সারাদেশ ডেস্ক : করোনাভাইরাস ঠেকাতে জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি এক ডোজের টিকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ। ফাইজার ও মর্ডানার তৈরি টিকার পর দেশটিতে এ নিয়ে তৃতীয় কোনো টিকার অনুমোদন দেয়া হলো।
এই টিকার সুবিধা হলো, এটিকে ফ্রিজারে নয়, বরং সাধারণ রেফ্রিজারেটরেই সংরক্ষণ করা যাবে।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, এ টিকাটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া ঠেকাতে পারে। তবে সাধারণ আক্রান্ত হওয়ার হার ঠেকাতে সক্ষম ৬৬ শতাংশ ক্ষেত্রে।
বেলজিয়ান প্রতিষ্ঠান জ্যানসেন এটি তৈরি করেছে।
এই বছরের জুন মাস নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রকে ১০ কোটি টিকার ডোজ দিতে সম্মত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং কানাডাও এই টিকার জন্য চাহিদা জানিয়েছে। পাশাপাশি দরিদ্র দেশগুলোকে দেয়ার জন্য যে কোভ্যাক্স প্রকল্প নেয়া হয়েছে, সেই প্রকল্পে ৫০ কোটি টিকা কেনার চাহিদা দিয়েছে।
এই টিকার অনুমোদনকে স্বাগত জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘সব আমেরিকানের জন্য এটা একটা চমৎকার সংবাদ এবং উৎসাহব্যঞ্জক অগ্রগতি।’সেই সাথে তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন যে, ‘লড়াই শেষ হতে এখনো অনেক বাকি।’
‘এই টিকার অনুমোদন স্বাগত জানানোর পাশাপাশি আমি সব আমেরিকানের প্রতি অনুরোধ করবো, তারা যেন নিয়মিত হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা আর মাস্ক পরা অব্যাহত রাখে।’
‘আমি আগেও অনেকবার যেমন বলেছি, ভাইরাসের নতুন ধরনের কারণে পরিস্থিতি আবারো খারাপ হয়ে উঠতে পারে এবং বর্তমান অগ্রগতি পাল্টেও যেতে পারে,’ বলছেন বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিলে এই টিকার যে পরীক্ষা চালানো হয়েছে, তাতে দেখা গেছে, টিকাটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া ঠেকাতে ৮৫ শতাংশের বেশি সক্ষম। কিন্তু সাধারণ অসুস্থতা ঠেকাতে এটির সক্ষমতার হার ৬৬ শতাংশ।
তবে যারা টিকা নিয়েছেন, তাদের কারো মৃত্যু হয়নি এবং টিকা নেয়ার পরবর্তী ২৮ দিনের মধ্যে কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করাতেও হয়নি।
দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিলের মতো দেশগুলোয় করোনাভাইরাসের ধরন বেশি থাকায় সুরক্ষার হার কমG কিন্তু গুরুতর অসুস্থতা ঠেকাতে টিকাটি কার্যকারিতা বেশি বেশি।
জরুরি ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য এই টিকার অনুমোদন দিয়েছে বাহরাইন।
কারণ ফাইজার বা মর্ডানার তুলনায় এই টিকার ডোজের সংখ্যা কম। সেই সাথে টিকা দেয়ার অ্যাপয়েন্টমেন্ট বা স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যাও কম লাগে। সংরক্ষণ করাও তুলনামূলক সহজ।
সূত্র : বিবিসি
Leave a Reply