সারাদেশ ডেস্ক : আটকের এক মাস পর মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির দেখা পাওয়া গেছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটিতে গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থান হওয়ার পর সোমবার ভিডিও লিংকের মাধ্যমে আদালতে হাজির হন সু চি। এসময় ক্ষমতাচ্যুত সু চিকে সুস্থ দেখা গেছে এবং তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
সুচির বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ গঠন করেছে জান্তা সরকার। এর আগে তার বিরুদ্ধে অবৈধ ওয়াকিটকি রাখা এবং পরিবেশ বিপর্যয়ের অভিযোগ গঠন করে সেনা সরকার।
সেনা অভ্যুত্থানের পর গতকাল রোববার মিয়ানমারে ভয়াবহতম দিন ছিলো। ইয়াঙ্গুন, দাওইয়ে, মান্দালাইসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে ১৮জন নিহত হয়। তবে প্রতিবাদকারীরা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সোমবার নির্বাচিত সরকার পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভকারীরা সু চিসহ গ্রেপ্তার নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবি জানিয়েছে।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বলছে, গত নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে সুচির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি ব্যাপক কারচুপি করে জয় পেয়েছে। তবে অভিযোগের স্বপক্ষে সেনাবাহিনী কোনো প্রমাণ সরবরাহ করেনি এবং নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনীর দাবি প্রত্যাখান করেছে।
৭৫ বয়সী সুচিকে গত ১ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। এরপর থেকে সোমবার ভিডিও লিংকের মাধ্যমে আদালতে হাজির হওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে দেখা যায়নি। সোমবার নেপিদোর একটি আদালতে তিনি ভিডিও লিংকের মাধ্যমে যুক্ত হন।
গ্রেপ্তার ও সামরিক শাসন জারির পর সেনাবাহিনী সুচির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে চারটি ওয়াকিটকি রাখা এবং মিয়ানমারের প্রাকৃতিক দুর্যোগ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ গঠন করে। তবে সোমবার তার বিরুদ্ধে নির্বাচনের সময় কোভিড-১৯ নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন, ভয় ও আতঙ্কিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
সুচির বিরুদ্ধে প্রথমে যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে তাতে তিন বছর পর্যন্ত সাজা হওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু সর্বশেষ অভিযোগে কি সাজা হতে পারে সেটা জানা যায়নি। তবে দোষী হলে ভবিষ্যতে সু চি আর নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না।
এসএস//
Leave a Reply