Dhaka ০৭:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল

খাসোগি হত্যা : মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ

  • Update Time : ০১:২৫:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ২ Time View

সারাদেশ ডেস্ক : ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যার ঘটনায় মার্কিন অপ্রকাশিত গোয়েন্দা প্রতিবেদন ন্যায়বিচার পাওয়ার চলমান চেষ্টার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

জাতিসংঘের বিচারবহির্ভূত হত্যাবিষয়ক বিশেষ দূত অ্যাগনেস কালামার্ড এমন মন্তব্য করেছেন। সুনির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ না করলেও হোয়াইট হাউস বলছে শিগগিরই ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

কালামার্ড বলেন, খাসোগি হত্যায় কে দায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালকের (ডিএনআই) কার্যালয়ের এই প্রতিবেদন সেই তথ্য দেবে বলে তিনি মনে করেন।

কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাইট ফার্স্ট অ্যামেন্ডমেন্ট ইনস্টিটিউটের আয়োজনে এক প্যানেল আলোচনায় তিনি আরও বলেন, যখন আমাদের কাছে আরও সাক্ষ্যপ্রমাণ আসবে, তখন বাকি বিশ্বের পক্ষে তা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।

এই মানবাধিকার কর্মকর্তা আরও বলেন, জবাবদিহিতার স্বার্থে, মার্কিন গণতন্ত্রের স্বার্থে—ডিএনআই’র প্রতিবেদন অবশ্যই প্রকাশ করতে হবে।

এদিকে খাসোগিকে হত্যার বিস্তারিত গোয়েন্দা প্রতিবেদন ইতোমধ্যে দেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এমন খবর দিয়েছে।

প্রতিবেদনটি পড়েছেন কিনা; প্রশ্নে বাইডেন বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি পড়েছি।’ সূত্রের বরাতে সংবাদ সংস্থা এক্সিওসের প্রতিবেদন বলছে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার ওই বিস্ফোরক প্রতিবেদনে বাদশাহ সালমানের সন্তানদের একজন ফেঁসে যেতে পারেন। যদিও কোন সন্তান ফাঁসছেন, সে কথা বলেনি ওই খবর।

খাশোগি হত্যার বিষয়ে সৌদি বাদশাহর কাছে জানতে চাইবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

২০১৮ সালে অক্টোবরে ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে বিয়ের কাগজপত্র আনতে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন এই সাংবাদিক। তিনি সৌদি সরকারের নীতির কঠোর সমালোচক ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ডিরেক্টর অব দ্য ন্যাশনাল ইন্টেলিজেনসের (ডিএনআই) গোপনীয় প্রতিবেদনে আভাস দেওয়া হয়েছে, খাসোগিকে হত্যা করে তার শরীর টুকরো টুকরো করে ফেলার ঘটনায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জড়িত। পশ্চিমা বিশ্বে যিনি এমবিএস নামে পরিচিত।

মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে পরবর্তীতে বলা হয়, এমবিএস এই হত্যায় জড়িত বলে সিআইএ সিদ্ধান্তে এসেছে। যুবরাজ এই অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করেন। তবে রাষ্ট্রের কার্যত নেতা হিসেবে দায়বদ্ধতা স্বীকার করেন তিনি।

এদিকে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে তার সমকক্ষ লয়ে অস্টিনের সঙ্গে কথা বলেন যুবরাজ। কিন্তু বাইডেনের সঙ্গে তার কথা হয়নি।

এসএস//

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

খাসোগি হত্যা : মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ

Update Time : ০১:২৫:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সারাদেশ ডেস্ক : ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যার ঘটনায় মার্কিন অপ্রকাশিত গোয়েন্দা প্রতিবেদন ন্যায়বিচার পাওয়ার চলমান চেষ্টার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

জাতিসংঘের বিচারবহির্ভূত হত্যাবিষয়ক বিশেষ দূত অ্যাগনেস কালামার্ড এমন মন্তব্য করেছেন। সুনির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ না করলেও হোয়াইট হাউস বলছে শিগগিরই ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

কালামার্ড বলেন, খাসোগি হত্যায় কে দায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালকের (ডিএনআই) কার্যালয়ের এই প্রতিবেদন সেই তথ্য দেবে বলে তিনি মনে করেন।

কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাইট ফার্স্ট অ্যামেন্ডমেন্ট ইনস্টিটিউটের আয়োজনে এক প্যানেল আলোচনায় তিনি আরও বলেন, যখন আমাদের কাছে আরও সাক্ষ্যপ্রমাণ আসবে, তখন বাকি বিশ্বের পক্ষে তা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।

এই মানবাধিকার কর্মকর্তা আরও বলেন, জবাবদিহিতার স্বার্থে, মার্কিন গণতন্ত্রের স্বার্থে—ডিএনআই’র প্রতিবেদন অবশ্যই প্রকাশ করতে হবে।

এদিকে খাসোগিকে হত্যার বিস্তারিত গোয়েন্দা প্রতিবেদন ইতোমধ্যে দেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এমন খবর দিয়েছে।

প্রতিবেদনটি পড়েছেন কিনা; প্রশ্নে বাইডেন বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি পড়েছি।’ সূত্রের বরাতে সংবাদ সংস্থা এক্সিওসের প্রতিবেদন বলছে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার ওই বিস্ফোরক প্রতিবেদনে বাদশাহ সালমানের সন্তানদের একজন ফেঁসে যেতে পারেন। যদিও কোন সন্তান ফাঁসছেন, সে কথা বলেনি ওই খবর।

খাশোগি হত্যার বিষয়ে সৌদি বাদশাহর কাছে জানতে চাইবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

২০১৮ সালে অক্টোবরে ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে বিয়ের কাগজপত্র আনতে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন এই সাংবাদিক। তিনি সৌদি সরকারের নীতির কঠোর সমালোচক ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ডিরেক্টর অব দ্য ন্যাশনাল ইন্টেলিজেনসের (ডিএনআই) গোপনীয় প্রতিবেদনে আভাস দেওয়া হয়েছে, খাসোগিকে হত্যা করে তার শরীর টুকরো টুকরো করে ফেলার ঘটনায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জড়িত। পশ্চিমা বিশ্বে যিনি এমবিএস নামে পরিচিত।

মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে পরবর্তীতে বলা হয়, এমবিএস এই হত্যায় জড়িত বলে সিআইএ সিদ্ধান্তে এসেছে। যুবরাজ এই অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করেন। তবে রাষ্ট্রের কার্যত নেতা হিসেবে দায়বদ্ধতা স্বীকার করেন তিনি।

এদিকে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে তার সমকক্ষ লয়ে অস্টিনের সঙ্গে কথা বলেন যুবরাজ। কিন্তু বাইডেনের সঙ্গে তার কথা হয়নি।

এসএস//