Dhaka ১২:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মামলা হলেই গ্রেফতার নয়, তদন্তে দায় পাওয়া গেলে ব্যবস্থা: আইজিপি `অন্তর্ভূক্তিমূলক রাষ্ট্রকাঠামোই জাতীয়তাবাদের উপহার’-অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বেনাপোল দিয়ে দেশ ছাড়লেন পিকে হালদার

  • Update Time : ০৭:৪০:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মার্চ ২০২১
  • / ১৯ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ নিয়ে যশোর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশ ছেড়েছেন বহুল আলোচিত প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদার।

ইমিগ্রেশন পুলিশের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে এই তথ্য জানানো হয়। এ বিষয়ে আজ সোমবার ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক গনমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর দুদক একটি চিঠি দেয় যে পিকে হালদার যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারেন। ওই চিঠি এসবি সদর দফতর হাতে পান ২৩ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪ টায়। এরপর সদর দফতর থেকে পাঠানো চিঠির তথ্য দেশের সকল ইমিগ্রেশন পুলিশের ইউনিটে পাঠানো হয় ২৩ অক্টোবর ৫ টা ৪৭ মিনিটে। তবে তার আগেই পি কে হালদার ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর বিকেল পৌনে চারটার দিকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশ দেশত্যাগ করেন বলা জানা যায়।
ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বলেন, পিকে হালদারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞায় দুদকের দেয়া চিঠি ইমিগ্রেশন পুলিশ পাওয়ার আগেই তিনি দেশত্যাগ করেন।

দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয় যে, পিকে হালদার জালিয়াতির মাধ্যমে দেশের কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নামে-বেনামে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। যার ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো দেউলিয়া হতে বসেছে এবং গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এসবের মাঝেই পিকে হালদার গোপনে দেশ ছাড়েন। একপর্যায়ে পিকে হালদার বিষয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই সাথে পিকে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনা ও তার গ্রেফতারে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তাও জানতে চান উচ্চ আদালত। অন্যদিকে গত ৮ জানুয়ারি পিকে হালদারকে গ্রেফতারে রেড অ্যালার্ট জারি করে ইন্টারপোল।

পিকে হালদার বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আসার পর এক পর্যায়ে তার দেশে আসার বিষয়টি আদালতকে অবহিত করা হয়। আদালত পিকে হালদার দেশে আসা সম্পর্কিত আদেশও দেন। দিন তারিখ নির্ধারণ করে আদালতকে তার আসার কথা জানানো হলেও পরে আর পিকে হালদার দেশে ফেরেননি।
পিকে হালদার কিভাবে দেশ ত্যাগ করেছেন এ বিষয়ে প্রতিবেদনের জন্য ১৫ মার্চ দিন ধার্য রয়েছে বলে জানান ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মানিক। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদনে দেয়া হচ্ছে ।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বেনাপোল দিয়ে দেশ ছাড়লেন পিকে হালদার

Update Time : ০৭:৪০:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মার্চ ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ নিয়ে যশোর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশ ছেড়েছেন বহুল আলোচিত প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদার।

ইমিগ্রেশন পুলিশের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে এই তথ্য জানানো হয়। এ বিষয়ে আজ সোমবার ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক গনমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর দুদক একটি চিঠি দেয় যে পিকে হালদার যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারেন। ওই চিঠি এসবি সদর দফতর হাতে পান ২৩ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪ টায়। এরপর সদর দফতর থেকে পাঠানো চিঠির তথ্য দেশের সকল ইমিগ্রেশন পুলিশের ইউনিটে পাঠানো হয় ২৩ অক্টোবর ৫ টা ৪৭ মিনিটে। তবে তার আগেই পি কে হালদার ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর বিকেল পৌনে চারটার দিকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশ দেশত্যাগ করেন বলা জানা যায়।
ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বলেন, পিকে হালদারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞায় দুদকের দেয়া চিঠি ইমিগ্রেশন পুলিশ পাওয়ার আগেই তিনি দেশত্যাগ করেন।

দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয় যে, পিকে হালদার জালিয়াতির মাধ্যমে দেশের কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নামে-বেনামে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। যার ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো দেউলিয়া হতে বসেছে এবং গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এসবের মাঝেই পিকে হালদার গোপনে দেশ ছাড়েন। একপর্যায়ে পিকে হালদার বিষয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই সাথে পিকে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনা ও তার গ্রেফতারে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তাও জানতে চান উচ্চ আদালত। অন্যদিকে গত ৮ জানুয়ারি পিকে হালদারকে গ্রেফতারে রেড অ্যালার্ট জারি করে ইন্টারপোল।

পিকে হালদার বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আসার পর এক পর্যায়ে তার দেশে আসার বিষয়টি আদালতকে অবহিত করা হয়। আদালত পিকে হালদার দেশে আসা সম্পর্কিত আদেশও দেন। দিন তারিখ নির্ধারণ করে আদালতকে তার আসার কথা জানানো হলেও পরে আর পিকে হালদার দেশে ফেরেননি।
পিকে হালদার কিভাবে দেশ ত্যাগ করেছেন এ বিষয়ে প্রতিবেদনের জন্য ১৫ মার্চ দিন ধার্য রয়েছে বলে জানান ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মানিক। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদনে দেয়া হচ্ছে ।

এসএস//