সারাদেশ ডেস্ক : ফিলিস্তিনি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক এক কেন্দ্রের উদ্যোগে উদ্ভাবিত ভিডিও গেম ‘গার্ডিয়ান অব আল-আকসার’ দ্বিতীয় সংস্করণ অনলাইনে ছাড়া হয়েছে। জেরুসালেমের আল-আকসা মসজিদকে ভিত্তি করে তৈরি এই গেমটি ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থানটির গুরুত্ব ও স্থানটিতে ইসরাইলের সীমালঙ্ঘনের বিষয়ে সচেতনতার বিস্তারে গেমটি তৈরি করা হয়েছে।
দুই বছর আগে অ্যাপল ও অ্যানড্রোয়েড উভয় প্ল্যাটফর্মের জন্য তৈরি গেমটির প্রথম সংস্করণ অনলাইনে ছাড়ার পর এটি দুই লাখ বারের মতো ডাউনলোড করা হয় বলে জানান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটির প্রধান মুনতাসের দাকাইদিক।
বুরজ আল-লুকলুক সোশ্যাল সেন্টার নামের এই সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি পুরনো জেরুসালেমের ঐতিহ্য রক্ষা ও শহরে বাস করা ফিলিস্তিনিদের সহযোগিতায় কাজ করে আসছে।
মুনতাসের দাকাইদিক জানান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে গেমটির মোট ডাউনলোডের অর্ধেকের বেশিবার ডাউনলোড করা হয়।
গেমটির জনপ্রিয়তায় একে আরো বিভিন্ন ভাষায় প্রস্তুত করার চিন্তা করছে সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি।
সম্পূর্ণ শিক্ষামূলক এই গেমটিতে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আল-আকসা মসজিদ কমপ্লেক্সে পথ চলতে হয়ে গেমারকে। ইতিহাসভিত্তিক এই প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তরের ভিত্তিতে সামনে আগানোর সুযোগ পাওয়া যায়। সব প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারলে মসজিদের গেটে থাকা ইসরাইলি পুলিশের কাছ থেকে চাবি ছিনিয়ে নিতে পারে গেমার।
আল-আকসা মসজিদের ইতিহাসের পাশাপাশি ১৯৬৭ সালের পর থেকে ইসরাইলি দখলদারিত্বে এর ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে পারবে গেমাররা।
ইহুদি ধর্মীয় আইন অনুযায়ী আল-আকসায় প্রবেশে ইহুদিদের নিষেধ থাকলেও বিভিন্ন সময় উগ্রবাদী ইসরাইলিরা নিরাপত্তা বাহিনীর প্রহরায় নিয়মিতভাবেই মসজিদে প্রবেশ করে তাণ্ডব চালিয়ে আসছে।
ইসরাইলিরা স্থানটিকে ‘টেম্পল মাউন্ট’ হিসেবে উল্লেখ করে। তারা দাবি করে আসছে, এই স্থানেই তাদের ধ্বংস হওয়া দুইটি ইহুদি মন্দিরের অবস্থান ছিল। কোনো কোনো ইসরাইলি আল-আকসা মসজিদ ভেঙ্গে তৃতীয় ইহুদি মন্দির তৈরির আহ্বান করে আসছে।
অপরদিকে ফিলিস্তিনিদের প্রায়ই মসজিদে প্রবেশে বাধা দেয়া হয়। বাধা-বিপত্তি ও নিষেধাজ্ঞার কারণে পশ্চিম তীর বা গাজা উপত্যকা থেকে জেরুসালেমের মসজিদুল আকসায় ফিলিস্তিনিরা প্রায়ই আসতে পারেন না। অপরদিকে জেরুসালেমের স্থানীয় ফিলিস্তিনিরা মসজিদে প্রবেশে বিভিন্ন সময়ই বয়স ও লিঙ্গভেদে বাধার মুখোমুখি হন।
সূত্র : দ্যা নিউ আরব
Leave a Reply