড়া লাগা নবজাতকের জন্ম দিয়েছেন এক প্রসূতি।

রোববার দুপুরে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে ওই যমজ নবজাতকের জন্ম দেন তিনি।

প্রসূতি রেখা বেগম পটুয়াখালী সদর উপজেলার বাসিন্দা মো. বশির শিকদারের স্ত্রী। বর্তমানে মা সুস্থ রয়েছেন। তবে জোড়া লাগানো যমজ নবজাতক শঙ্কামুক্ত নয়। তাদের পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্ক্যানু বিভাগে রাখা হয়েছে।

পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জাকিয়া সুলতানা জানান, জোড়া লাগানো যমজ শিশু তাও আবার প্রিম্যাচিওর, মাত্র ৩২ সপ্তাহে এই যমজ শিশু প্রসব করানো হয়েছে।

উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও আর্থিক সংকটের কারণে তারা উন্নত চিকিৎসা নিতে অপারগতা জানান। কিন্তু এই নবজাতকের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পটুয়াখালীতে সম্ভব নয়।

তিনি আরও জানান, এর আগেও অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী চিকিৎসার জন্য এসেছিল। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায়, বাচ্চা ত্রুটির রয়েছে। পরে বরিশালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হলে নিশ্চিত হয় যে– রেখার পেটে বেড়ে ওঠা যমজ শিশু দুটি জোড়া এবং তাদের পাকস্থলীও জোড়া লাগানো। শিশু দুটির পেটের উপরিভাগ থেকে মাথা পর্যন্ত আলাদা।

পেটের শিশুদের এ অবস্থার কারণে মায়েরও কষ্ট হচ্ছে। পরে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে অবজারভেশনে রাখা হয়।

রোববার সকালে অস্বাভাবিক যন্ত্রণা শুরু হলে ডা. সেলিনা আক্তার সিজারিয়ান অপারেশন করে সন্তান প্রসব করান।

রেখা বেগমের স্বামী বশির শিকদার জানান, এক মাস আগে রেখা বেগম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ডা. জাকিয়া সুলতানার কাছে নেওয়া হয়। ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাদের বরিশালে দ্বিতীয় দফা পরীক্ষার জন্য পাঠান।

১০ দিন আগে বরিশালে পরীক্ষাটি করাতে গিয়ে তারা জানতে পারেন বাচ্চার ত্রুটি আছে এবং সে কারণেই বাচ্চার মা বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার কথা বলা হলেও হতদরিদ্র হওয়ার কারণে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে পারছেন না।

এসএস//

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

পটুয়াখালীতে জোড়া লাগা শিশুর জন্ম

Update Time : ০১:২৫:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মার্চ ২০২১

পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জোড়া লাগা নবজাতকের জন্ম দিয়েছেন এক প্রসূতি।

রোববার দুপুরে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে ওই যমজ নবজাতকের জন্ম দেন তিনি।

প্রসূতি রেখা বেগম পটুয়াখালী সদর উপজেলার বাসিন্দা মো. বশির শিকদারের স্ত্রী। বর্তমানে মা সুস্থ রয়েছেন। তবে জোড়া লাগানো যমজ নবজাতক শঙ্কামুক্ত নয়। তাদের পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্ক্যানু বিভাগে রাখা হয়েছে।

পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জাকিয়া সুলতানা জানান, জোড়া লাগানো যমজ শিশু তাও আবার প্রিম্যাচিওর, মাত্র ৩২ সপ্তাহে এই যমজ শিশু প্রসব করানো হয়েছে।

উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও আর্থিক সংকটের কারণে তারা উন্নত চিকিৎসা নিতে অপারগতা জানান। কিন্তু এই নবজাতকের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পটুয়াখালীতে সম্ভব নয়।

তিনি আরও জানান, এর আগেও অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী চিকিৎসার জন্য এসেছিল। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায়, বাচ্চা ত্রুটির রয়েছে। পরে বরিশালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হলে নিশ্চিত হয় যে– রেখার পেটে বেড়ে ওঠা যমজ শিশু দুটি জোড়া এবং তাদের পাকস্থলীও জোড়া লাগানো। শিশু দুটির পেটের উপরিভাগ থেকে মাথা পর্যন্ত আলাদা।

পেটের শিশুদের এ অবস্থার কারণে মায়েরও কষ্ট হচ্ছে। পরে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে অবজারভেশনে রাখা হয়।

রোববার সকালে অস্বাভাবিক যন্ত্রণা শুরু হলে ডা. সেলিনা আক্তার সিজারিয়ান অপারেশন করে সন্তান প্রসব করান।

রেখা বেগমের স্বামী বশির শিকদার জানান, এক মাস আগে রেখা বেগম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ডা. জাকিয়া সুলতানার কাছে নেওয়া হয়। ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাদের বরিশালে দ্বিতীয় দফা পরীক্ষার জন্য পাঠান।

১০ দিন আগে বরিশালে পরীক্ষাটি করাতে গিয়ে তারা জানতে পারেন বাচ্চার ত্রুটি আছে এবং সে কারণেই বাচ্চার মা বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার কথা বলা হলেও হতদরিদ্র হওয়ার কারণে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে পারছেন না।

এসএস//