পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জোড়া লাগা নবজাতকের জন্ম দিয়েছেন এক প্রসূতি।
রোববার দুপুরে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে ওই যমজ নবজাতকের জন্ম দেন তিনি।
প্রসূতি রেখা বেগম পটুয়াখালী সদর উপজেলার বাসিন্দা মো. বশির শিকদারের স্ত্রী। বর্তমানে মা সুস্থ রয়েছেন। তবে জোড়া লাগানো যমজ নবজাতক শঙ্কামুক্ত নয়। তাদের পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্ক্যানু বিভাগে রাখা হয়েছে।
পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জাকিয়া সুলতানা জানান, জোড়া লাগানো যমজ শিশু তাও আবার প্রিম্যাচিওর, মাত্র ৩২ সপ্তাহে এই যমজ শিশু প্রসব করানো হয়েছে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও আর্থিক সংকটের কারণে তারা উন্নত চিকিৎসা নিতে অপারগতা জানান। কিন্তু এই নবজাতকের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পটুয়াখালীতে সম্ভব নয়।
তিনি আরও জানান, এর আগেও অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী চিকিৎসার জন্য এসেছিল। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায়, বাচ্চা ত্রুটির রয়েছে। পরে বরিশালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হলে নিশ্চিত হয় যে– রেখার পেটে বেড়ে ওঠা যমজ শিশু দুটি জোড়া এবং তাদের পাকস্থলীও জোড়া লাগানো। শিশু দুটির পেটের উপরিভাগ থেকে মাথা পর্যন্ত আলাদা।
পেটের শিশুদের এ অবস্থার কারণে মায়েরও কষ্ট হচ্ছে। পরে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে অবজারভেশনে রাখা হয়।
রোববার সকালে অস্বাভাবিক যন্ত্রণা শুরু হলে ডা. সেলিনা আক্তার সিজারিয়ান অপারেশন করে সন্তান প্রসব করান।
রেখা বেগমের স্বামী বশির শিকদার জানান, এক মাস আগে রেখা বেগম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ডা. জাকিয়া সুলতানার কাছে নেওয়া হয়। ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাদের বরিশালে দ্বিতীয় দফা পরীক্ষার জন্য পাঠান।
১০ দিন আগে বরিশালে পরীক্ষাটি করাতে গিয়ে তারা জানতে পারেন বাচ্চার ত্রুটি আছে এবং সে কারণেই বাচ্চার মা বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার কথা বলা হলেও হতদরিদ্র হওয়ার কারণে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে পারছেন না।
এসএস//
Leave a Reply