লাইফস্টাইল ডেস্ক : বর্ষজীবী বীরুত্ জাতীয় উদ্ভিদ। প্রাচীনকাল থেকেই চিকিত্সাশাস্ত্রে এ উদ্ভিদটি বহুল ব্যবহার হয়ে আসছে। ‘দেশীয় চিরতা’ হিসেবে পরিচিত।
মহাতিক্তা, শ্বেততিক্তা, যাবী, তিক্তফলা, শঙ্খিনী নামও প্রচলিত। উদ্ভিদটির গড় উচ্চতা ১ মিটার, শাখা চতুষ্কোণ এবং পাতা বল্লমাকৃতির। পাতার ওপরের অংশ গাঢ়-সবুজ হলেও নিচের দিক কালো। পাতা মরিচ-পাতার মতো, আগা এবং বোঁটার দিক ক্রমেই সরু—চার থেকে ছয় সেন্টিমিটার লম্বা। বাতাসে পাতাগুলো উলটে গেলে দেখতে অনেকটা কালো মেঘের মতোই দেখায়, তাই এই নামকরণ বলে অনেকের ধারণা। কাণ্ড গাঢ়-সবুজ, চতুষ্কোণী ও লম্বালম্বি খাঁজকাটা। পাতা ও আদিকাণ্ডের গোড়া থেকে সাদা ও ছোট ছোট রোমশ ফুল ফোটে। ফুলের রং গোলাপি। বীজ হলুদ-খয়েরি রঙের।
ঔষধিগুণের জন্য একে ‘সর্ব রোগ নিবারণী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। স্বাদ অত্যন্ত তেতো, তাই একে ‘কিং অব বিটারনেস’ বলা হয়। কালোমেঘের পাতার রস লিভারজনিত সমস্যা ও ডায়াবেটিসের অব্যর্থ ওষুধ। এটি শরীরের ব্লাড সুগারের পরিমাণকে কমিয়ে রাখতে সাহায্য করে। জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, পাকস্থলী ও যকৃতের শক্তিবর্ধক, রক্ত পরিষ্কারক, রক্ত আমাশয়, কৃমিনাশক, গলা বসে যাওয়া, টন্সিলাইটিসে খুবই ফলপ্রসূ। পাতায় প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। পাতার রস নিয়মিত সেবনে শারীরিক শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়ে। গাছের নির্যাস ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী হিসেবেও কাজ করে।
এসএস//
Leave a Reply